thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ১ মে 24, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ২২ শাওয়াল 1445

‘ভালো গল্পের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে’

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১৭ ১৯:১৬:৩১
‘ভালো গল্পের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অভিনেতা, চিত্রশিল্পী প্রাণ রায়। মঞ্চের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নাটক ও চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজেকে ঋদ্ধ করছেন প্রতিনিয়ত। দ্য রিপোর্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানালেন তার ব্যস্ততা ও অভিজ্ঞতার কথা।

দ্য রিপোর্ট : এখন কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত?

প্রাণ রায় : শাহনেওয়াজ কাকলীর ‘নদীজন’ চলচ্চিত্রের ডাবিং চলছে। পাশাপাশি ফলি সাউন্ড ক্রিয়েট করছি।

দ্য রিপোর্ট : ফলি সাউন্ড মানে?

প্রাণ রায় : চলচ্চিত্রে বিভিন্ন ধরনের সাউন্ড এফেক্ট থাকে। ওটাকে ফলি সাউন্ড বলে। কোথায় কোন ধরনের সাউন্ড এফেক্ট ব্যবহার করা হবে, সেগুলো ক্রিয়েট করছি। এর আগে ‘উত্তরের সুর’ চলচ্চিত্রেও ফলি সাউন্ড করেছি।

দ্য রিপোর্ট : আপনার অভিনীত ‘জীবনঢুলী’ মুক্তি পেয়েছে, ফিডব্যাক কেমন?

প্রাণ রায় : পাবলিক লাইব্রেরিতে শো চলছে। সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছে। ভালোই এনজয় করছি।

দ্য রিপোর্ট : নাটকের কী খবর?

প্রাণ রায় : সকাল আহমেদের ‘ঠিকানা জানা নেই’, বদরুল আনাম সৌদের ‘এলেবেলে’, মানিক মানবিকের ‘কাম টু দ্য পয়েন্ট’ ধারাবাহিকগুলোর শুটিং চলছে। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সালাহউদ্দিন লাভলুর নতুন একটি ধারাবাহিকের শুটিং শুরু করব।

দ্য রিপোর্ট : অনেক নাটকেরই স্ক্রিপ্ট পাচ্ছেন শুটিংয়ের আগের দিন, নিশ্চয়ই প্রচুর ঝামেলা পোহাতে হয়।

প্রাণ রায় : হ্যাঁ। খুব সমস্যায় পড়তে হয়। যদি আগে থেকে স্ক্রিপ্ট পেতাম তাহলে চরিত্র ও কস্টিউম নিয়ে ভাবতে পারতাম। এমনও দেখা যায়, নাটক শুরু করার তিন দিন পর মনে হলো চরিত্রটি এভাবে করলে ভাল হতো। তখন তো আর কিছু করার থাকে না। এভাবে নাটক বা অভিনয় ভালো হবে কী করে? এ জন্যই তো সবার অভিনয় একইরকম মনে হয়।

দ্য রিপোর্ট : এতে কি দর্শকদের ওপর প্রভাব পড়ছে না?

প্রাণ রায় : অবশ্যই। সবাই বলে ভারতীয় নাটকগুলো আমাদের দর্শকদের নিয়ে যাচ্ছে। নেবেই তো। আমরা কি দিচ্ছি? দর্শক তো আমাদের নাটক দেখতে বাধ্য নয়। ভারতীয় নাটকের গল্প আছে, বিজ্ঞাপন কম। ওরা দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখতে দৃশ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট দেয়। ওরা রিহার্সাল করতে পারে, অভিনয় শিল্পীদের কস্টিউম নিয়ে ভাবতে হয় না। সম্মানী নিয়ে ভাবতে হয় না। আমাদের এখানে তো টাকা নিয়ে অনেকদিন ঘোরানো হয়।

দ্য রিপোর্ট : কাজের প্রয়োজনে আপনাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে হয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সিনেমা দর্শকদের চাহিদা কেমন দেখেছেন?

প্রাণ রায় : ওরা ডিজিটাল বোঝে না। ওরা চায় ভাল প্রিন্ট ও ভাল চলচ্চিত্র। কি ক্যামেরা দিয়ে কাজ করা হলো, তা দর্শকদের দেখার বিষয় নয়। চকচকে ছবি আর ভালো গল্প থাকলে ওরা খুশি হয়। এর জন্য প্রয়োজন ভিন্ন গল্প। আমাদের এফডিসিকেন্দ্রিক যে চলচ্চিত্রগুলো হয়, তারা এখনও পুরোনো ধ্যান-ধারণা নিয়ে পড়ে আছেন। তারা মনে করেন, এক সময় দর্শককে যা উপহার দিচ্ছেন, তা এখনও চলবে। আরও সমস্যা আছে, আগে পরিচালকরাই ছিলেন সব। এখন আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গন হিরো-হিরোইন কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। হিরো-হিরোইনরা নিজের মতো চরিত্র চিত্রণ করে, কস্টিউম পরে। এভাবে চললে তো হবে না।

দ্য রিপোর্ট : তাহলে কী করা উচিত বলে আপনার মনে হয়?

প্রাণ রায় : পরপর দশটি ভালো গল্পের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। যেখানে নাচ-গান-অ্যাকশন সবই থাকবে। দর্শকরা যেভাবে চলচ্চিত্র দেখে অভ্যস্ত তার সবই থাকবে। তবে গল্পের ভিন্নতা থাকতে হবে। কয়েকদিন আগের একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি...

দ্য রিপোর্ট : কী অভিজ্ঞতা?

প্রাণ রায় : একটি শুটিংয়ে বস্তিতে গিয়েছিলাম। সবার ঘরেই দেখেছি যে ওরা কলকাতার চলচ্চিত্র দেখছে। এর কারণ কী? ইদানিং কলকাতার চলচ্চিত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। ওরা গল্প নির্বাচন, লোকেশন, কস্টিউম থেকে শুরু করে সবকিছুই পরিবর্তন করে ফেলেছে। ওরা আপগ্রেড হয়েছে। আমাদের দর্শকও আপগ্রেড হয়েছে। আমরা কী কিছুই করব না?

দ্য রিপোর্ট : আপনি চারুকলার ছাত্র। এতো কাজের ফাঁকে ছবি আঁকার সময় পাচ্ছেন কী?

প্রাণ রায় : আপাতত ছবি আঁকার সময় হচ্ছে না। খুব খারাপ লাগে। অনেকবার ভেবেছি চিত্র প্রদর্শনী করব। হয়ে ওঠেনি। আসলে ছবি আঁকা তো মুডের ব্যাপার। এতো কাজ করে আঁকতে পারছি না। তবে আবার শুরু করব।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/এপি/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর