thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল 24, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৮ শাওয়াল 1445

চবিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতার লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

২০১৬ নভেম্বর ২০ ২২:২৯:৫৮ ২০১৬ নভেম্বর ২১ ০৯:৫৫:০০
চবিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতার লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২নং গেটসংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (২০ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দিয়াজ ওই বাসার ২য় তলায় একাই থাকতেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে বাড়ির মালিক নিচে পানি ছাড়তে যাওয়ার সময় জানালা দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত দিয়াজের নিথর দেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

কিন্তু তার বোন জোবায়দা আক্তার নিপা দাবি করেছেন, কেউ তার ভাইকে মেরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছে।

এদিকে লাশ উদ্ধারের খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে দিয়াজের অনুসারীরা তার বাসার সামনে অবস্থান নিতে থাকেন।

এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সহকারী প্রক্টর আনোয়ার চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, দিয়াজ ইরফানকে হত্যা করে তার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তারা সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে এ জন্য দায়ী করেন।

দিয়াজ ইরফানের অনুসারী ও চবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আবির ইকবাল দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে শত কোটি টাকার টেন্ডার হয়। এ টেন্ডার নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্র ধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

চবি ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর টিপু দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমরা একসঙ্গে ক্যাম্পাসে শিবিরের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি। আমরা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আর এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ছাত্রদের অভিযোগের বিষয়ে সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না। তিনি প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে এবং সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন এ ঘটনায় দায়ী- ছাত্রদের এমন অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে প্রক্টর আলী আজগর সঙ্গে সঙ্গে ফোনের লাইন কেটে দেন। পরে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা বিলকিস সাংবাদিকদের জানান, এই ঘটনার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে এটা কি আত্মহত্যা নাকি খুন।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি শত কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তাইফুল হক তপুকে ২৮ অক্টোবর রাতে সাড়ে ৯টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর টিপুর অনুসারীরা দিয়াজ ইরফানসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের বাড়িতে হামলা চালায়।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/এম/নভেম্বর ২১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর