thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল 24, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৮ শাওয়াল 1445

ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যামামলা

চবির সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনকে অব্যাহতি

২০১৬ নভেম্বর ২৮ ১২:১৩:১৬
চবির সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনকে অব্যাহতি

চবি প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর হত্যামামলার অন্যতম আসামি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আজ (সোমবার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট এলাকায় ভাড়া বাসার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে ২৩ নভেম্বর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, আত্মহত্যার ফলে শ্বাসরোধ হয়ে দিয়াজের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দাবি করা হয়, টেন্ডারসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরী দিয়াজকে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

এরই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

এদিকে দিয়াজ হত্যার প্রতিবাদে শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে ‘সচেতন ছাত্র-ছাত্রীর’ ব্যানারে পাঁচ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটের ডাক দেয় দিয়াজ ইরফানের অনুসারীরা। সোমবার এ অনির্দিষ্ট অবরোধের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি চলছে।

দ্বিতীয় দিনের অবরোধ : পাঁচ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দ্বিতীয় দিনে চলছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর অনুসারীদের অবরোধ।

অবরোধের ফলে সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন শাটল ট্রেন আসেনি। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরের উদ্দেশে কোন শিক্ষক বাসও ছেড়ে যায়নি। এর আগে রবিবার (২৭ নভেম্বর) অবরোধের প্রথম দিনেও কোন শাটল ট্রেন ও শিক্ষক বাস চলাচল করেনি। যার ফলে কার্যত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

এদিকে অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ট্রেন ও বাস চলাচল না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না শিক্ষক-শিক্ষর্থীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

ষোলশহর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. শাহাবুদ্দিন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গতকাল (রবিবার) অবরোধের সময় ট্রেনের হোসপাইপ কেটে দিয়েছে অন্দোলনকরারী। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু আজ (সোমবার) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমরা শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছি। সেই সাথে অন্দোলনকারীরাও অবস্থান নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শাটল ট্রেন বন্ধ থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

দিয়াজ ইরফানের অনুসারী ও চবি ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. আবু সায়েদ মারজান দ্য রিপোর্টকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিছু দালালকে সহযোগিতা করছে। তাদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে লেগেছে। আমাদের যাদের নামে বিভিন্ন সময় মামলা হয়েছে তাদের হয়রানি করছে প্রশাসন। কিন্তু আরও অনেকের নামে মামলা আছে তাদের প্রশাসন সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দিয়াজের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধ চালিয়ে যাব।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে যে পাঁচ দফা দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে সেগুলো হলো-দিয়াজের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে অাদালতের দির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে চাকরিচ্যুত, হত্যা মামলার সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, পুনরায় ময়নাতদন্ত করা এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/এনআই/নভেম্বর ২৮, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর