thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে 24, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১১ জিলকদ  1445

বিষণ্নতা নির্ণয়ে লালা পরীক্ষা

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১৮ ১৮:০৭:৪১
বিষণ্নতা নির্ণয়ে লালা পরীক্ষা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : লালার নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যাবে কোনো কিশোরের বিষণ্নতায় ভোগার সম্ভাবনা কতটুকু।

ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, চাপ তৈরির জন্য দায়ী করটিসল হরমোনের মাত্রা বেশি থাকলে তা বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

শরীরে উচ্চ মাত্রায় করটিসল হরমোনের উপস্থিতি কিশোরদের পরবর্তী জীবনে বিষণ্নতায় ভোগার সম্ভাবনা ১৪ গুণ বাড়িয়ে দেয় বলে দাবি করেছেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

লিঙ্গের ভিন্নতাও এক্ষেত্রে পার্থক্য তৈরি করে বলে উঠে এসেছে এই গবেষণায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

গুরুতর বিষণ্নতা সাময়িক বিষণ্নতা থেকে পুরোপুরিই আলাদা। আর এটি প্রকৃতই একটি মানসিক অসুস্থতা। প্রতিনিয়ত বিষণ্নতায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অবস্থা এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে, প্রতি ছয়জনে একজন জীবনের কোনো না কোনো সময় বিষণ্নতায় ভুগেন। মানসিক অবসাদ, হতাশা, সব বিষয়ে নিরুৎসাহ, অনিদ্রার মত সমস্যায় ভুগেন বিষণ্নতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা।

চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে বিষণ্ণতা। তবে গবেষক দলটি আশা করছে, নতুন এই গবেষণা মানুষকে আগে ভাগেই চিকিৎসা নিতে সাহায্য করবে। আর এর মাধ্যমেই তরুণদের মধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল আত্মহত্যার প্রবণতা কমানো সম্ভব হবে।

গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক আইয়ান গুডেয়ার বলেন, ‘বিষণ্নতা একটি ভয়ঙ্কর অসুখ। শুধু যুক্তরাজ্যেই বছরে প্রায় এক কোটির মত লোক বিভিন্ন কারণে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়। আর এই গবেষণার মাধ্যমে সেই কিশোরদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে যাদের ভবিষ্যতে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

গবেষক দলটি ‍১২ থেকে ১৯ বছরের প্রায় দুই হাজার কিশোরের লালার নমুনা থেকে করটিসল হরমোনের মাত্রা পরিমাপ করেন। এ সময় তাদের বিষণ্নতার অভিজ্ঞতাও জানতে চাওয়া হয়েছিল।

স্নায়ু বিজ্ঞান ও মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান জন উইলিয়াম বলেন, ‘জীবতাত্ত্বিক কোন বিষয়টি বিষণ্নতাকে নিয়ন্ত্রণ করে তা শেষ পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।’ তবে অধ্যাপক গুডেয়ারের দলকে আরও জীবতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বের করতে কাজ করে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র : দ্য ডেইলি মেইল।

(দ্য রিপোর্ট/আরজে/এসকে/সা/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর