thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে 24, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১ জিলকদ  1445

দিয়াজের স্নাতক সার্টিফিকেট চবির হল থেকে উদ্ধার

২০১৬ ডিসেম্বর ১২ ১৬:২৩:৪১
দিয়াজের স্নাতক সার্টিফিকেট চবির হল থেকে উদ্ধার

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক নিহত দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর (২৮) স্নাতকের সার্টিফিকেট ও তার বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট চবির শাহ আমানত হলের ডাইনিংয়ের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

দিয়াজ নিহত হওয়ার পর থেকে সার্টিফিকেটগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানিয়েছিল তার পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে হল ঝাড় দিতে গিয়ে সার্টিফিকেটগুলো দেখতে পান একজন ঝাড়ুদার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের এক কর্মকর্তা দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমেক জানান, একজন ঝাড়ুদার আমানত হলের পাশ থেকে সার্টিফিকেটগুলো পেয়েছে। আমরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

তাবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দিয়াজের বড় বোন অ্যাডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন ‘গত ২৯ অক্টোবর রাতে আমাদের বাসায় হামলা চালিয়ে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও দিয়াজের বেশকিছু সার্টিফিকেট নিয়ে যায় হামলাকারী ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া আমার ছোটভাই মিরাজ ইরফানের ভর্তির সাক্ষাৎকারের জন্য বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটটি দরকার ছিল।’

অ্যাডভোকেট জুবাঈদা আরও বলেন, ‘মারা যাওয়ার আগে দিয়াজ আমাকে জানিয়েছিল, চবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ অভি টাকার বিনিময়ে দিয়াজকে সার্টিফিকেটগুলো ৮ নভেম্বরের দিকে ফেরত দিয়েছিল। এজন্য দিয়াজ আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকাও নিয়েছিল। মিরাজের সাক্ষাৎকার সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে সার্টিফিকেটগুলো বাসায় ছিল। কিন্তু দিয়াজের মৃত্যুর দিন ২০ নভেম্বর থেকে বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও দিয়াজের স্নাতকের সার্টিফিকেট পাওয়া যাচ্ছিল না।’

দিয়াজের বড় বোনের ধারণা দিয়াজকে হত্যা করে খুনিরা চলে যাওয়ার সময় এই দুটি সার্টিফিকেট নিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট এলাকার নিজস্ব ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়।

চমেকের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে বলা হয়। কিন্তু দিয়াজের পরিবারের দাবি, তাকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

পরবর্তী সময়ে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড দিয়াজের ময়নাতদন্ত করে।

তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, দিয়াজের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, তার মুখ থেকে দাঁত, গলা থেকে টিস্যু এবং ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়েছে। সবগুলোই পরীক্ষার জন্য হিস্ট্রি প্যাথলজিতে পাঠানো হবে।

ময়নাতদেন্তর প্রতিবেদন কবে নাগাদ পাওয়া যাবে-এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. সোহেল বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো, সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলবো। পূর্বের ময়নাতদন্তকারী ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলবো। তারপর আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করবো। মেডিকেল বোর্ডের অপর দুই চিকিৎসকরা হলেন-প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ও ডা. কবির সোহেল।

(দ্য রিপোর্ট/এস/এমকে/ডিসেম্বর ১২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর