thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি 25, ২৮ পৌষ ১৪৩১,  ১১ রজব 1446

চাটমোহরে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১৫

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১৮ ২২:২৪:১১
চাটমোহরে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১৫

পাবনা প্রতিনিধি : জেলার চাটমোহর উপজেলার আটলংকা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১০ জনকে চাটমোহর ও আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আটলংকা বয়েন উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ মাঠে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা কৃষকদলের সভাপতির মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ।

চাটমোহর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন- উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহমুদুল আলম মাহমুদ (৪৫), বিএনপি সমর্থক আটলংকা পূর্বপাড়া গ্রামের সিদ্দিক হোসেন (২৫), তোফা প্রামানিক (৬০), দেওয়ান প্রামানিক (৫০), জামাল হোসেন (৪৫), হোসেন আলী (৫৫), জাফর আলী (৩৩), আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি মোজাম্মেল হোসেন (৩৫), আওয়ামী লীগ সমর্থক বন্যাগাড়ি দক্ষিণপাড়া গ্রামের আছাব উদ্দিন (৩৫), শিবপুর গ্রামের রানা আহম্মেদ (২২)।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৫টার দিকে আটলংকা বয়েন উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিএনপি সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসাদুল ইসলাম হীরার পক্ষে নির্বাচনী সভা করছিলেন উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহমুদুল আলম মাহমুদসহ অন্যরা। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মির্জা রেজাউল করিম দুলালের সমর্থক ইমান বিশ্বাস ও তার ছেলে আসাদুল বিশ্বাসের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বিএনপি সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে।

এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে চাটমোহর ও আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় কৃষকদল নেতা মাহমুদুল আলম মাহমুদের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। খবর পেয়ে বিএনপি প্রার্থী হাসাদুল ইসলাম হীরা আহতদের দেখতে চাটমোহর হাসপাতালে ছুটে যান।

এ বিষয়ে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মির্জার কাপপিরিচের সমর্থকরা তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে এ হামলা চালিয়েছে। আমি বিষয়টি থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।’

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মির্জা রেজাউল করিম দুলাল বলেন, ‘এটা স্থানীয় বিরোধের বিষয়। এখানে আমার সমর্থক বলে কিছু নেই। ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে। যা দুঃখজনক।’

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে ঘটনাটি মূলত চিকনাই নদীর বাঁধ কেটে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। এখানে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় জড়িত নয়।

এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মেজর (অব.) কেএস মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তোতা, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন মান্নাফ ও সাধারণ সম্পাদক সাবির হাসান বাচ্চু।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এনডিএস/এএল/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর