thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে 24, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১ জিলকদ  1445

পুনঃময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর লাশ উত্তোলন মঙ্গলবার

২০১৬ ডিসেম্বর ২৬ ১৮:০৯:২১
পুনঃময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর লাশ উত্তোলন মঙ্গলবার

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রহস্যজনকভাবে নিহত গৃহবধূ লুবনা আক্তারের লাশ আদালতের নির্দেশে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) কবর থেকে তোলা হবে।

লুবনার পরিবার জানায়, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে চকবাজার থানাধীন কাজেম আলী স্কুল সংলগ্ন মিসকিন শাহ মাজার এলাকা কবরস্থান থেকে লুবনার লাশ উত্তোলন করবে পুলিশ।

তারা জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পুনঃময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় পিবিআইকে। সে অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর (সোমবার) লুবনার লাশ কবর থেকে তোলার কথা থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট সময় দিতে না পারায় লাশ উত্তোলন সম্ভব হয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র সাব-ইন্সপেক্টর কাউসার আলম জানান, আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট তামিলুর রহমানের উপস্থিতিতে লুবনা আক্তারের লাশ মঙ্গলবার উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিহত লুবনা আক্তারের মা রেহেনা সুলতানা বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৬ বছর পূর্বে নগরীর চন্দনপুরা সিরাজুদ্দৌলা রোডস্থ মাজার গলি এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ মাবুদুর রহমানের সাথে নগরীর বন্দর থানার নিউমুরিং দক্ষিণ হালিশহর এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের কন্যা লুবনার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২ কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ের বয়স ৪ বছর এবং ছোট মেয়ের বয়স দেড় বছর।

নিহত লুবনার মা বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এ অবস্থায় গত ১৬ জুলাই শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে লাশটি ঝুলিয়ে রাখে। পরে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লুবনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে লাশ দাফন করে ফেলে।

পরে আমরা জানতে পারি লুবনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে আলামত ও সাক্ষী পাওয়ায় গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। এতে আসামি করা হয় স্বামী মাবুদুর রহমানসহ পরিবারের ৯ জনকে। আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয় পিবিআইকে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর