thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি 25, ২৮ পৌষ ১৪৩১,  ১১ রজব 1446

আসামি ধরতে গিয়ে ওসি আহত

বাগেরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম, গ্রেফতার ২

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯ ১৯:০১:৫৫
বাগেরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম, গ্রেফতার ২

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাটে পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান শামীম জামান পলাশকে (৪৩) কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হামলায় ফকিরহাট থানার ওসি এসএম আনোয়ার হোসেনও আহত হয়েছেন।

বুধবার বিকেলে বাগেরহাট-খুলনা সড়কের ফকিরহাট উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া বাজারে মাংসের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত ইউপি চেয়ারম্যান খান শামীম জামান পলাশকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার খবর চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা সংগঠিত হয়ে হামলাকারীদের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং হামলাকারী দেলোয়ার হোসেন ও তার শ্যালক আজিমকে গ্রেফতার করে।

পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান শামীম জামান পলাশ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ব্যস্ততম বাগেরহাট-খুলনা সড়কের পাশেই নওয়াপাড়া বাজার। সম্প্রতি এই বাজারে স্থানীয় কয়েকজন মাংস বিক্রেতা রাস্তার পাশে বসে মাংস বিক্রি করছিল। এই ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততম সড়কের পাশ থেকে সরিয়ে মাছ বাজারের কাছে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকে ওখানে মাংস বিক্রেতাদের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছিল। বিকেলে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী ৫-৬ জন লোক নিয়ে সেখানে এসে ঘর নির্মাণের জায়গা তার বলে দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দেলোয়ার তার কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় কোপ মারে। সেই কোপ আমার মাথায় না লেগে মুখে লেগেছে। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী ওই বাজারের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে।

ফকিরহাট থানার ওসি এসএম আনোয়ার হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, সরকারি খাস জমিতে মাংসের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শামীম জামান পলাশকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। চেয়ারম্যানের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী সেখানে জড়ো হয়ে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে গিয়ে হামলাকারী দেলোয়ার ও তার শ্যালক আজিমকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় উত্তেজিত জনতা তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের লাঠির আঘাতে আমিও রক্তাক্ত জখম হয়েছি। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/এপি/সা/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর