thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ১ মে 24, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১,  ২২ শাওয়াল 1445

জামিনের খবর শুনে কাঁদলেন রুমি

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯ ২০:৪৪:১৫
জামিনের খবর শুনে কাঁদলেন রুমি

জাহাঙ্গীর আলম, দ্য রিপোর্ট : জামিনের খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন কণ্ঠশিল্পী আরেফিন রুমি। কাঠগড়া থেকে নেমেই তিনি বিচারক কক্ষে সিজদায় পড়েন। প্রায় পাঁচ মিনিট তিনি সিজদায় পড়ে ঢুকরে ঢুকরে কান্না করছিলেন। এ সময় তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার দুপুর ২টায় প্রথম স্ত্রী লামইয়া ইসলাম অনন্যার দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় দশ হাজার টাকা বন্ডে বিচারক আরফিন রুমিকে মীমাংসা করার শর্তে জামিন দেন।

এ সময় এ প্রতিবেদককে একান্তে রুমি বলেন, ‘আমি কারাগারে অনেক ভালো ছিলাম। কারাগারে সবাই আমাকে সম্মান করত। আমার ইচ্ছা হয় কারাগারে আরও কিছু দিন থাকি।’

তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকার সেখ সাদী নামের এক আসামি আমাকে দেখার জন্য জামিন পাওয়ার পরও কারাগার থেকে বের হয়নি। সাদী আমাকে উদ্দেশ করে বলেন, বস আমি আপনার একজন ভক্ত। জামিন পাওয়ার পরও জামিননামায় স্বাক্ষর না করে আপনার সঙ্গে দেখা করতে আসলাম।’

রুমি বলেন, ‘আমি সব সময় অনন্যার সঙ্গে আপোস করতে আগ্রহী। আমি তাকে আবার সংসারে ফিরিয়ে নিতে চাই কিন্তু অনন্যার মা পারভীন ইসলাম বেলী আমাদের দুজনকে এক হতে দিচ্ছে না। তিনি অযৌক্তিকভাবে নাতির জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করছেন।’

এ বিষয়ে অনন্যার মা পারভীন ইসলাম বেলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার নাতির ভবিষ্যতের জন্য টাকা চেয়েছি। এ টাকা নাতির নামে ব্যাংকে থাকবে। রুমি এর আগে আমেরিকায় ছিল এবং সেখান থেকে কামরুন নেছাকে বিয়ে করে। তার কোনো বিশ্বাস নাই। আমার নাতিকে ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেলে আমার নাতি ভবিষ্যতে কী করে খাবে?’

রুমির প্রথম স্ত্রী লামইয়া ইসলাম অনন্যা দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমি সব সময় রুমির সঙ্গে সংসার করতে চাই। আমাদের দুজনের মধ্যে কোনো ছাড়াছাড়ি হয়নি। তার সঙ্গে আমার সমস্যা নাই। কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেছা সব সময় আমার পেছনে লেগে আছে।’

আরফিন রুমি ও তার প্রথম স্ত্রী অনন্যাকে পরিবারের অনুরোধে বিচার কক্ষে এক সঙ্গে বসানোর পর রুমি ও অনন্যা কান্না করতে ছিলেন। এ সময় তারা দুজন প্রায় ত্রিরিশ মিনিট হাত ধরে গল্প করেন। রুমী অনন্যাকে বলেন, ‘যা হবার হয়েছে। সব ভুলে আমরা আবার এক হয়ে যাই। তুমি আমার বাসায় চলে এসো, আমরা দুজনে মিলে সুখের সংসার সাজাব।’ অনন্যা প্রথম অবস্থায় রাজি হলেও পরে তিনি কোনো কথা ছাড়াই মায়ের বাসায় চলে যান।

(দ্য রিপোর্ট/জেএ/এমসি/সা/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর