thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউস সানি 1446

আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন গণপূর্তমন্ত্রী

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৬:০০:৩৬
আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন গণপূর্তমন্ত্রী

চট্টগ্রাম অফিস : দুদকের দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিন পেয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। জরুরি অবস্থা চলাকালে দুদক এ মামলা দায়ের করেছিল।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূরের আদালতে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রীসহ দুই আসামি আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম।

ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম মন্ত্রীর জামিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জামিনের পাশাপাশি আদালত মন্ত্রীকে মামলার ধার্য তারিখে হাজিরা থেকে অব্যাহতিও দিয়েছেন। একই মামলার আরেক আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আনোয়ারও জামিন পেয়েছেন।

আদালত সুত্র জানায়, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারেও একই দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময়ে সরকারি জমি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় এ মামলা দায়ের করেছিলেন।

এ মামলায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ছাড়াও ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মরহুম রফিকুল আনোয়ার ও তার ভাই হোটেল গোল্ডেন ইন লিমিটেডের পরিচালক ফখরুল আনোয়ারকে এ মামলার আসামি করা হয়। জরুরি অবস্থা শেষে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফকে ওই দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের সেই আদেশ প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে টিকেনি। গত বছরের ৮ মে আপিল বিভাগের এই আদেশ আসার পর ওই দুর্নীতি মামলার তদন্ত আবারও শুরু করেছে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কার পার্কিংয়ের জন্য বরাদ্দ করা একটি জায়গা তিন তারকা হোটেল গোল্ডেন ইন নির্মাণের জন্য ইজারা দেওয়ার সুপারিশ করেন। ১ দশমিক ৪৪ বিঘা আয়তনের ওই জমির মূল্য ধরা হয় এক কোটি ৬৯ লাখ ২০৭ টাকা। পরে লিজের শর্ত ভেঙে মেসার্স সানমার হোটেল লিমিটেডের নামে ওই জমির ইজারা নিবন্ধন করা হয়। এ ক্ষেত্রে দলিলে উল্লেখ করা দরের চেয়ে সানমার হোটেলের কাছ থেকে ২ কোটি ৯২ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪৮ টাকা বেশি আদায় করা হয় বলে দুদকের এজাহারে বলা হয়।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ মামলাটি বাতিলের আবেদন করলে ২০০৮ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করে। ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের বেঞ্চ মামলাটি বাতিল করে দেয়। পরে এর বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে দুদক। সেই লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিলের আদেশ দেন।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর