ভাষা চেতনা, মিডিয়ার বহুলতা ও সৃজনশীলতার ভবিতব্য

মহিউদ্দীন মোহাম্মদ : মানুষ এমন তয় একবার পাইবার পর/নিতান্ত মাটির মনে হয় তার সোনার মোহর'।
বায়ান্ন'র ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে সংস্কৃতির যে স্বাতন্ত্র্য অর্জিত হল বিষয়টি কি তা এমনই? আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়েছি। সামনে আরও কঠিন দিন। এত এত বাংলা মিডিয়া। কত লেখালেখি। তবু প্রশান্তির ঢেকুরটুকু তুলতে কি পারছে পাঠককুল তা পড়ে? যা হচ্ছে, তাতে কালিক প্রশ্নটি আরও বিষাদে- অনেকক্ষেত্রে আচ্ছন্ন করছে। কী হতে কী যে হয়, জানি না! এই শংকা নিযে বসত করে কত জনাই। মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেরই এটা একটা সীমাবদ্ধতা। সেখান থেকে উত্তরণের জন্য সম্ভাব্য কিছু বয়ান সে সামনের জন্য রেখে দেয়। কখনও সেই বিশ্লেষণ প্রামাণ্য হয়ে ওঠে, কখনও তা ভ্রান্তিতে পর্যবসিত হয়। তবে নতুন একটা সূত্রমুখ সেখান থেকে দৃশ্যমান হয়— তা অস্বীকারের সুযোগ কই। পয়লা বলে রাখি 'সালাম রফিক উদ্দীন জব্বার কী বিষণ্ন থোকা থোকা নাম' তাদের কথা আজ যখন মনে পড়ছে, সে মুহূর্তে লজ্জায় মাথা নত হয়— আমরা বহুকাল ধরে সেই সব লেখকের সন্ধান পাচ্ছি না যারা বাংলার চেহারাটাকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে। আমরা সেই 'গডো'র জন্য অপেক্ষা করছি।
লক্ষণীয়, সম্প্রতি বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি আল মাহমুদের একটি আফসোস নিয়ে। সেখান থেকে সামনের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ নতুন লিখিয়েরা পোষণ করতে পারেন। তিনি ঢাকার একটি দৈনিকের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'একটি দেশে ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশ কখন কীভাবে ঘটে তা অনেক সময় সঠিকভাবে বোঝা যায় না। আমাদের যতই বিপদ-আপদ থাক না কেন এ দেশের মানুষের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যদিও মাতৃভাষার গৌরব বৃদ্ধি করার দাবী করি এবং এর জন্য মাঝে মধ্যে আন্দোলনও করি, কিন্তু আমাদের মধ্যে একটা সচেতনতা আছে যে ইংরেজি জানতে হবে।
ইংরেজি ভাষা জানা দরকার। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হলে ইংরেজি জানা প্রয়োজন। কিন্তু মাতৃভাষার উন্নতির জন্য এ দেশে যে খুব একটা কিছু হয়েছে তা আমার মনে হয় না। তবে কম-বেশী, ভালো-মন্দ মিলিয়ে শিল্প-সাহিত্য আমাদের দেশে সৃষ্টি হয়েছে। এর মূল্যায়ন করা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। একটা সময় আসে যখন সাহিত্য সংস্কৃতি থিতিয়ে দানাবাঁধে, তখন এ নিয়ে গবেষণা হয়। আমার মনে হয় বাংলা ভাষার ব্যাপারেও এটাই ঘটবে।
আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অগ্রগতি হচ্ছে কিন্তু কবি-সাহিত্যিকের সংখ্যা বাড়ছে না। সৃজনশীল সাহিত্য যাকে বলে
তা আমাদের দেশে যথেষ্ট বা যথার্থ সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়নি— এটা খুবই অন্তরালবর্তী সত্য। সবচেয়ে বড় কথা হল, ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে আমাদের দেশে লেখকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। যদিও বলা হয় কবি-সাহিত্যিকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, কিন্তু তা সত্য নয়। বরং কবির সংখ্যা কমেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এমন একটা সময় আসবে যখন লেখকই পাওয়া যাবে না। এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে এটা বলা মুশকিল। তবে এর জন্য একদিকে দায়ী রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অন্যদিকে মানুষের জীবিকার ক্ষেত্র বদলে যাচ্ছে। আগে সমাজ থেকে লেখক বেরিয়ে আসত কিন্তু এখন তেমনটি হচ্ছে না। এর একটি কারণ হচ্ছে বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া তৈরী হয়েছে। বুদ্ধিমান ছেলেরা লেখার বিকল্প হিসেবে এ সব মিডিয়ায় নানা রকম কাজ করছে। ফলে এখন নিবিষ্ট মনে লেখা বা সাহিত্য চর্চা কেউ করছে না।'
এই আফসোস আমাদেরকেও ভাবিযে তোলে। আসলেই এটি ভাবনার বিষয়। যেহেতু এখন মিডিয়ার বহুলতা, তার ভেতর দিয়ে বহু লেখালেখির সাথে সাক্ষাৎ ঘটছে। কিন্তু সৃজনশীল লেখার আসলেই আকাল। পন্থে পন্থে ঘুরে যেন চাকা। একই রকম চক্রের কাছে মিডিয়া প্রতিদিন ধর্ণা দিচ্ছে। কাড়ি-কাড়ি অর্থ ব্যয়েও শৈল্পিক কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এ থেকে অবশ্যই উত্তরণ দরকার। সাহিত্য, সংস্কৃতির একটা বড় বাহন। সংস্কৃতির সৌষ্ঠব তৈরীতে তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এটাকে যদি অনিন্দ্য সুন্দরের দিকে না নেওয়া যায়—সংস্কৃতির শরীরটাও পুষ্ট হতে পারে না। ফলে মানুষের রুচিটাও বদলে যাবে। তার আকর্ষণটা অরক্ষিত স্বাধীনতার জৌলুসে জেকে বসবে 'পরাধীনতা'।
এ থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে আল মাহমুদ বলছেন, 'বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের উচিত লেখকদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। কিন্তু এটা আমাদের দেশে আমি দেখতে পাচ্ছি না। সরকার কোনো সময়ই সাহিত্যিকদের জন্য কিছু করে না— এটা আমার বিশ্বাস। ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে ইনস্টিটিউট যেটা আছে তা হল বাংলা একাডেমী। সরকারের উচিত এ ধরনের আরও প্রতিষ্ঠান তৈরী করা।'
এ সব জারিত ভাবনার দরোজায় আরও চিন্তাও শামিল হয় স্বাভাবিক বাস্তবতায়। আমাদের সম্ভ্রান্ত শ্রেণীর সমাজ-নিয়ামকরা চাইছেন তাঁদের সন্তানসন্ততি কম্পিউটার-বিজ্ঞানেও সমান দক্ষ হোক, কম্পিউটারের ভাষা শিখুক, নইলে প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে ঠাঁই পাবে না! একসঙ্গে তিনটি ভাষার মাতৃভাষা, ইংরেজি, কম্পিউটার-ভাষা পরস্পরকে গুঁতোগুঁতি, তবে ইংরেজি ভাষার মধ্যে কম্পিউটারের ভাষাকে সহজেই ঠাঁই দেওয়া যায় উপভাষা হিসেবে। সেই কাজ মোটামুটি হয়েও গেছে। সুতরাং, দ্বন্দ্বটি দাঁড়াচ্ছে মাতৃভাষা ও কম্পিউটার-ভাষা-আত্মস্থ-করা ইংরেজি ভাষার মধ্যে। সমস্যাটি শুধু শিক্ষাক্রমেই নয়, সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রেও, খবরের কাগজে ব্যবহৃত ভাষা, টেলিভিশনে সঞ্চালক-সঞ্চালিকাদের বক্তব্যের ভাষা, সরকারি দফতরে ফাইল চালাচালির ভাষা, বিচারালয়ের ভাষা, বিজ্ঞাপনের ভাষা, সর্বত্রই সংকট। অথচ এই দ্বন্দ্ব থেকে উত্তীর্ণ হতে না পারলে গোটা সামাজিক-আর্থিক ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা। এই মুহূর্তে সমাজের যাঁরা কর্ণধার, তাঁদের বিশেষ শুচিবায়ু নেই, রবীন্দ্রনাথের ভাষার শুদ্ধতা চিরকাল অক্ষুণ্ণ রইল কি না, সে বিষয়ে তাঁদের স্পষ্টতই মাথাব্যথা নেই, তাঁরা ‘কেজো’ সমাধানের অন্বেষী, তাঁদের নিজেদের ঘরের ছেলেমেয়েরা চমৎকার ইংরেজি বোঝে, কম্পিউটারের ভাষা বোঝে, মাতৃভাষায় আড়ষ্ট। অন্য পক্ষে গরীব ছাপোষাদের সন্তানসন্ততি যা-ও একটু-আধটু মাতৃভাষায় নিজেদের প্রকাশ করতে পারে, ইংরেজি ও কম্পিউটারের ভাষার উল্লেখে তারা ফ্যালফ্যাল তাকিয়ে থাকে। সমাজের মাথায় যাঁরা অবস্থান করছেন, প্রশাসন পরিচালনার ব্যাপারেও অনুরূপ অনুশাসন জারি হবে, কাছারি-আদালতেও তাই, সরকার সম্ভবত আশা পোষণ করবেন, সংবাদপত্রাদি, টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ, সেই সঙ্গে সমগ্র সাহিত্যিক সম্প্রদায়, এই নীতি অনুসরণ করে সামাজিক সুস্থিতি সমাজে ফিরিয়ে আনবেন।
এটা ঠিক যে, একুশ শতকের এই তথ্য-প্রযুক্তির পৃথিবীতে বিশ্বায়নের ফলে একদিকে যেমন ভৌগোলিক সীমানার বাধা অতিক্রম করে দেশ-জাতিগুলো পরস্পরের কাছে চলে এসেছে, তেমনি মুক্তবাজার আর অবাধ বাণিজ্যের নামে একের পণ্য সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে অন্যের দরজায়। শুধুমাত্র পণ্য নয়, বিশ্বায়নের ঝাঁপটায় আমাদের যে দুর্বল জানালাগুলো খুলে গিয়েছিল সেখান দিয়েও এখন অবাধে চলে আসছে অন্য দেশের, অন্য ভাষার, অন্য জাতির সংস্কৃতি। দরিদ্র দেশ অভাব মেটাতে উন্নত দেশ থেকে যে পণ্য আনে সেখানে শুধু পণ্যই আসে না, তার সঙ্গে আসে সে দেশের সংস্কৃতি ও ভাষার নানা উপাদান। আমরা উন্নত বিশ্ব থেকে মোবাইল প্রযুক্তি এনেছি, একই সঙ্গে এসে গেছে রোমান হরফের এসএমএস আর মোবাইল সংশ্লিষ্ট ডিজ্যুস সংস্কৃতি। আরও উদাহরণ দেওয়া যায়- আমরা এফএম ব্যান্ড রেডিও স্টেশন ধারণা ও ব্যবসা আমদানী করেছি, এর সঙ্গে চলে এসেছে ইংরেজি ভঙ্গিতে বাংলা উচ্চারণ আর সুপ্রভাতের পরিবর্তে গুডমনিং, গান না শুনিয়ে ‘মিউজিক প্লে’ করা কথায় কথায় সো, থ্যাঙ্কস, লিসেনার জাতীয় এক সময়ের ঔপনিবেশিক এবং একালের বহুজাতিক কোম্পানির বোতলজাত সংস্কৃতি। এই বিশ্বায়ন আর বিদেশী সংস্কৃতির প্রতাপে আজ বাঙালীর সংস্কৃতি-ভাষা ভবিষ্যতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা ভেবে দেখা অবশ্যই জরুরী। এ সব কিছু অনেকের মতোই খুব ভালোভাবেই সমঝেছেন এসময়ের একজন চিন্তানায়ক প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনিও একইভাবে সৃষ্টিশীলতাকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। সে কারণে তিনি বলেন,‘খুব একটা বড় ব্যাপার হচ্ছে সৃষ্টিশীলতা। দেশে সৃষ্টিশীলতা যে নেই তা নয়, আছে। ব্যক্তিগতভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, উদ্ভাবন, সৃষ্টি এসব অনেকেই করছেন। কিন্তু কোনো সৃষ্টিই ব্যক্তি একা করে না, করে অনেকের সাহায্য, সহযোগিতা ও সমর্থন নিয়ে। মাতৃভাষা ওই সমষ্টিগত হওয়ার ব্যাপারটাকে নিশ্চিত করে। মাতৃভাষার মাধ্যমে সৃষ্টিশীলতার সঙ্গে অন্য ভাষার ভেতর দিয়ে সৃষ্টিশীলতার চর্চার ব্যবধানটাকে টবের গাছের সঙ্গে মাটির গাছের পার্থক্যের তুলনা করাটা কৃত্রিম হবে না। বিশ্বায়ন আজ পৃথিবীকে গ্রাস করে ফেলছে, এটা হচ্ছে পুঁজির আগ্রাসন বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে; এ আগ্রাসন স্থানীয় সংস্কৃতি ও উৎপাদনকে পারলে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বিশ্বব্যাপী একটি জঙ্গল ও জংলিপনার সৃষ্টি করতে চায়, তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে মাতৃভাষার সাহায্যে দাঁড়াতে হবে। বিশ্বকে আমরা উদ্যান হিসেবে দেখতে চাই, জঙ্গল হিসেবে নয়।
আজকের দিনে বাংলাদেশের বাংলার যে হীনদশা তার তাৎপর্যগুলো খুবই স্বচ্ছ। প্রথম কথা, যতই আমরা বাগাড়ম্বর করি, দেশে এখন দেশপ্রেমের ভীষণ অভাব। মাতৃভাষার প্রতি অবজ্ঞা ও অবিচার সে কথাটাই নীরবে বলে যাচ্ছে, আমরা শুনছি না। বলছে এই কথাও যে, এই রাষ্ট্রে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি বাংলা যাদের মাতৃভাষা। বাংলা চালু আছে শুধু সমাজের অপেক্ষাকৃত নিম্নস্তরে। সর্বোপরি বলছে এটাও যে, এ দেশ মোটেই স্বাধীন নয়, রয়েছে সে সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের অধীনে, যার ভাষা বাংলা নয়, ইরেজি বটে।'
গরীবানায় ধাতস্ত হয়ে আমরা এমন হীনম্মন্যতাকে পুঁজি করে বসে আছি যে, জেতার মানসিকতার চেয়ে হারের মানসিকতাকে আগেই মেনে নিয়েছি। ভিখিরীরও স্বজাত্যবোধ আছে কিন্তু আমাদের নেই। বলা হচ্ছে যে, বাংলা ভাষার চর্চা করতে গেলে আমাদের পক্ষে বিপদ আছে কুয়োর ব্যাঙ হয়ে পড়ার। এত বড় অসত্য ভাষণ, নিমতিতা কথা আর দ্বিতীয়টি হয় না। বাংলা ভাষার চর্চা করলে আমরা মোটেই কূপমণ্ডক হবো না, বরঞ্চ হব আন্তর্জাতিক। জ্ঞানে-বিজ্ঞানে সারা বিশ্বের যত অর্জন সবটা অনুধাবন, অনুবাদ ও রচনার মধ্য দিয়ে আত্মস্থ করে নেবো এবং সেই আহরণটা একদিকে যেমন হবে গভীর ও সৃজনশীল, তেমনি আবার হবে সর্বজনীন। জ্ঞান ব্যক্তিগত সম্পত্তি থাকবে না, পরিণত হবে সমষ্টিগত সম্পদে। আমরা খাড়াখাড়ি ওপরের দিকে উঠে যাব না; অন্যকে খাটো করে নিজে বড় হব না, আমরা ছড়িয়ে যাব আড়াআড়ি, উন্নত হব সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, একের উন্নতি পুষ্ট হবে বহুর উন্নতির দ্বারা। বহুর উন্নতি বৃদ্ধি পাবে একের পর একের সংযোজনে। বিশ্বকে আমরা গ্রহণ করব কী করে যদি গ্রহণ করার ক্ষমতাই না থাকে? যে ব্যক্তি কেবল তরল খাদ্যের ওপর বেঁচে থাকে, শক্ত খাবার দেখলে ভয় পায়, তাকে আর যাই হোক সুস্থ বলা যাবে না। হীনম্মন্যেরা সৃষ্টি করবে কী করে, তারা তো সর্বদাই অবনত।
এখন তাই সবথেকে বড় প্রয়োজন অতীব দেশপ্রেমের জিয়নকাঠি। যেটার অভাবহেতু আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি না, কেবলই পিছিয়ে যাচ্ছি। আর এই কাজটি ব্যক্তিগতভাবে হবে না, সমষ্টিগতভাবে করতে হবে। বিশেষ করে দরকার যে মাতৃভাষার চর্চা তার জন্য সামাজিক উদ্যোগ চাই; কিন্তু সে উদ্যোগ মোটেই রাজনীতি-নিরপেক্ষ হবে না, তাকে হতে হবে রাজনীতি-সমর্থিত।
রাজনৈতিক অঙ্গীকারের আবশ্যকতার কথা প্রায়ই শোনা যায়। সে অঙ্গীকারের অত্যাবশ্যকীয় বটে। কেননা রাষ্ট্রের হাতেই রয়েছে ক্ষমতার মূল চাবিকাঠি এবং রাষ্ট্রই হচ্ছে পথপ্রদর্শক ও নিয়ন্ত্রক। তারুণ্যকে উজ্জীবিত করে সৃজনশীলতার উত্থান পর্বকে এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রকে সবার আগে সজাগ হতে হবে। বায়ান্নর একুশের চেতনা এটাই। মাতৃভাষার প্রতি অবহেলা তথা দেশপ্রেমের ক্রমাবনতির জন্য দেশের শাসকশ্রেণী যতটা দায়ী, ততটা আর কেউ নয়।
লেখক : কবি ও সাংবাদিক
পাঠকের মতামত:

- যুদ্ধবিরতির শর্ত দিলেন পুতিন, জেলেনস্কি বললেন চালাকি
- পুঁজিবাজারে বিদয়ী সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে
- ভারত বধে প্রস্তুত বাংলাদেশ দল
- গণঅভ্যুত্থানই গণতন্ত্র, ইউনূসের সরকার নির্বাচিত: ফরহাদ মজহার
- আরো অন্তত পাঁচ-দশ বছর তোমরা আমাদের নেতা থাক: আসিফ নজরুল
- "বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে"
- জাতিসংঘ মহাসচিব সংস্কারের ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি : ফখরুল
- জনগণই স্বতঃস্ফূর্তভাবে একদফার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল: নাহিদ
- জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
- টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে জাতিসংঘ বাংলাদেশের পাশে থাকবে: গুতেরেস
- রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করা যাবে?
- ভূমিকম্পে কাঁপল ভারতের কার্গিল ও অরুণাচল
- দিল্লির মসনদে বসলেন অক্ষর
- পাকিস্তানি কোচের মেয়াদ বাড়াচ্ছে বিসিবি
- ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নেওয়ার দাবি রুশ বাহিনীর
- ঋণের ১০ শতাংশ খেলাপি হলে লভ্যাংশ ঘোষণা নয়
- পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈঠক
- ৯ মিনিটেই শেষ পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ ট্রেনের টিকিট
- ঈদ বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
- সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না : তারেক রহমান
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ
- সূচকের উত্থান: ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
- বেসরকারি চিকিৎসক-নার্সদের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করবে সরকার
- মাগুরার শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুততম সময়ে শেষ করা হবে: আইজিপি
- মডেল মসজিদ নির্মাণে অনেক অনিয়ম হয়েছে : প্রেস সচিব
- শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক
- হাসিনাকে ফেরত চাওয়া চিঠির জবাব এখনো দেয়নি ভারত : মুখপাত্র
- "শিশু ধর্ষণের বিচারে সোমবারের মধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল"
- মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে
- ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
- মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে চার পাণ্ডবের আবেগঘন বার্তা
- ট্রেন হামলার পেছনে ভারত
- চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় স্কুল শিক্ষার্থী ভাই-বোনসহ ৩ জনের মৃত্যু
- এনবিআর দুই ভাগ হচ্ছে, জুলাইয়ে কার্যক্রম শুরু
- 'শাহবাগে ফ্যাসিবাদ' ইস্যুতে মাহফুজ আলমের ব্যাখ্যা
- বিকেলে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, থাকছে যেসব কর্মসূচি
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ২০ রমজানের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে
- ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদায় প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা
- সচিবালয় ও যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
- ঢাকায় এসেছেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সেনাবাহিনী নিয়ে ভুয়া খবরের প্রতিবাদ আইএসপিআরের
- এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন
- গাজীপুরে শ্রমিক নিহতের জেরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
- বহির্বিভাগে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
- যমুনায় যেতে পুলিশের বাধা, সড়কে শুয়ে পড়েছেন শিক্ষকরা
- এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ‘ডা.’ নয়: হাইকোর্ট
- পাকিস্তানে চলন্ত ট্রেনে হামলা, ৪৫০ যাত্রীকে জিম্মি
- টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছর পূর্তিতে দিবারাত্রির ম্যাচ আয়োজন
- বিমা খাতে দুর্নীতি নির্মূল করবোই: বিআইএ সভাপতি
- স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন সাত বিশিষ্ট ব্যক্তি
- পাচার অর্থ ফেরানো সম্ভব, অনেকেই প্রস্তাব দিয়েছে: আনিসুজ্জামান
- শেখ হাসিনা পরিবারের ১২৪ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
- রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
- জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
- বিটিভিকে জনপ্রিয় করতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা
- ধর্ষণের বিচার দাবির গণপদযাত্রায় পুলিশের লাঠিচার্জ
- বিজ্ঞাপন ইস্যুতে ৩ নিষেধাজ্ঞা পেতে যাচ্ছেন কোহলি-গাভাস্কাররা
- টিকটক কিনতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের চার কোম্পানি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
- বিএসইসির ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে: রাশেদ মাকসুদ
- জামিন নিয়ে পদত্যাগ করলেন বিএসইসির ইডি মাহবুবুল আলম
- বিএসইসির সার্ভেইল্যান্সে সিস্টেম ব্যবহারে অনিয়মের শঙ্কা: দুদক
- ডিএসই ও সিএসইতে নতুন ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু
- এনআইডিতে যুক্ত করা যাবে একাধিক স্ত্রীর নাম
- হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ নিজ বাসায় খুন
- পল্লবী থানায় ঢুকে যুবকের অতর্কিত হামলা, ওসিসহ তিনজন আহত
- ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট
- বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরিভিত্তিতে সহায়তা চাইল জাতিসংঘ
- "বিচার ও সংস্কার করুন, আমরাই নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেব"
- সাভারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
- কানাডার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি
- নাসার নজরুলের তিন দেশের সম্পদ জব্দের আদেশ
- গভীররাতে আদালত, মাগুরায় শিশু ধর্ষণ মামলার ৪ আসামির রিমান্ড
- মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর ‘মৃত্যুর গুজব’, যা জানাল আইএসপিআর
- ভোরে রাজধানীর চার থানা পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ, ফিরতি ২৪ মার্চ
- গভীররাতে আদালত, মাগুরায় শিশু ধর্ষণ মামলার ৪ আসামির রিমান্ড
- এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন
- ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ, ফিরতি ২৪ মার্চ
- ট্রেন হামলার পেছনে ভারত
- ধর্ষণের বিচার দাবির গণপদযাত্রায় পুলিশের লাঠিচার্জ
- বিটিভিকে জনপ্রিয় করতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা
- মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর ‘মৃত্যুর গুজব’, যা জানাল আইএসপিআর
- এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ‘ডা.’ নয়: হাইকোর্ট
- এনআইডিতে যুক্ত করা যাবে একাধিক স্ত্রীর নাম
- "বাংলাদেশে সরকার বদলালে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের পরিবর্তন হতে পারে"
- জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
- টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছর পূর্তিতে দিবারাত্রির ম্যাচ আয়োজন
- শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ডেকেছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন
- নব্বই কর্মদিবসের মধ্যে স্টারলিংক ইন্টারনেট চালু করতে চায় সরকার
- মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে
- ধর্ষণের প্রতিবাদে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি
- টিকটক কিনতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের চার কোম্পানি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
- বিকেলে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, থাকছে যেসব কর্মসূচি
- বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ
- হাসিনাকে ফেরত চাওয়া চিঠির জবাব এখনো দেয়নি ভারত : মুখপাত্র
- বিজ্ঞাপন ইস্যুতে ৩ নিষেধাজ্ঞা পেতে যাচ্ছেন কোহলি-গাভাস্কাররা
- শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক
- ৪ মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজড করার নির্দেশ
- ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
- ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট
সাহিত্য এর সর্বশেষ খবর
সাহিত্য - এর সব খবর
