যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার ব্যারাক থেকে ৫টি বোমা উদ্ধার

যশোর অফিস : যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার কম্পাউন্ডের একটি কারারক্ষী ব্যারাক থেকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে পাঁচটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত সংরক্ষিত এলাকায় কী উদ্দেশ্যে, কীভাবে বোমাগুলো নিয়ে যাওয়া হল তা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। জোরদার করা হয়েছে কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি।

বোমা উদ্ধারের ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ বলছে, তদন্ত ছাড়া এখনই বিস্তারিত বলা যাবে না।

কোতোয়ালি থানার এএসআই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বেলা পৌনে ১১টার দিকে আমার কাছে কারাগারে বোমা রয়েছে বলে খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে কারাগারে রওনা হই। সেখানে জেলারকে সঙ্গে নিয়ে কারারক্ষী ব্যারাক সুগন্ধায় যাই। সুগন্ধার দোতলায় পূর্ব দিকের একটি কক্ষের বাথরুমের পাশে কালো টেপে মোড়ানো পাঁচটি বোমা দেখতে পাই। সকাল ১১টার দিকে সেগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।’

উদ্ধার করা বস্তুগুলো তাজা বোমা বলে নিশ্চিত করেন এএসআই রবিউল। সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞরা এগুলো নিষ্ক্রিয় করবে বলে তিনি জানান।

কারারক্ষী ব্যারাকের সুরক্ষিত এলাকায় কারা কী উদ্দেশ্যে বোমা আনল তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। কারা প্রশাসনের খুলনা-বরিশাল বিভাগীয় ডিআইজি ফজলুর রহমান বলেন, বোমা উদ্ধারের ঘটনার পর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তল্লাশি চলছে গোটা কারাগারে।

তিনি বলেন, যে স্থান থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে, সেটি সংরক্ষিত এলাকা। এখানে কোনো সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার নেই। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। কারা প্রশাসনও আলাদাভাবে তদন্ত করছে।

থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ কারাগার ব্যারাক থেকে ‘বোমাসদৃশ বস্তু’ উদ্ধার হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বোমা বিশেষজ্ঞরা এসে পরীক্ষা করে দেখবে, এগুলো আসলেই বোমা কিনা।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এএসএম কামরুল হুদা জানান, কারাগার একটি সুরক্ষিত এলাকা। কারা প্রশাসনকে বিব্রত করতে কোনো রক্ষী এমন কাজ করে থাকতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/একে/এমডি/সা/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)