thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি 25, ৩ মাঘ ১৪৩১,  ১৬ রজব 1446

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লাপাত্তা, বিরোধীদের দখলে কিয়েভ

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২২ ১৭:৫৮:৫০
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লাপাত্তা, বিরোধীদের দখলে কিয়েভ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ পুরোপুরি সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচকেও রাজধানীর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খবর : বিবিসির।

কিয়েভে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের কার্যালয়টিও অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কোনো প্রহরা বা উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিক্ষোভকারীরা ভবনটি অবরোধ করে রেখেছে। এ ছাড়া পার্লামেন্ট ভবনও বিরোধীদের দখলে। এমনকি পুরো কিয়েভ শহরেই সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো বিক্ষোভকারীরাই সেনাযানে চড়ে শহরে টহল দিচ্ছে।

এদিকে বিরোধীরা দাবি করেছে, নিখোঁজ ইয়ানুকোভিচকে দ্রুত তার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা দিতে হবে। আন্দোলনকারীদের একটি গ্রুপ শনিবার সকালের মধ্যেই ইয়ানুকোভিচ পদত্যাগ না করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেয়।

বিরোধী নেতা ভিটালি ক্লিচকো ইয়ানুকোভিচকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য সংসদের একটি বিল পাস করার প্রস্তাব করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভিটালিকে হয়ত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হতে পারে।

বিরোধীরা মে মাসের ২৫ তারিখের মধ্যেই নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত এক শান্তি চুক্তিতে বন্দোবস্ত হয়েছিল চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে নির্বাচন হবে।

কিন্তু ওই চুক্তি উপেক্ষা করেই সরকারবিরোধীরা তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। ইউক্রেন সংসদের স্পিকার ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ইতোমধ্যে বিরোধীদের বিশৃঙ্খলা না করে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেকোনো পরিবর্তনও মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

এদিকে খবর পাওয়া গেছে, প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া সীমান্তে অবস্থিত প্রাদেশিক শহর খারকিভে অবস্থান করছেন। খারকিভ শহরটি ১৯১৯ থেকে ৩৪ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউক্রেনের রাজধানী ছিল।

প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে খারকিভের গভর্নর পরামর্শ দিয়েছিলেন, দরকার হলে রাজধানী কিয়েভ থেকে কিছু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সেখানে স্থানান্তর করা যেতে পারে।

ইয়ানুকোভিচ দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও ক্রিমিয়া নিয়ে আলাদা একটি সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছেন এবং এ বিষয়ে তিনি রাশিয়ার সহায়তা কামনা করেছেন বলেও জানা গেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/জেএম/সা/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর