thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মে 24, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৩ শাওয়াল 1445

‘বছরে ছয়টি চলচ্চিত্রের বেশি কাজ করব না’

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪ ১৪:০০:৫৯
‘বছরে ছয়টি চলচ্চিত্রের বেশি কাজ করব না’

ইসহাক ফারুকী, দ্য রিপোর্ট : ২০০৭ সালে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু অপু বিশ্বাসের। একটানা অভিনয়ের মাঝে এক বছর ছিলেন সবকিছুর আড়ালে। ফিরে এসে আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শুটিং নিয়ে। বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘হিরো-দ্য সুপারস্টার’ চলচ্চিত্রের সেটে তাকে পাওয়া গেল। দ্য রিপোর্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানালেন চলচ্চিত্রে তার ফিরে আসার কথা।

দ্য রিপোর্ট : ফিরে তো এলেন, এবার কী ভাবছেন?

অপু : ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হচ্ছে। আদৌ কি ১০০ ভাগ চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে, নাকি ভালো চলচ্চিত্রের নামে ভালো বড় টেলিফিল্ম নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটাই বিষয়। আমি এক বছর কোনো কাজ করিনি। ওজন বেড়ে গিয়েছিল। সেটাকে কমিয়েছি। ফিরে এসেছি। আর এবার দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী ভালো কাজ করতে চাই। ১০০ ভাগ ভালো কাজ করতে চাই। তাই বছরে ছয়টি চলচ্চিত্রের বেশি কাজ করব না।

দ্য রিপোর্ট : একেবারেই না?

অপু : এক্সট্রা অর্ডিনারি গল্প, দেশের বাইরে চিত্রায়ন হলে দু-একটি বেশি হতে পারে। যেমন ‘হিরো-দ্য সুপারস্টার’ লন্ডনে শুটিং হবে। ওখানকার লোকেশনে শুটিং হলে পর্দায় অনেক গ্লামারাস লাগবে। দর্শকরা তা অনেক পছন্দ করবেন। তাই ওরকম কিছু হলে ছয়টির বেশি হতে পারে।

দ্য রিপোর্ট : নতুন তো অনেকগুলো কাজ হাতে নিয়েছেন-

অপু : কাজ চলছে বদিউল আলম খোকনের ‘হিরো-দ্য সুপারস্টার’, ‘ডেয়ারিং লাভার’ (আগে নাম ছিল ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’), সাফিউদ্দিন সাফির ‘ভালবাসা এক্সপ্রেস’ (আগে নাম ছিল ‘রেড-কালার অব লাভ’), ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘হিটম্যান’, ওয়াকিল আহমেদের ‘শোধ’। এ ছাড়া কথা চলছে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘সালাম মালয়েশিয়া’ এবং জাকির হোসেন রাজুর ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’।

দ্য রিপোর্ট : দেশের সিনেমা হলগুলোর অবস্থা কেমন?

অপু : ঢাকার বাইরের হলগুলোর অবস্থা করুণ। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী। ডিজিটাল চলচ্চিত্র এসেছে, এখন পরিবর্তন হবেই। আসলে কোনোকিছুতে ইনভেস্ট করলে রিটার্ন তো আসতে হবে। আমার মনে হয়, এখন রিটার্ন ১০০ ভাগ আসবে। হলগুলো ভালো হবে। দর্শক হলে যাবেন।

দ্য রিপোর্ট : বর্তমানে কি ভালো চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে?

অপু : সবকিছুর জন্য সুযোগ দিতে হয়। মাঝে দুই বছর অবস্থা ভালো ছিল না। আমরা দুই বছর ইনভেস্ট করেছি। তার রেজাল্ট পাচ্ছি। ২০১৪ সালে অনেক ভালো চলচ্চিত্র হচ্ছে। এখন ইন্ডাস্ট্রির চেহারা পাল্টে গেছে। হলিউডে যে অ্যারি এলেক্সা ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়, সেটা আমরা ব্যবহার করছি। ২০১৪ টার্ন করার বছর।

দ্য রিপোর্ট : আপনার তো বেশিরভাগ চলচ্চিত্রই সুপারহিট। একটি সুপারহিট চলচ্চিত্র হতে কী কী প্রয়োজন?

অপু : প্রথমে ঈশ্বরের আশীর্বাদ থাকতে হবে। তারপর ভালো গল্প ও ভালো শিল্পী থাকতে হবে, পরিচালক যা বলেন তা ঠিকভাবে প্লে করতে হবে। তাহলে দর্শকও আনন্দ পাবেন। তাদের মধ্যে চলচ্চিত্রটি দেখার চাহিদা বাড়বে। আর দর্শক চাহিদা বাড়লেই সেটাকে সুপারহিট বলে।

দ্য রিপোর্ট : আপনার কাছে নায়িকার সংজ্ঞা কী?

অপু : প্রথমেই তার অ্যাটিচুড থাকতে হবে। আর পাঁচটা মেয়ের মতো হবে না। গেটআপ, কথা বলা সবকিছুই আলাদা হতে হবে। আমি যখন প্রথম এসেছি, তখন অভিনয় পারতাম না। নাচ পারতাম। যেহেতু আমি নাচের মেয়ে, তো আমাকে দেখে অনেকে বলতেন এই নায়িকা কে? একজন নায়িকাকে দেখে সবাই বলবে, ‘বাহ মেয়েটা সুন্দর তো!’ এখন নতুন যারা আসছে, তাদের অনেকের মাঝেই সেই সুন্দর ভাবটুকু দেখতে পাচ্ছি না।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/এমসি/এজেড/এইচএসএম/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর