thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই 25, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২,  ১২ মহররম 1447

বিক্ষোভের মুখে রাজধানী ছাড়লেন থাই প্রধানমন্ত্রী

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪ ১৫:৩৮:১৫
বিক্ষোভের মুখে রাজধানী ছাড়লেন থাই প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে রাজধানী ছেড়েছেন। তিনি রাজধানী থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছেন বলে তার কার্যলয় থেকে জানানো হয়েছে। তবে তিনি ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তা জানানো হয়নি।

ইংলাকের কার্যলয় থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে, ইংলাক ব্যাংককে নেই। রাজধানীর বাইরে থেকেই ইংলাক তার দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানানো হয়েছে।

কতদিন ইংলাক রাজধানীর বাইরে থেকে তার দায়িত্ব পালন করবেন তা ইংলাকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। প্রায় এক সপ্তাহ আগে গত মঙ্গলবার তাকে ব্যাংককে জনসম্মুখে দেখা গেছে। আগামী বৃহস্পতিবার তার একটি দুর্নীতি মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

ইংলাক আগামী মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকে অংশ নেবেন বলেও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুরাপং তোভিচোকচাইকুল জানিয়েছেন। তবে ব্যাংককের বাইরে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে মূলত মধ্যবিত্তদের শুরু করা এই সরকারবিরোধী আন্দোলন সহসা শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ব্যাংককের একটি ব্যস্ত বাজারে রবিবার বোমা হামলায় ভাইবোনসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।

গত বছর বিতর্কিত অ্যামনেস্টি বিল নিয়ে এই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই অ্যামনেস্টি বিল অনুয়ায়ী দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে দেশে ফিরে দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করতে হবে না।

ওই বিলটি থাই সিনেটে পাস না হলেও প্রস্তাবিত বিলটি নিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়।

অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে ইংলাক আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বিরোধী দলের বর্জনের মধ্য দিয়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ইংলাক পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। আন্দোলনকারীরা তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখে।

২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থনের মাধ্যমে থাকসিন সিনাওয়াত্রার ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশটির রাজনীতিতে বিভাজন দেখা দিয়েছে। ২০০৮ সালে থাকসিনের বিরোধীরা ব্যাংকক বিমানবন্দরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ২০১০ সালে তার সমর্থকরা দুই মাসব্যাপী বিক্ষোভ করে পুরো ব্যাংকক শহর অচল করে দেয়।

সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ওই বিক্ষোভ শেষ হয়। দুই মাসব্যাপী ওই অবস্থান বিক্ষোভে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

থাকসিনের বোন ইংলাক ক্ষমতায় আসার পর দেশটির রাজনীতিতে স্থিরতা আসে। তবে বিরোধী দলের অভিযোগ ইংলাক তার ভাইয়ের পুতুল হয়ে দেশ চালাচ্ছে। সূত্র : বিবিসি

(দ্য রিপোর্ট/কেএন/এএইচ/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর