thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি 25, ২৮ পৌষ ১৪৩১,  ১১ রজব 1446

‘মুক্তার বাউল নন, ফোর মার্ডার মামলার আসামি’

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫ ১৪:৫০:৫৯
‘মুক্তার বাউল নন, ফোর মার্ডার মামলার আসামি’

যশোর অফিস : যশোর সদর উপজেলার মেঘলা গ্রামে গাঁজার আসরে হামলায় নিহত মুক্তার আলী ছিলেন লাউজানি ফোর মার্ডার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। এ নিয়ে চার দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর ওই মামলার দুই আসামি খুন হলেন।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে দুর্বৃত্তরা গলা কেটে খুন করেন লাউজানি মামলার অপর আসামি সাইফুলকে।

সোমবার রাতে নিহত মুক্তার ‘বাউলশিল্পী’ ছিলেন বলে কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই। ঘটনাস্থল থেকে গাঁজা সেবনের আলামত উদ্ধার হওয়ায় পুলিশ নিশ্চিত হত্যাকাণ্ডের সময় সেখানে গাঁজার আসর বসেছিল।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডুমদিয়া গ্রামের একটি আমবাগানে গাঁজার আসরে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। তারা কয়েকটি বোমা ফাটায় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনজনকে এলোপাতাড়ি কোপায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনে। পথেই মুক্তার মারা যান বলে জানান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক।

নিহত মুক্তার হোসেন শহরতলীর পাগলাদহ গ্রামের মুন্তাজ আলীর ছেলে। তিনি মেঘলা এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি চাঞ্চল্যকর লাউজানি ফোর মার্ডার মামলার আসামি ছিলেন। ১৯৯৭ সালে একদল দুর্বৃত্ত ঝিকরগাছার লাউজানিতে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে চারজনকে খুন করে।

‘ওই ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না মুক্তার। পরে সিআইডি তদন্ত শেষে আদালতে যে চার্জশিট দাখিল করে তাতে মুক্তারের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়’ বলে জানান যশোর কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জহুরুল হক।

তিনি আরও জানান, সোমবার হত্যাকাণ্ডের পর আমবাগান থেকে পুলিশ যে সব আলামত উদ্ধার করে, তাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ঘটনার সময় সেখানে গাঁজার আসর বসেছিল।

‘নিহত মুক্তার বাউলশিল্পী ছিলেন বলে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই’ বলেও জানান এসআই জহুরুল।

কোতোয়ালি থানার ওসি জানান, বছরখানেক আগে ওই এলাকায় জিয়াদুল ইসলাম জিয়া নামে সাবেক এক ইউপি মেম্বার খুন হন। ওই খুনের জের ধরে সোমবারের ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

থানার সেকেন্ড অফিসার জহুরুল হক জানান, আজগর, মন্টুসহ কয়েকজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের ধরতে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।

নিহত মুক্তারের ভাই মতিউর রহমান পুলিশকে জানিয়েছেন, তার ভাই কয়েকটি মামলার আসামি ছিলেন।

নিহত মুক্তারের পকেটে পরিবহন শ্রমিকদের একটি সংগঠনের কার্ড পেয়েছে পুলিশ।

(দ্য রিপোর্ট/একে/এমএআর/সা/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর