thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৮ জমাদিউল আউয়াল 1446

বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া হবে : আইনমন্ত্রী

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫ ২০:৫১:১৭
বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া হবে : আইনমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাহাত্তরের সংবিধানের আদর্শ ও মূল কথায় অবশ্যই ফিরে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

তিনি বলেছেন, ‘মানুষের আকাঙ্ক্ষা, প্রয়োজন, বিশ্বাস ও অধিকারের কথা বাহাত্তরের সংবিধানে লেখা আছে। এ সংবিধানের কথা বলায় বঙ্গবন্ধু বেশি দিন থাকতে পারেননি।’

সুপ্রিম কোর্টের শফিউর রহমান অডিটরিয়ামে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘বাহাত্তরের সংবিধান বাংলাদেশের অস্তিত্বের দলিল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

তারেক জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘উনি সংবিধান বানান করতে পারেন কিনা- আমার সন্দেহ আছে। অথচ লন্ডন থেকে আমাদের একটা বাণী শুনিয়ে দিলেন, বাহাত্তরের সংবিধান জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নয়। আমার কথা হচ্ছে, এই সংবিধানের প্রতি একটা বিরাট প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর কতটা অশ্রদ্ধা আছে। আমাদের সেই অবস্থা থেকে এই সংবিধানটাকে রক্ষা করতে হবে। সে জন্যই আমরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, আমরা যদি আরও ৫ বছর সরকার চালাতে পারি তাহলে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়াটা খুব সহজ হবে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের হাত শক্ত হলেই আমরা বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরতে পারব। জনগণের হাত দুর্বল থাকলে ৭২-এর কেন, কোনো সংবিধানে আমরা যেতে পারব না। আমরা হয়ত দেশই হারাব।’

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধান সেই চেতনা যার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সর্বস্তরে কীভাবে নির্বাচন হবে তা আমাদের সংবিধানে বলা আছে। আমরা শুধু জাতীয় সংসদের নির্বাচন করব কিন্তু প্রশাসনের অন্যান্য স্তরে কী আমরা নির্বাচন করব না? সেখানে কী আমরা অন্যদের চাপিয়ে দেব? আমরা কী প্রশাসক দিয়েই বছরের পর বছর চালাব? প্রশাসক এমনভাবে সিটি করপোরেশন চালাবেন যেন অন্য কেউ সেখানে বসতে না পারেন। এটা গণতন্ত্র বিরোধী। এটা হওয়া উচিত নয়। গণতন্ত্রের কথা বলতে হলে আমাদের গণতন্ত্রের পুরোটা গ্রহণ করতে হবে।’

ড. মিজান বলেন, ‘তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক ধারণা গণতন্ত্রের সঙ্গে যায় না। কিছু সময়ের জন্য ভাড়া করা লোক নিয়ে এসে আমি রাষ্ট্র পরিচালনা করব, এটা গণতন্ত্র বিরোধী।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনার ওপরে বিসমিল্লাহ যুক্ত করা হয়েছে। এটা বাদ দিতে হবে কারণ বিসমিল্লাহ ৭২-এর সংবিধানে ছিল না। মাবন সভ্যতার ক্রমবিকাশের ইতিহাসে এটা বার বার প্রমাণিত হয়েছে যে, ধর্ম ব্যক্তিগত জীবনে অবস্থান করবে, রাষ্ট্র সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করবে। সেখানে ধর্মকে কোনোভাবেই ব্যবহার করা উচিত নয়।’

বিশিষ্ট এ আইনবিদ বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধানের প্রতি যদি আমাদের সত্যিকার অর্থে আস্থা থাকে, তাহলে বিচারবহির্ভূত কোনো কিছুই একটি সভ্য সমাজে হতে পারে না। যে কোনো অজুহাতেই হোক না কেন, এটা হতে পারে না। বন্দুকযুদ্ধের কল্পকাহিনী, ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আইনের শাসন, সভ্যতা ও মানবাধিকারের পরিপস্থী। এভাবে চলতে থাকলে শেষ পর্যন্ত বিচার বিভাগ, বিচার অঙ্গন, আইনজীবীদের কোনো প্রয়োজনই থাকবে না।’

আবুল কুদ্দুসের সভপতিত্বে আলোচনা সভায় কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার, শ ম রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর