একান্ত সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগকে কোনো সুযোগ দিতে চাই না

সদস্য সংগ্রহ অভিযানে বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে দুই দিনের সফরে বরিশালে অবস্থান করছেন । দেশের চলমান রাজনীতি এবং বিএনপির কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বরিশাল ব্যুরো প্রধান বিধান সরকার।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে তার বক্তব্য শুনে ফেরার পথে এক রিক্সাওয়ালার উক্তি ছিল-ফখরুল সাহেব সজ্জন মানুষ। সাক্ষাৎকারের শুরুটা হয়েছিল এই ‘সজ্জন মানুষ’ কথার সূত্র দিয়েই।
প্রশ্ন : আপনার সজ্জন হয়ে ওঠার নেপথ্যে পারিবার না রাজনৈতিক আদর্শ, কোনটি বেশি কাজ করেছে ?
মির্জা ফখরুল : আমার পরিবার রাজনৈতিক ঐতিহ্য বহন করে। আমার দাদা ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। এক চাচা করতেন কমিউনিস্ট পার্টি, আরেকজন করতেন ন্যাপ। এজন্য পাকিস্তানের সময় স্বাধিকার আন্দোলন করতে গিয়ে তাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই ছাত্র অবস্থায় ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হয়ে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতাম। এ ছাড়া তখন দুনিয়াব্যাপী সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলন। চীন, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও তখন বামপন্থীদের আন্দোলন বেশ প্রভাব ফেলেছিল। ঠাকুরগাঁয়ে ন্যাপের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালেই একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেই। এ ছাড়াও পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় শিক্ষা বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৭০ সালে কলেজ শিক্ষকতায় যোগ দেই। এই বিষয়গুলোই তো আপনার প্রশ্নের উত্তরের নেপথ্যের কারণ হবে বৈকি।
প্রশ্ন : রাজনীতির কথায় আসি। দেশে চলমান রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্য থেকে বের হবার উপায়ে কি ভাবছেন ?
মির্জা ফখরুল : এখন মূলত গণতন্ত্রের সঙ্কটকাল চলছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। যে কারণে রাজনীতি এখন স্বাভাবিকভাবে চলছে না। আওয়ামী সমর্থক লেখকরাও বলছেন, থিংস আর নট মুভিং প্রোপারলি। তারা বলেছেন, জোর করে জয় করা যায় না, ভালোবাসা দিয়ে জয় করতে হয়। ৫৭ ধারা দিয়ে সাংবাদিকদের কন্ট্রোল করে তো প্রেসের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যায় না। সভা সমিতি করতে না দিলে তো গণতন্ত্র চলে না। এমনি ধরনের প্রশ্ন আজ তাদের মধ্যেও জেগেছে। এই যে রব সাহেবের বাসায় সভা করতে দেয়নি পুলিশ, এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র? আমার ব্যক্তিগত ৮৬টি মামলা। প্রত্যেকটি মামলায় আমি বাস-ট্রাক জ্বালিয়ে দিয়েছি, বোমা মেরেছি এবং সব মামলার ১ নম্বর আসামি। এসব থেকে বোঝা যায় দেশের গণতন্ত্র কি আছে। আমরা সভা করার, মিলিছ করার অনুমতি পাই না। বিদেশে গেলে এয়ারপোর্টে আমাদের বসিয়ে রাখা হয়। এর থেকে উত্তরণের একটাই পথ- তা হলো-নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। এজন্য সরকারকে চাপের মুখে রাখা, যদিও এটা কঠিন। তারপরও বলি, একমাত্র নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব।
প্রশ্ন : অনেক সময় আপনারা রাজনীতিবিদরা সংবিধান রক্ষার কথা বলেন, তো সংবিধান না গণতন্ত্র আগে?
মির্জা ফখরুল : গণতন্ত্রের একটা ডিউটি গণমতের কাছে নতিস্বীকার করা, জনমত মেনে নেওয়া। এটা আমরা করেছিলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার পালার্মেন্টে পাশ করানোর মধ্য দিয়ে। ১৫ই ফেব্রুয়ারি আমরা ইলেকশন করে পার্লামেন্টে গেছি এবং ওই পার্লামেন্টে টু থার্ড মেজরিটি ছিল তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছি। আজকের আওয়ামী লীগ যা বলে সংবিধানে নেই। তা মানুষের জন্যই তো সংবিধান, সংবিধানের জন্যতো মানুষ না। এই যায়গায় সবাই মিলে আলোচনার মধ্যেই আমরা পৌঁছতে পারি। যেমন-নব্বইতে প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদকে আনা হলো অ্যাক্টিং প্রেসিডেন্ট করে, তাওতো আলোচনার মাধ্যমে। তাই সব দল মিলে সিদ্ধান্ত নিলে এটা সম্ভব। আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রে ফেরত এসেছি কিন্তু আওয়ামী লীগ, বিএনপি আলোচনা করেই। তাহলে আজকের দেশের জন্য গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার জন্য কেন আমরা এই জায়গাতে আসতে পারবো না? আমাদের রাজনৈতিক কালচার এমন হয়ে গেছে, একটা দল আরেকটা দলকে বিশ্বাস করতে পারে না। মনোভাব থাকে নির্বাচনে গিয়ে সে নিজেরটা দখলে নেবে। যে কারণে আওয়ামী লীগই কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছিল নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য। যেটা এখন পাকিস্তান করছে, নেপাল করছে। অনেক দেশই চিন্তা করছে যেখানে সমস্যা আর অবিশ্বাস বেশি। এখন সময়ের দাবি, সকল দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এটা নাহলে সঙ্কট দূর হবে না, উল্টো বাড়বে।
প্রশ্ন : দীর্ঘ আট বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে, নেতা-কর্মীরা জেল খেটেছেন; এখন তাদের উজ্জীবিত করার বিষয়ে মহাসচিব হিসেবে কি ভাবছেন ?
মির্জা ফখরুল : দেখেন, এই দেশের মানুষ বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের উত্তারিধার সূত্রেই গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করার বিষয়টি পাওয়া। ব্রিটিশ আমলে এই বাংলার মানুষই স্বরাজ আন্দোলন বলেন, স্বাধীনতার আন্দোলন বলেন, সবকিছু এই বাঙালিরাই শুরু করেছে। একই সাথে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে আন্দোলন এই বাংলাতেই হয়েছে। ভাষা আন্দোলন, আইয়ুবের বিরুদ্ধে আন্দোলন, পরবর্তীতে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন এই বাংলার মানুষই করেছে। অর্থাৎ গণতন্ত্রের জন্য যে আন্দোলন তা অন্তর্নিহিত। এই চেতনাবোধেই মানুষ ওই পথে যাবে। এবং একদিন দেখবেন তরুণরাই এই দাবির জন্য শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াবে। এজন্যই নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানের মধ্যদিয়ে নতুনদের নিয়ে আসতে চাইছি। এরাই একদলীয় শাসন বা কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটাবে। যেহেতু সভা, মিছিল করতে পারছি না তাই এই সদস্য সংগ্রহের কৌশলের মধ্যদিয়ে আমার কথা জনতার মধ্যে নিয়ে যেতে পারছি।
প্রশ্ন : মানুষের শঙ্কা-ক্ষমতা পরিবর্তন হলে ফের ২০০১ সালের মতো ঘটনার সৃষ্টি হবে কিনা?
মির্জা ফখরুল : এই দুর্ঘটনাগুলোকে আমি কখনো সাম্প্রদায়িক বলি না। এগুলো সব রাজনৈতিক। এটা আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যের দ্বন্দ্ব, এটাকে রাজনৈতিক স্বার্থে সাম্প্রদায়িক বলে কালার দেওয়া হয়। কেননা, বিভিন্ন স্থানে মুসলমান মুসলমানেরও সংঘাত হয়েছে। আফটার ইলেকশন এটা কেবল আমার দেশেই নয় ভারতেও হয়, অনান্য জায়গাতেও হয়। তবে সাম্প্রদায়িকতা আমরা কখনোই সমর্থন করি না। এটা যে এখনো হচ্ছে না তা কিন্তু নয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মন্দির, রামুতে প্যাগোডা, দিনাজপুরে আদিবাসীদের বাড়িঘর পোড়ানো-এ সবতো এখনো হচ্ছে। তবে এগুলো নির্ভর করে নেতৃত্বের ওপর। স্থানীয় নেতৃত্ব ভালো থাকলে এমনটা হতে পারে না। যেমন-১৯৯১ সালে বাবরি মসজিদ ইস্যুর সময় আমি পৌর চেয়ারম্যান ছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আমাকে বলা হলো কোথায়ও যেন বিরূপ প্রভাব না পড়ে। আমি মসজিদের ইমামদের ডেকে বললাম ইসলাম ধর্মে হানাহানি অপছন্দনীয়, এ কথা আপনারা প্রচার করুন। ২০০১ বিএনপি জোট জিতেছিল। তাই রাজনৈতিক ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক বলে অপপ্রচার করেছিল। বইতে পড়েছি স্বাধীনতার পর এই বরিশালেও তো বহু হিন্দুদের জমি আওয়ামী লীগের লোকজন দখল করে নিয়েছে। আবারো বলি, নেতৃত্বের জায়গায় দুর্বৃত্তরা থাকলে তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে। আবারো বলি, অপপ্রচার চালিয়ে মাইনরিটির মধ্যে একটা ভীতির সঞ্চার করা; যদি আওয়ামী লীগকে ভোট না দেও তবে বিএনপি এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে। এ ধরনের ঘটনা ঘটবে কেন, এজন্য আমরা আগে থেকেই সতর্ক আছি।
প্রশ্ন : বিশ দলীয় জোটে জামায়াতের বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?
মির্জা ফখরুল : দেখুন, জামায়াত জোটে আছে। এক সময় নির্বাচনী জোটে ছিল, এখন কিন্তু নেই। এই জোট হলো আওয়ামী লীগকে হটাতে আন্দোলনের জোট। এটা পাকিস্তানের সময় আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে কপ তৈরি হয়েছিল সেখানে; আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী সব দলকে নিয়ে। এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে একদিকে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত, আরেকদিকে আমরা। অন্যদিকে, ১৯৯৬-তে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য জামায়াতকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করেনি? আজকে আওয়ামী লীগ আমাদের কাছে প্রধান শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। সেই কারণে তাকে পরাজিত করার জন্য আমরা সবাইকে নিয়ে জোট বাঁধার চেষ্টা করছি। অন্যান্য দলকেও আমরা আহ্বান করেছি আমাদের জোটে আসতে। তবে রাজনৈতি উদ্দেশ্য হাসিলে জামায়াতের বিষয়টি ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। আমি অবারও বলছি, এটা ভোটের জোট নয়; মুভমেন্টের জোট। জোটের ঘোষণাপত্র দেখেন, কোথায়ও ভোটের কথা বলা হয়নি এখনো।
প্রশ্ন : ভারত বা চীনের বিষয়ে কাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ?
মির্জা ফখরুল : দেখুন, আমাদের প্রভু কেউ নেই, সবাই আমাদের বন্ধু। বিশেষ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে আমরা বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করতে চাই। সেক্ষেত্রে ভারত, চীন, মিয়ানমারের সাথেও বন্ধুত্ব দৃঢ় করতে চাই। এটা আমাদের ঘোষিত নীতি, আলাদা কোনো ব্যাপার নেই। আমরা ভারতের সাথে যেটা আশা করি, আমাদের সাথে যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা, তা উভয় পক্ষের স্বার্থ বিবেচনা করে সমাধান করতে পারি, আলোচনার মাধ্যমে। যেমন-পানি নিয়ে সমস্যা, সীমান্তে হত্যা বন্ধ; এগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। এর আগে আমাদের নেত্রীও বলেছিলেন, আমরা ভারতের সাথে বন্ধুত্ব বাড়াতে চাই। ইকুয়াল টার্মসের ভিত্তিতে ট্রানজিট নিয়েও আমরা ভাবতে চাই। চীনের সাথেও একই ব্যাপার। দেখুন, এই সরকার ভারতের সাথে কি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে তা জাতিকে জানায় নি। এটা প্রথমে পার্লামেন্টে উত্থাপন করবে। আমাদের দল থেকে বলেছি, প্রতিরক্ষা চুক্তির পক্ষে আমরা নই। এটা বেশ স্পর্শকাতর বিষয়। যেটা আমাদের জাতীয় স্বার্থকে রক্ষা করে না অথবা আমার সার্বভৌমত্বের সমস্যা দেখা দেয়; এজন্য এটা এড়ানো উচিত। তবে হ্যাঁ, যেখানে কেবল ট্রেনিং থাকে সেই চুক্তি করা যায়। তবে যে চুক্তিতে অস্ত্রের বিষয় থাকে যা পত্রিকায় দেখেছি তাতে করে সঠিক মনে করি না। অস্ত্রের ব্যপারে সেনাবাহিনীর পছন্দ থাকে, যেটা সে আগে ব্যবহার করেছে। তাই সেনাবাহিনীর স্বার্থে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের স্বার্থে, কখনোই করা উচিত না।
প্রশ্ন : পাঁচ জানুয়ারি নির্বাচনে আসেননি, এবারের নির্বাচনে কি করবেন ?
মির্জা ফখরুল : দেখুন, পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা কেন; কোনো বিরোধী দল অংশ নেয়নি। ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন ইভেন কমিউনিস্ট পার্টি পর্যন্ত অংশ নেয়নি। এরশাদও করেনি, তাকে জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরর দাবিতে করিনি। যেটা এখনও বলছি, নির্বাচনকালীন সময় একটা নিরপেক্ষ সরকার থাকা দরকার। আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে ওই নির্বাচন করে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে, ফাইভ পার্সেন্ট লোকও ভোট দিতে যায়নি। এর অর্থ, মানুষই চায়নি পাতানো নির্বাচন।
প্রশ্ন : তবে এই ভোট কেন প্রতিহত করতে পারেননি?
মির্জা ফখরুল : এটা নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের ওপরে। যেমন-আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের সময় বিএনপি’র করা ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন তারা কি প্রতিহত করতে পেরেছিল? পারেনি, পারা যায় না। এটা কঠিন। আপনি ক্ষমতায় থাকলে আপনার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেন। তাই আমারা ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর জনতার মতামতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পার্লামেন্ট ইলেকশনের পরই এয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পাশ করিয়েছি। আমরা ইলেকশন দিয়েছি, সেই ইলেকশানে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে, আমরা ১১৬টি আসন পেয়েছি। আর এরা এখন মানুষ খুন করে, গুম করে, মামলা-হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারানকো আসার পর কথা দিয়েছিল তারা এটা ঠিক করবে, সেটা তারা করেনি। জাতির সাথে প্রতারণা করেছে। আওয়ামী লীগ এখন বাঘের পিঠে উঠে বসেছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন করলে ওরাতো মারা পড়বে। তারা নির্বাচনে হারবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ইলেকশন করানো। এজন্যই কাজ করছি জনগণকে সংগঠিত করার। তবে এবার আর ইলেকশন না করে পারবে না আওয়ামী লীগ। একদিকে যেমন জনগণের চাপ, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক চাপ আছে ফেয়ার ইলেকশন করার জন্য। আওয়ামী লীগ অন্ধকারের দিকে হাঁটছে। বাস্তবতা বুঝতে পারছে না। তবে আমরা খুব সাবধানে আওয়ামী লীগকে কোনো সুযোগ দিতে চাই না। আমরা আশাবাদী আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হবে। বসলেই তো হয়ে যায়। বসবো না-এই দাম্ভিকতার অনেক মূল্য দিতে হয়।
প্রশ্ন : কেমন লাগলো বরিশালে এসে ?
মির্জা ফখরুল : ভোরে লঞ্চঘাটে নেমে দেখি চলমান সময়েও শত শত নেতা-কর্মী এসেছেন। দেখে ভালো লাগলো। এখানের মানুষ নেতৃত্ব দিতে জানে। শের-ই-বাংলা ফজলুল হক, যিনি লাহোর প্রস্তাবে এই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। জীবনান্দ দাস শঙ্খচিল হয়ে এখানে আসতে চেয়েছেন। তপন রায় চৌধুরী বাঙ্গালনামায় বরিশালের কথা বিশ্বসাহিত্যে তুলে ধরেছেন। বরিশালের মানুষ চট করে রাগ করলেও সহজেই ভুলে যায় (হেসে বলেন)। সবচেয়ে বড় গুণ, আতিথিয়তায় এরা সবার আগে।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/এনআই/জুলাই ২৬, ২০১৭)
পাঠকের মতামত:

- ‘চাঁদাবাজ পালনকারী দলের কাছে জাতি ও রাষ্ট্র কখনই নিরাপদ থাকতে পারে না’
- খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
- দেড় বছরে আরও দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে: জাতিসংঘ
- সোহাগ হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- সোহাগ হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- গণঅভ্যুত্থান ছিল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে: নাহিদ
- বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার সম্পর্ক নেই: মির্জা ফখরুল
- মিটফোর্ডের সামনে নৃশংস হত্যার ঘটনায় ২ আসামি রিমান্ডে
- ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭
- পুঁজিবাজার: টানা চার কার্যদিবস সূচকের উত্থান
- বাজার সম্প্রসারণে আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে জোর ব্যবসায়ীদের
- এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা
- টি-টোয়েন্টিতে হারে শুরু বাংলাদেশের
- র্যাংকিংয়ে এক ধাপ অবনতি বাংলাদেশের, ছয় ধাপ পেছাল ভারত
- ১৮ বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
- এবার পাস করতে পারেনি ৬ লাখ শিক্ষার্থী
- জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানের ‘চতুর্থ তফসিলে’ অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে বিএনপি
- দেশে যেন আর কোনো স্বৈরাচারের জন্ম না হয়: নাহিদ ইসলাম
- পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসীদের ভোট, কোনো নির্বাচনেই ইভিএম নয়
- বিএনপির জন্মই সংস্কারের মধ্য দিয়ে: মির্জা ফখরুল
- শেখ হাসিনার আমলে নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বলার নির্দেশনা বাতিল
- খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারতকেও জবাবদিহি করতে হবে: নাহিদ
- ত্রিদেশীয় ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক
- দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দলের সঙ্গে খেলতে চাই না: কিরণ
- ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
- বন্যার কারণে বৃহস্পতিবার সারাদেশে আলিম ও কারিগরি বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেওয়ার নির্দেশনা বিটিআরসির
- "এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি"
- ফের এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
- ভোটের প্রতীক ‘শাপলা’ নয়, নীতিগত সিদ্ধান্ত ইসির
- রোজার আগেই হতে পারে নির্বাচন: প্রেস সচিব
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর ৪৩০তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত
- ওয়ালটনের প্যাসেঞ্জার কার ব্যাটারি ‘গ্রাভিটন’ উদ্বোধন করলেন তাহসান
- ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং: ২০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক!
- ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা হজ্জ ও ওমরাহ সেভিংস স্কিম: সঞ্চয়ে স্বপ্নপূরণ
- ইতিহাস গড়া নারী ফুটবলারদের ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
- ইরান ও ফিলিস্তিনের পক্ষ নিলেন ব্রিকস জোটের নেতারা
- প্রথম কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
- নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
- জরুরি অবস্থা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করতে সব দল একমত
- জরুরি অবস্থা নিয়ে সংসদে বিস্তারিত বিতর্ক হওয়া উচিত: সালাহউদ্দিন
- তিন মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি
- মন্ত্রণালয়ের কাজের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস যেন উঠে আসে
- জুনে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ
- তরুণ ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে বিএনপি, দ্বিতীয় জামায়াত
- সীমান্তে আগ্রাসন আর মেনে নেব না : নাহিদ ইসলাম
- "পিআর পদ্ধতিতে কোনো দলই ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না"
- কঠোর নিরাপত্তায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত
- হাসিনা-রেহানাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ
- বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী বলে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
- ডেঙ্গু আক্রান্ত ১২ হাজার ছাড়াল
- চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত
- ‘মবে’ জড়িতদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- "সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ালে ব্যাংকে কেউ টাকা রাখবে না"
- চিকিৎসা না পেলে আবার জুলাই হবে : পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের হুঁশিয়ারি
- "প্রশিক্ষণ শুধু পেশাগত জ্ঞান নয়, দায়িত্ববোধও বাড়ায়"
- ইরান ভিন্ন জায়গায় পরমাণু কর্মসূচি ফের শুরু করতে পারে: ট্রাম্প
- মধ্যরাতেই নারী দলের সংবর্ধনা, ভক্তদের নানা পরিকল্পনা
- তানভিরের ৫ উইকেট, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
- যেভাবে মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার
- ‘রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবর্তন ঠেকানো যাবে’
- পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার দেশকে কারবালার প্রান্তর বানিয়েছিল: মির্জা ফখরুল
- এ অবস্থায় ভোট হবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণহত্যার শামিল: জামায়াত আমির
- নতুন আইন কোনোভাবেই প্রেস ফ্রিডমে হস্তক্ষেপ করবে না: প্রেস সচিব
- এখনও চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী-মাফিয়া সিস্টেম বদলায়নি: নাহিদ ইসলাম
- অনেকে জামানত বাজেয়াপ্তের ভয়ে আনুপাতিক নির্বাচন চান: সালাহউদ্দিন
- পুশ ইন করতে হলে হাসিনা ও তার দোসরদের পাঠান: নাহিদ
- এনসিপির জুলাই প্রদর্শনী চলার মধ্যে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ
- বনানীর হোটেলে নারীদের ওপর হামলায় অভিযুক্তরা শনাক্ত, গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে
- নির্বাচনের আগে টেলিকম নীতিমালা প্রণয়নে বিএনপির উদ্বেগ
- আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন আহমদ
- যেকোনো ব্যর্থতার ফল চূড়ান্তভাবে স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে: ডা. সায়েদুর রহমান
- বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা আরও বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
- রাজনৈতিক সংকটের অর্থবছরে পোশাক রপ্তানিতে ৮.৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
- সতীর্থ জোটার মৃত্যুতে রোনালদোর আবেগঘন বার্তা
- অনেকে জামানত বাজেয়াপ্তের ভয়ে আনুপাতিক নির্বাচন চান: সালাহউদ্দিন
- যেভাবে মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার
- বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী বলে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
- তরুণ ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে বিএনপি, দ্বিতীয় জামায়াত
- তানভিরের ৫ উইকেট, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
- মধ্যরাতেই নারী দলের সংবর্ধনা, ভক্তদের নানা পরিকল্পনা
- কঠোর নিরাপত্তায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত
- পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার দেশকে কারবালার প্রান্তর বানিয়েছিল: মির্জা ফখরুল
- এখনও চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী-মাফিয়া সিস্টেম বদলায়নি: নাহিদ ইসলাম
- ‘রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবর্তন ঠেকানো যাবে’
- চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত
- ডেঙ্গু আক্রান্ত ১২ হাজার ছাড়াল
- ইরান ভিন্ন জায়গায় পরমাণু কর্মসূচি ফের শুরু করতে পারে: ট্রাম্প
- ‘মবে’ জড়িতদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- জরুরি অবস্থা নিয়ে সংসদে বিস্তারিত বিতর্ক হওয়া উচিত: সালাহউদ্দিন
- ইরান ও ফিলিস্তিনের পক্ষ নিলেন ব্রিকস জোটের নেতারা
- সীমান্তে আগ্রাসন আর মেনে নেব না : নাহিদ ইসলাম
- নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
- মন্ত্রণালয়ের কাজের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস যেন উঠে আসে
- চিকিৎসা না পেলে আবার জুলাই হবে : পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের হুঁশিয়ারি
- এ অবস্থায় ভোট হবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণহত্যার শামিল: জামায়াত আমির
- জরুরি অবস্থা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করতে সব দল একমত
- নতুন আইন কোনোভাবেই প্রেস ফ্রিডমে হস্তক্ষেপ করবে না: প্রেস সচিব
- হাসিনা-রেহানাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ
- জুনে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ
এর সর্বশেষ খবর
- এর সব খবর
