thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

সাত খুন মামলার পিপির মেয়েকে হত্যার চেষ্টা

২০১৭ আগস্ট ২৩ ২১:২৩:২৪
সাত খুন মামলার পিপির মেয়েকে হত্যার চেষ্টা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : আলোচিত সাত খুন মামলা পরিচালনা করা নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকনের মেয়ে মাইশা ওয়াজেদ প্রাপ্তিকে (১৯) হত্যা ও অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় বিষ মেশানো কিছু ওই মেয়ের মুখে প্রবেশ করিয়ে অচেতন করে অপহরণের চেষ্টা করা হয়।

বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের বিপরীতে হাজী মঞ্জিল ভিলার নিচ তলায় ওই ঘটনা ঘটে। পরে সেখান থেকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে ২২ আগস্ট মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় নিম্ন আদালত প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২৬ জনের মধ্যে ১১জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত অপর ৯জনের সাজা আগেরটিই বহাল আছে। নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি ছিলেন ওয়াজেদ আলী খোকন। মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে কখনো আসামি পক্ষের চোখ রাঙানি, আসামি পক্ষের আইনজীবীদের রোষানলে পড়লেও শেষতক কড়াভাবেই আইনী লড়াই চালান ওয়াজেদ আলী খোকন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, হাজী মঞ্জিলের চতুর্থ তলায় তৌহিদুল ইসলামের ‘ম্যাথ’ কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ে প্রাপ্তি। প্রতিদিনের মতো বিকেল ৬টায় প্রাপ্তি প্রাইভেট পড়ার জন্য আসে। ওই সময় একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে কয়েকজন যুবক এসে তার গতিরোধ করে। এরপর প্রাপ্তির কাছে তার কাছে তার বাবার নাম জানতে চায়। পরে দুর্বৃত্তরা তার বাবার প্রশংসা করে তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এসময় প্রাপ্তি মিষ্টি খেতে অনীহা প্রকাশ করলে দুর্বৃত্তরা একটি পলিথিনে থাকা বিষাক্ত কিছু জোর করে তার মুখে ঢেলে দেয়। বিষয়টি আশপাশের লোকজন দেখতে পেলে দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে দ্রুত দুই নং রেল গেট দিয়ে পালিয়ে যায়।

এক পর্যায়ে প্রাপ্তি মুঠোফোনে বিষয়টি তার বাবা ওয়াজেদ আলী খোকনকে জানালে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে শহরের ৩০০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হলে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনাস্থল থেকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শাহীন পারভেজ জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার একেএম তারেক জানান, প্রাপ্তিকে বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছিল। সেটা ইতোমধ্যে ওয়াশ করা হয়েছে। এখন সে শঙ্কামুক্ত।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, আমরা প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার থেকে জেনেছি, ৩ জন যুবক মেয়েটিকে বিষক্ত কিছু খাওয়ানারে চেষ্টা করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

(দ্য রিপোর্ট/এজে/এনআই/আগস্ট ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর