thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে 24, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১০ জিলকদ  1445

উ. কোরিয়ার হুমকির ‘ব্যাপক সামরিক জবাব’ দেবে যুক্তরাষ্ট্র

২০১৭ সেপ্টেম্বর ০৪ ১০:০৭:৫৬
উ. কোরিয়ার হুমকির ‘ব্যাপক সামরিক জবাব’ দেবে যুক্তরাষ্ট্র

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার যেকোনো হুমকির ‘ব্যাপক সামরিক জবাব’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাট্টিস।

কঠোর বামঘেঁষা উত্তর কোরিয়ার সবশেষ পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ব্রিফিং করার পর ব্যাপক সামরিক জবাব দেওয়ার হুংকার দিলেন পেন্টাগন প্রধান মাট্টিস।

পিয়ংইয়ং দাবি করেছে, তারা এমন হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করেছে, যা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়। পরমাণু বোমার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা। তবে তাদের এ ধরনের পদক্ষেপের কড়া নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব।

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক চাপের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পরমাণু অস্ত্রের উন্নয়ন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করছে উত্তর কোরিয়া। তারা এমন সব পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার দাবি করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে পারে।

জেমস মাট্টিস হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও নিজেদের প্রতিরক্ষার ক্ষমতা আছে যুক্তরাষ্ট্রের এবং এই প্রতিশ্রুতি লৌহকঠিন।

ব্যাপক সামরিক জবাবের ব্যাখ্যায় মাট্টিস বলেন, উত্তর কোরিয়াকে ‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ’ করার ইচ্ছা আমাদের, কোনো দেশকে পুরোপুরি বিনাশ করার নয়।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।

তবে এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ার করেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকলে সেসব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে যুক্তরাষ্ট্র।

রোববার উত্তর কোরিয়ায় উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর আগে যে জায়গায় তারা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, সে স্থানে ভূমিকম্পের কেন্দ্র। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৩। তবে কিছু সময় পরে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, এটি ভূমিকম্প নয়।

এরপর উত্তর কোরিয়া খোলামেলা ভাষায় জানায়, এটি হচ্ছে তাদের ষষ্ঠ এবং সবচেয়ে শক্তিশালী পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা। দেশটির শাসক কিম জং-উন বলেন, এটি এক ধরনের নতুন হাইড্রোজেন বোমা।

তবে উত্তর কোরিয়ার এ দাবির সত্যতা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। তবে তারা এ-ও বলছেন, দিন দিন দেশটির পরমাণু সক্ষমতা বাড়ছে।

উত্তর কোরিয়া এ নিয়ে মোট ছয়টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং দুটি আন্তঃমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি রকেট ইঞ্জিনের পরীক্ষা চালিয়েছে। কয়েক দিন আগে তারা জাপানের দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। এ নিয়ে জাপানিদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞা এবং চীনের সতর্কতা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে। এ অবস্থায় বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর