thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি 25, ২৮ পৌষ ১৪৩১,  ১১ রজব 1446

যশোরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে ঘিরে দুই পক্ষ মুখোমুখি

২০১৭ নভেম্বর ০১ ১৮:১৭:০৪
যশোরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে ঘিরে দুই পক্ষ মুখোমুখি

যশোর অফিস : যশোরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। সাবেক জেলা কমান্ডার মুযাহারুল ইসলাম মন্টু পক্ষীয়দের অভিযোগ ‘অনৈতিক সুবিধা নিতে’ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে বর্তমান কমান্ডার রাজেক আহম্মেদ ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। তবে রাজেক পক্ষীয়দের দাবি আইন মেনেই তারা ক্ষমতায় আছেন। একটি চক্র ‘অনৈতিক সুবিধা আদায়’ করতে না পেরে তাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।

গত ২৮ অক্টোবর সাবেক জেলা কমান্ডার মুযাহারুল ইসলাম মন্টু তার অনুসারীদের নিয়ে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে অভিযোগ করা হয়, ‘বর্তমান কমিটির মেয়াদ গত ৩ জুন শেষ হয়েছে। কিন্ত তারা ক্ষমতায় না ছেড়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। এমনকি মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলার পরেও জেলা কমান্ডার রাজেক আহমেদ তা মানছেন না। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করলে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা।’

এই সংবাদ সম্মেলনের চারদিন পর বুধবার (১ নভেম্বর) রাজেক আহমেদ তার অনুসারীদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করেন।

সেখানে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণায় থেকে আমাকে প্রথমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বললেও পরে চিঠি দিয়ে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একটি অংশ এই ইস্যুতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমি ‘দূরাভিসন্ধিমূলকভাবে’ ক্ষমতা ধরে রেখেছি বলে উল্লেখ করেছে। যা অত্যান্ত দূঃখজনক। এছাড়া প্রেসক্লাব যশোরে যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা বিভিন্ন সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তারা সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ‘ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কারিগর’ হিসেবে পরিচিত। অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে তারা অন্যায়ভাবে অর্থবাণিজ্য করেছেন বলে জনশ্রুতি আছে।’

লিখিত বক্তব্যে রাজেক আহমেদ আরো বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রমে যশোরের ৫৭ জন ভারতীয় ও লাল মুক্তিবার্তা নম্বরধারী মুক্তিযোদ্ধা গেজেটধারীকে ‘না’ তালিকায় এবং অপর চারজনকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ৮০০ জন নতুন আবেদনকারীর মধ্যে ৪২ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রস্তাব করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যারা বাদ পড়েছেন তাদের কাছ থেকে কেউ কেউ লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন। এখন তাদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় না উঠাতে না পেরে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে তারা অপ্রচার চালাচ্ছেন।’

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ০১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর