thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে না

২০১৭ নভেম্বর ২০ ২০:২১:৪১
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে না

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আপাতত বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। এ বয়সসীমা তাই আপাতত ৩০ বছরই থাকছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে এমনটাই জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে তার হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক বলেছেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩ থেকে ২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকেন। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য ছয় থেকে সাত বছর সময় পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।’

মন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাঁদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের বেশি, তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।’

সংসদে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি করেছিলেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজি।

সরকারি দলের সদস্য মোরশেদ আলমের এক তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে সংসদে ইসমাত আরা সাদেক বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশের সরকারি অফিস, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরসমূহে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ লাখ ৫৯ হাজার ২৬১টি।’

সরকারি দলের সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘১ম শ্রেণীতে (৯ম থেকে তদূর্ধ্ব) শূন্য পদের সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৪৬টি, ২য় শ্রেণীতে (১০ থেকে ১২তম গ্রেড) শূন্য পদের সংখ্যা ৫৪ হাজার ২৯৪টি, ৩য় শ্রেণীতে (১৩ থেকে ১৭তম গ্রেড) শূন্য পদের সংখ্যা ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৭টি এবং ৪র্থ শ্রেণীতে (১৮ থেকে ২০তম গ্রেড) শূন্য পদের সংখ্যা ৭৩ হাজার ৯৮৪টি।’

তিনি বলেছেন, ‘শূন্য পদে লোক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং এর অধীন সংস্থাসমূহের চাহিদার প্রেক্ষিতে সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে ৮ম, ৯ম ও ১০ থেকে ১২ম গ্রেডের শূন্য পদে জনবল নিয়োগ করা হয়ে থাকে। ১৩ থেকে ২০ গ্রেডের (৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী) পদে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়, বিভাগ দপ্তর ও সংস্থা তাদের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী নিয়োগ দিয়ে থাকে।’

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর