thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে 24, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ৯ জিলকদ  1445

পিলখানা হত্যাকাণ্ড : হাইকোর্টের রায় পড়া চলছে

২০১৭ নভেম্বর ২৬ ০৮:০৭:৪১
পিলখানা হত্যাকাণ্ড : হাইকোর্টের রায় পড়া চলছে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ১৫২ আসামির মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন এবং আসামিপক্ষের খালাস চেয়ে করা আপিলের রায় পাঠ চলছে।


রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে ১ হাজার ৫৫ পৃষ্ঠার এ রায় পাঠ করা হচ্ছে। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

আদালতে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন। এর আগে গত ৯ নভেম্বর প্রকাশিত হাইকোর্ট বেঞ্চটির কার্যতালিকায় ২৬ নভেম্বর রায় প্রদানের জন্য রাখা হয়।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়ে গত ১৩ এপ্রিল ৩৭০ কার্যদিবসে শেষ হয়।

এ সময়ে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান, এ এস এম আবদুল মুবিন, মো. আমিনুল ইসলাম, দাউদুর রহমান মিনা, শামীম সরদার প্রমুখ।
আদালতে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গত ১৩ এপ্রিল এ মামলাটি যে কোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন হাইকোর্ট।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর (বিজিবি) সদর দফতরে ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। ৮৪০ জন আসামির মধ্যে আরও ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫১ জনকে তিন থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালাসপ্রাপ্ত ২৭৭ জনের মধ্যে ৬৯ জন আসামির সাজা চেয়ে হাইকোর্টে ফৌজদারি আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দায়ের করেন রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১০ জন আসামির সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আপিল দায়ের করেন তাদের আইনজীবীরা।

পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড ও কয়েকজনের সাজা বাড়াতে আরও দু’টি আবেদন জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে দেরিতে আবেদন করায় গত ১৩ এপ্রিল আবেদন দুটি বাতিল করে দেন হাইকোর্ট।

এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে গত ৬ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের বাতিলের আদেশটিই বহাল রাখেন।
২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি মামলার সকল ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ বেঞ্চটি গঠন করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। পরদিন ৫ জানুয়ারি বসে ১৮ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করেন হাইকোর্টের ওই বিশেষ বেঞ্চ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ২৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর