thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

নবাবগঞ্জে দুই বান্ধবীর লাশ উদ্ধার 

২০১৮ এপ্রিল ১৩ ২২:৫৩:১৪

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর নার্গিস আক্তার (৪২) ও ময়না বেগম (৫০) নামের দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় শোল্লা ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার আওনা চকের একটি পুকুর থেকে ওই দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারীদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাঁরা পরস্পর বান্ধবী ছিলেন।

নার্গিস আক্তার উপজেলার যন্ত্রাইল গ্রামের ইমান আলীর এবং ময়না বেগম পাশের আজিজপুর গ্রামের জামাল খানের স্ত্রী।

শুক্রবার বেলা একটায় উপজেলার নার্গিসের বড় ছেলে তানভীর আহমেদের অভিযোগ, তাঁর মা নার্গিস আক্তার ও মায়ের বান্ধবী ময়না বেগমকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা একটায় স্থানীয় এক মহিলা পুকুরে পানি আনতে গিয়ে ওই দুই নারীর লাশ ভেসে থাকতে দেখেন। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে। নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বলেন, লাশ দুটি ফুলে উঠেছে এবং পচন ধরেছে। তাই কোনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তবে এটা হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নার্গিস আক্তারের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যার পর নার্গিস আক্তারের মুঠোফোনে একটি ফোন আসে। এ সময় নার্গিসের বাড়িতে ময়না বেগম উপস্থিত ছিলেন। মুঠোফোনে কথা শেষ হওয়ার পর তাঁরা দুজন ঘর থেকে বের হন। পরে নার্গিসের মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। ময়নার মুঠোফোন খোলা থাকলেও কেউ ফোন ধরেনি। তাঁদের খুঁজে না পেয়ে ১০ এপ্রিল রাতে নার্গিসের ছেলে তানভীর আহমেদ ওই দুজনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

নার্গিসের বড় ছেলে তানভীর আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁর মা নার্গিস বেগম ও মায়ের বান্ধবী ময়না বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর মাকে তাঁর বাবা ইমান আলী হত্যা করেছেন বলেও তানভীর অভিযোগ করেন। তানভীর বলেন, নয় বছর ধরে মায়ের সঙ্গে তাঁর বাবার দ্বন্দ্ব চলছে। তাঁর বাবা এ বাড়িতে থাকেন না। পাঁচ বছর আগে বাড়িতে এসে তাঁর মাকে (বাবা ইমান আলী) বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় তানভীর তাঁর মাকে বাঁচিয়েছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তাঁর বাবা মাকে হত্যার হুমকিও দেন। তবে লোকলজ্জার ভয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের এ বিষয়টি কাউকে জানাননি বলে জানান তানভীর।

ময়না বেগমের মেয়ে শিপন আক্তার বলেন, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে তাঁর মা ময়না বেগম বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যা ছয়টায় মায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। এর এক ঘণ্টা পর একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁর মা ফোন ধরেননি। তবে তাঁর মায়ের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই বলে জানান শিপন। তাঁর মাকে যাঁরা হত্যা করেছেন, তাঁদের শনাক্ত করে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান শিপন আক্তার।
দ্য রিপোর্ট/টিআইএম/১৩ এপ্রিল,২০১৮

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর