সাংবাদিককে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে ডিএমপির সামনে মানববন্ধন

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দায়িত্বরত সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদরদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছেন কর্মরত সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) ডিএমপি কার্যালয়ের সামনে দুপুর ১২টার দিকে শুরু হওয়া মানববন্ধন পুলিশের অনুরোধে ১২টা ১৫ মিনিটে শেষ হয়।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বেসরকারি টেলিভিশন বাংলা টিভির সাংবাদিক আরমান কায়সার ও ক্যামেরাপারসন মানিকের ওপর চড়াও হয় মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন।

সংবাদ সংগ্রহের সময় পুলিশের এমন আচরণের প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের অয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন।

মানববন্ধন শুরুর পর ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমানের অনুরোধে সাংবাদিকদের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়। এরপর সাংবাদিকদের তরফ থেকে একটি স্মারকলিপি ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বরাবর প্রেরণ করা হয়।

চার দফা দাবিতে ডিএমপি কমিশনারকে দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘গত সোমবার নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপির মিছিলের সংবাদ সংগ্রহের সময় বাংলা টিভির রিপোর্টার আরমান ও ক্যামেরাপারসন মানিক নির্যাতনের শিকার হন। এতে নেতৃত্ব দেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন ও তার ফোর্স। দায়িত্বরত অবস্থায় একজন সংবাদকর্মীকে যেভাবে প্রকাশ্যে নির্যাতন করা হয়েছে-তা একটা পেশাদার বাহিনীর জন্য লজ্জার। লে গত তিন বছরে ঢাকায় পুলিশ কর্তৃক আরো বেশ কয়েকটি সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নামমাত্র তদন্ত কমিটি গঠন এবং ক্লোজড করার মতো হাস্যকর কিছু শাস্তির ব্যবস্থা হয়েছে। সাংবাদিক একটি মহান পেশা। কোনো সাংবাদিক দায়িত্বরত অবস্থায় পুলিশ সদস্যকে লাঞ্চিত করেছে এমন ঘটনা ইতিহাসে দুষ্কর। সোমবারের ঘটনা সামনে রেখে অতীতের সব নির্যাতনের ঘটনার শাস্তি দাবি করছি।’

স্মারকলিপিতে অতিদ্রুত বাংলা টিভির রিপোর্টার ও ক্যামেরাপারসনসহ বিএনপি অফিসের সামনে নির্যাতনের শিকার হওয়া সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় দোষি ডিসি মতিঝিল ও তার অধস্তন পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

মানববন্ধন থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়েছে। তা হলো-বাংলা টিভির রিপোর্টার ও ক্যামেরাপারসন নির্যাতনকারী পুলিশের শাস্তি। অতীতের ঘটা সব সাংবাদিক নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তি। সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশকে আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান, ক্র্যাবের সিনিয়র সদস্য দীপু সরোয়ার, আবাদুজ্জামান শিমুল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, রাজু আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রাক্তন সহসভাপতি আবু দারদা জুবায়ের, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাংলাভিশনের সিনিয়র প্রতিবেদক দিপন দেওয়ান, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের প্রতিবেদক রাশেদ নিজাম প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ২৪, ২০১৮)