thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

বিডিজবসের সিইও ফাহিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে

২০১৮ এপ্রিল ২৫ ১৮:১৩:৩১
বিডিজবসের সিইও ফাহিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ কে এম ফাহিম মাসরুরকে (৪৮) ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আটকের কয়েক ঘণ্টা পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলো। পুলিশ বলেছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের আইডির বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে বুধবার বিকেলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান বলেন, ফাহিম মাসরুরের ফেসবুক আইডির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাঁকে ডেকে আনা হয়েছিল। বুধবার বিকেলেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ কে এম ফাহিম মাসরুরের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ছবির ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন পোস্ট করার অভিযোগ রয়েছে। ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা এর আগে জানিয়েছিল, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিডিজবসের প্রধান কার্যালয় থেকে বুধবার সকালে ফাহিম মাসরুরকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় তথ্যপ্রযুক্তি মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা সম্পাদক মো. আল সাদিক।

২২ এপ্রিল কাফরুল থানায় মো. আল সাদিকের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘ফাহিম মাসরুরের ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবির ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আপলোড ও শেয়ারসহ উসকানিমূলকভাবে মিথ্যা ও অপমানমূলক স্ট্যাটাস ও তথ্য আপলোড করে অপপ্রচারের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ দেশে অরাজক পরিস্থিতি ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করেছে এবং একই ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরূপ মিথ্যা, মানহানিকর আইনশৃঙ্খলার অবনতি সৃষ্টিকারী, রাষ্ট্র ও ব্যক্তি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।’

এজাহারে মোট আটটি অভিযোগ উল্লেখ করেন আল সাদিক বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এজাহার দিতে সামান্য বিলম্ব হলো। উপরিউক্ত বিষয় বিবেচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘ফাহিম মাসরুরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সপক্ষে তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে যথেষ্ট পরিমাণ সাক্ষ্য–প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টির অধিকতর তদন্ত চলছে। প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়েই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এপ্রিল ২৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর