thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

হা-মীম গ্রুপের এমডি আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ

২০১৮ মে ২২ ১০:৪৮:৩৯
হা-মীম গ্রুপের এমডি আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি এ কে আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলাবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মীর মো. জয়নুল আবেদিন শিবলী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ৯ মে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা থাকলেও বিদেশি ক্রেতার সাথে পূর্বনির্ধারিত আলোচনা থাকার কারণ দেখিয়ে দ্বিতীয় দফায় হাজির হননি তিনি। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক আজাদকে ১০ দিনের সময় দিয়ে ফের ২২ মে তলব করেছিল।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে হা-মীম গ্রুপের এ কে আজাদকে ৩ এপ্রিল প্রথম তলব করা হলেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন তিনি।

তার বিরুদ্ধে কর-ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী এ কে আজাদের ফনিক্স টাওয়ারের কার্যালয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে অভিযান করেছিল দুদক। দুদকের হটলাইন ‘ওয়ান জিরো সিক্স’ নম্বরে এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন এই সভাপতির বিরুদ্ধে সরকারি জমি আত্মসাতের অভিযোগ আসলে দুদক পরিচালক যায়েদ হোসেন খানের নেতৃত্বে একটি টিম ফনিক্স টাওয়ারের অফিসে যান। প্রায় এক ঘণ্টা ফিনিক্স টাওয়ারে অবস্থান করে ব্যবসায়ী এ কে আজাদকে না পেয়ে তার অফিসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে চলে আসেন। এর পরপরই ওই অভিযোগসহ অবৈধ সম্পদ ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

সূত্র জানায়, এ ছাড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রীতম হোটেলের পাশে কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভাওয়াল রাজ এস্টেট, সিটি জরিপ দাগ নং ১৮১৬, ১৮১২ ও ১৮১৫ দাগের প্রায় ১৫ কাঠা জমি অবৈধভাবে জবরদখল করে তার ওপর স্থাপনা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া ও মিথ্যা ব্যাংক নিলাম দলিল দেখিয়ে এ জমি জবরদখল করেছেন বলে জানা যায়। রমনা মৌজায় সিএস-১৮ এবং ১৯ দাগের রেকর্ডীয় মালিক কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভাওয়াল রাজ এস্টেট। সিটি জরিপ দাগ নম্বর ১৮১৬। জমির পরিমাণ ১৫ কাঠা।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ২২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর