thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ মে 25, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২,  ১৮ জিলকদ  1446

বাজেটে ভর্তুকি বাড়ছে ১০ হাজার ২৫১ কোটি টাকা

২০১৮ জুন ০৭ ২১:৩৭:০৫
বাজেটে ভর্তুকি বাড়ছে ১০ হাজার ২৫১ কোটি টাকা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাড়ছে ১০ হাজার ২৫১ কোটি টাকা।

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। বর্ধিত ভর্তুকিসহ নতুন বাজেটে মোট ভর্তুকি দাঁড়াচ্ছে ৩৮ হাজার ২০৫ কোটি টাকা।

এবার বাজেটে জ্বালানি খাতে নগদ ঋণ বাদে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ও প্রণোদনা রাখা হয়েছে ৩৩ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যা ১৯ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা ছিল। সংশোধিত বাজেটে তা ১৭ হাজার ৩২৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। এদিকে, বাজেটে আগামী অর্থবছরের জন্য জ্বালানি খাতে নগদ ঋণ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটে ছিল আট হাজার ৫০০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, নগদ ঋণ-সহায়তা ভর্তুকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আগামী অর্থবছরে জনপ্রশাসন খাতে ভর্তুকি ও প্রণোদনা থাকছে ১৯ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে যা ছিল আট হাজার ৬০০ কোটি টাকা। তবে মূল বাজেটে তা ছিল পাঁচ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা। এবার ৪২৪ কোটি টাকা ভর্তুকি ধরা হয়েছে প্রতিরক্ষা খাতে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে যা ছিল ৪০৫ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ভর্তুকি থাকছে তিন হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ বরাদ্দ ছিল তিন হাজার ৪২৭ কোটি টাকা, যা সংশোধিক বাজেটে কমিয়ে এক হাজার ৫৭৬ কোটি টাকায় আনা হয়। জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে ৮২১ কোটি টাকা ভর্তুকি ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে যা ছিল ৭৪৭ কোটি টাকা। এবারও নয় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি রাখা হয়েছে কৃষি খাতে। চলতি অর্থবছরেও নয় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি রাখা হলেও পরে বাজেট সংশোধনের সময়ে বরাদ্দ তিন হাজার কমিয়ে ছয় হাজার কোটি টাকায় আনা হয়।

ভর্তুকি, প্রণোদনা ও ঋণ খাতে বাজেট বরাদ্দ গত পাঁচ বছর খুব বেশি বাড়েনি বা কমেনি। এ সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় এক প্রকার স্বস্তিতে ছিলেন অর্থমন্ত্রীও। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে এই খাতে বরাদ্দ কমিয়ে আনার প্রবণতা দেখা যায়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২৭ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভর্তুকি ২৫ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা করা হয়।

এত দিন ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে প্রধানত বিদ্যুৎ, কৃষি, রফতানি, খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য ইত্যাদি খাতে। এবার নতুন করে দেওয়া হচ্ছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি)। ভর্তুকি কম দিতে হলে সরকারের জন্য ভালো। এ হলো সরাসরি জনগণের করের টাকা। ভর্তুকি না দিতে হলে এই টাকা সরকার অন্য কাজে ব্যয় করতে পারে।

ভর্তুকি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিবিদদের পক্ষ থেকেও এক ধরনের সমালোচনা রয়েছে। তাদের মতে, অর্থনীতিতে ভর্তুকি বেশি দিতে হলে সরকারের ওপর আর্থিক চাপ বাড়ে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ০৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর