thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

২ মামলায় খালেদার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার

২০১৮ জুন ১৪ ১২:৪৫:২৫
২ মামলায় খালেদার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির করতে যে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি ছিল, তা প্রত্যাহার করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) ঢাকার পৃথক দুই বিশেষ জজ আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরোয়ানা প্রত্যাহারের এ আদেশ দেন।

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এবং বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক কেএসএম শাহ ইমরান প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের আবেদন করে শুনানি করেন হান্নান ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল ও ফাতিমা খানম নীলা এর বিরোধিতা করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৩ মে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ প্রাক্তন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ করা হয় মামলাটিতে।

উল্লেখ থাকে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুন ১৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর