গল্প
সত্যি-মিথ্যে
পাভেল চৌধুরী
এ বাড়িতে সে শাকআলা বুড়ি বলে পরিচিত। অশীতিপর বৃদ্ধ। হত দারিদ্র। অস্থিসার। একটা জীর্ণ আধময়লা শাড়ি শরীরে পেঁচানো। বয়সের ভারে কিছুটা ন্যুব্জ । মাথায় হালকা চুল প্রায় সবই সাদা। অসংখ্য বলিরেখা খচিত মুখমন্ডল আর গর্তের ভেতরে ঢোকা ক্ষুদে দুটো চোখ, জলজ, তাতে পলক পড়ে দ্রুত।
তাঁর সমাদর নেই এ বাড়িতে, শুধু একজনের কাছে ছাড়া। তিনি এ বাড়ির গৃহকর্ত্রী। বৃদ্ধা সেও তবে এখনও বেশ সবল। হাঁটা চলায় ডাঁটো, কর্তৃত্বেও। সপরিবার ছেলের বাড়ি। দুইজন নাতি ৭ আর ৩ বছর বয়সের। সচ্ছল পরিবার। পরিপাটি দোতলা বাড়ি। বসবাস উপরে, নীচেটা ফাঁকা। কালেভদ্রে কোন অনুষ্ঠান বা বাড়িতে কেউ এলে নীচেটা ব্যবহার করা হয়, তাছাড়া নীচেটা দারোয়ানের অধিকারে থাকে।
শাকআলা বুড়ির এ বাড়িতে অবাধ গতি। গৃহকর্ত্রীর আনুকূল্যে। অন্যথায় দারোয়ানের চোখ এড়ানো সহজ কথা না। প্রায়শই এমন হয়, সম্পর্কে নিতান্ত ঘনিষ্ঠজন হোলেও দ্বাররক্ষীর অপরিচয়ের কারণে ভেতরে ঢোকার অনুমতি পেতে দরজায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, - বিষয়টা বিরক্তিকর শুধু না, অপমানজনকও, কিন্তু উপায় কি? যা দিনকাল পড়েছে বাবা, কখন কে ঢুকে পড়ে, কেউ কি চায় নিকটজন কেউ এসে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকুক, -এ অজুহাতের কোন জবাব হয় না।
শাকআলা বুড়ির ঝুড়িতে থাকে নানাবিধ দেশি শাকশবজি। কখনও কচুর লতি, ঘেটকোল, কলমিশাক, পেঁপে, কুমড়ো, কলা ইত্যাদি, একেবারে মাঠের শবজি, বিষমুক্ত। সেদিকে তাকিয়ে গৃহকর্ত্রীর চোখ জ্বলজ্বল করে ওঠে। তাঁর শৈশব কৈশোর কী যৌবনের সাথে এসবের অবিচ্ছেদ্য সংযোগ যেন নতুন করে সাড়া তোলে মনে। দোতলার ঝকঝকে বারান্দার এক কোণে হাঁটুমুড়ে বসা শাকআলা বুড়ির কাছেই আয়েশ করে চেয়ার এনে বসে গৃহকর্ত্রী। ঝুড়ি থেকে কখনও ক’আটি কচুর শাক কিংবা কচুর লতি বা কলমি শাক মাটিতে রেখে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে শাকআলা বুড়ি বলে, -আজ মা এই পালাম।
গৃহকর্ত্রী রীতিমতো আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়ে; -ও বৌমা বৌমা, বাড়ির বৌ রেহানাকে সে ডাকে।- দেখ, আজকে কি এনেছে, আহা!
(২)
শাশুড়ির ডাককে রেহানা উপেক্ষা করতে পারে না। অনিচ্ছুক পায়ে মুহূর্তকাল এসে দাঁড়ায় আর তার মধ্যেই গৃহকর্ত্রী বলতে শুরু করেন, হয়তো বেখেয়ালে পুনরাবৃত্তি করেন একই কথার;-বোশেখ জষ্টি মাসে তুমার শ্বশুর যখন মাঠ থেকে হাল চষে ফিরতো, সারা গা’য় কাদা, ঘাম, মেজাজ তিরিক্ষি, মাথায় এক বুঝা ঘাস গরুর জন্যি আর ঘাসের মদ্যি গুজা থাকতো ক’আটি কচুর লতি। তখন কি আর কিনা লাগতো এসব বিল থেকে খুশি মতো তুলে আনলিই হলো। যতো খাটনিই হোক আমার পছন্দ যে, কচুর লতি আনতি কখনও ভুল হোতো না।
প্রথমে অবাক বিস্ময়ে রেহানা এই কাহিনী শুনতো। যতো শুনতো ততোই তার বিস্ময় বাড়তো, ভেতরে এক ধরণের ক্ষোভও। হারুনের কাছ থেকে শোনা শ্বশুর সম্পর্কে যাবতীয় কাহিনীর সাথে এই কাহিনীর যোগসূত্র সে খুঁজে পেতো না। শ্বশুর গ্রামে থাকতেন এটা রেহানা জানতো কিন্তু সেই থাকা তো মাঠে হাল-চষে কাদা-মেখে মাথায়-ঘাসের-বোঝা নিয়ে ঘাম-শরীরে বাড়ী ফেরা না। সেই থাকা তো বিস্তর জমি জমা, গোলাভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ নিয়ে হুকুমদারীতে তটস্থ কৃষাণ মজুর মিলে দাপুটে থাকা।
মন খারাপ হয়ে যায় রেহানার। রাত ছাড়া হারুনকে ঘনিষ্ঠভাবে পাওয়া যায় না। রাত পর্যন্ত তাই সে বিষণ্নই থাকে। রাতে অভিমান সিক্ত স্বরে হারুনকে বললো -তুমি তাহলে আমার সাথে মিথ্যে বলেছিলে?
মিথ্যে!- হারুন শঙ্কিত হয়। দৈনন্দিন জীবনে সত্যি মিথ্যের তো বাছবিচার নেই, এখন কোন মিথ্যে কোন অর্থে ধরা পড়লো সেটা তো ভাববারই বিষয়।
শ্বশুর সম্পর্কে তুমি যা বলেছিলে ...।
হারুন ভারমুক্ত হয়ে এবার একটু প্রাণ খুলেই হাসলো। তারপর রেহানার মেঘশুভ্র মুখের চিবুকের ডানপাশে অল্প উপরে মুসুরীর দানার মতো ছোট্ট মিশকালো তিলের উপর তর্জনীর হালকা স্পর্শ রেখে রসতীর্ণ গলায় বললো, -তা না বললে তুমি তিন বছর ধরে আমার সাথে প্রেম করতে? যদি জানতে ছেলের বাবা হদ্দ চাষা তবে দশ মাইল দূরে ছিটকে যেতে তোমার সময় লাগতো?
(৩)
হারুনের সরল স্বীকারোক্তি রেহানা সহজভাবে নিতে পারে না। আর সেটা বুঝেই যেন রেহনাকে ঘনিষ্ঠভাবে নিয়ে সে গভীর আবেগে বলে- শোন, এসব নিয়ে এতোসব ভাবতে নেই, কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যে এতোসব বাছবিচারের দরকার কি? তুমি কেমন আছো সেটাই আসল কথা, খারাপ? বলো?
রেহানা খারাপ নেই রেহানা জানে, কাজেই এ প্রসঙ্গ মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে তার সময় লাগে না।
এ সব বিষয় শাকআলা বুড়ির এ বাড়ি প্রবেশে সমস্যা হয় না। গৃহকর্ত্রীর অবাধ প্রশ্রয়ে সে অন্তত সপ্তাহে বার দুই আসে। দোতলার বারান্দায় জাক করে বসে হালফিল গল্প ছুড়ে দেয়।
শ্রোতা গৃহকর্ত্রী, তার গভীর মনোযোগ, অদম্য কৌতুহল কোনভাবেই নিরস্ত হয় না।
- এখন যে এইসব শাকপাতাড়ি আনো, কোথায় পাও?
আমার বাগানের কিছু,-গর্বের সাথে সে বলে,-জমিতো আমার না, জমি কনে পাবো? রেল লাইনির পাশে থাকি। রেলের জমিতি লাগাই। সার বিষ-তেল দিলি শাক শবজি বলো, পেঁপে কুমড়ো বলো, এসব ভাল হয়, বাজারে দেখো না, আমি দিইনে, তুমরা বারণ করো যে মা।
না না প্রায় আৎকে ওঠেন গৃহকর্ত্রী। -ওসব দেবে না, তুমার কাছ থেকে দরদাম না করে নিই কেন, ওসব দেও না বলেই তো নিই। চারিদিক যা অবস্থা মানুষ বিষ খেয়েই সব শেষ হয়ে যাবে।
এইসব কথপোকথনের সময় রেহানা তার পায়ের দাপটে আশেপাশে নিজের উপস্থিতি ঘোষণা করে কিন্তু কাছে দাঁড়িয়ে কখনও জল্পনায় অংশ নেয় না। শাকআলা বুড়ি বোঝে বাড়ীর বৌ তাকে পছন্দ করে না কিন্তু গৃহকর্ত্রী অতোদুর বুঝতে চায় না।
-আগে ছিলো কি মা; রেল লাইনির পরেই, উরে বাবা, মাঠ আর মাঠ, ধান পাটের আবাদ। বর্ষা একটু বেশি হলি সব বুড়ে যাতো, তখন শুধু পানি, পানির শেষ নেই, সাগর। কচুর লতি বলো, শাকপাতাড়ি বলো, তখন কিসির অভাব, হাত বাড়ালিই মুঠো মুঠো পাওয়া যেতো। আর এখন...।
(৪)
শাকআলা বুড়ি একটু চুপ করে যেন অতীত আর বর্তমানের পার্থক্যটা মিলিয়ে নিতে চায়; তারপর আবার শুরু করে...
-ওদিকটায় গিয়েছো কোনোদিন? রাতারাতি কি হয়ে গেলো, কুথায় বিল, কুথায় ধান পাটের ক্ষেত। এখন শুধু বিল্ডিং...।
শাকআলা বুড়ি দুই হাত উপরে তুলে যেন বিল্ডিং গুলোর আকার বোঝাতে চায়-সব আকাশ ছোয় ছোয়, আমি ভাবি রাতারাতি এসব কারা বানায়, মানুষ না দত্যি ? এখন শাকপাতাড়ি খুঁজে পাতি কতো কষ্ট, এ ঘোজ সে ঘোজ আর পেরে উঠিনে।
বয়স তো কম হলো না, কি করবো, কষ্ট করি, বাঁচতি তো হবে।
শাকআলা বুড়ির জীবন সংগ্রামের এই সব কাহিনী শুনতে শুনতে গৃহকর্ত্রী কেমন ঘোরের মধ্যে চলে যায়। তার চোখে কি ভেসে ওঠে আজ থেকে প্রায় ৪০/৫০ বছরের সেই অতীত ? সেই বিস্তীর্ণ বিল, বিলের শুনশান নীরবতা। সেই নিথর প্রান্তরের জমাট নিস্তব্ধতা ভেদ করা নিশুতি রাতের শেষ প্রান্তে ভেসে আসা অপার্থিব সব শব্দ- নাম না জানা পাখি, নিশাচর কোনো প্রাণির ডাক! আজকের গৃহকর্ত্রীর সংসার ছিলো এই বিলের ধারে, কয়েক ঝাড় বাঁশ বাগানের ভেতর, মাটির দেওয়াল আর খড়ের চালের একটা ঘরে।
এই আবাসস্থলের ভেতরেই অনেকটা একাকি এখনকার গৃহকর্ত্রী তাঁর জীবন যৌবনের অনেকটা কাটিয়েছে। ভয় তাঁর করতো প্রথম প্রথম পরে ওতোপ্রত একাত্ম হয়েছে। হারুণের বাবা সম্মন্ন কৃষক ছিলো না, ছিলো প্রান্তজন। টানাপোড়েন আর্থিক অসচ্ছলতার ভেতরই হারুণ বড়ো হচ্ছিলো অনেকটা অলৌকিক ভাবে, তাঁর বর্তমান অবস্থার সাথে অতীতের সেই অবস্থার সামান্য কোনো সম্পর্কসূত্রও এখন আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। হারুণের বাবা মারা গেছেন প্রায় ২৫ বছর হয়। তখন সবে দেশ স্বাধীন হয়েছে। পাওয়া না পাওয়ার প্রশ্নে জেগে ওঠা।
সামাজিক কম্পন সারা দেশজুড়ে ঝড়ের আভাস দিচ্ছে। ঠিক সেই সময়েই হারুনকে নিয়ে হারুনের মাকে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিলো।
হারুন অতীতের কথা ঘুণাক্ষরেও মনে আনে না, হারুনের মা অতীতকে মন থেকে মুহূর্তের জন্যেও তাড়াতে পারে না, - তার সামান্য কিছু প্রকাশ হয় শাকআলা বুড়ির কাছে, অন্য কোথাও সামান্যতমও প্রকাশিত হয় না।
(৫)
এ বাড়ির গৃহকর্ত্রীর কাছে শাকআলা বুড়ির প্রশ্রয় তাই এতোবেশী।
এই নাও মা, -শাকআলা বুড়ি তার ঝুড়ি থেকে একটা ঘেয়ো পেঁপে তুলে পাশে রাখে।- কতো কষ্টে রাখিছি, রাখা যায়! বাদুড় পাখি সব যেন হামলে পড়ে। পেঁপেটার গা’য় পরিপক্কতার লাল ছোপ।-আর এই যে কচুর লতি।
এক বান্ডিল কচুর লতি তুলে সে পেঁপেটার পাশে রাখে;-কতো ঘুরে ঘুরে জুগাড় করলাম, কতো কষ্ট, কেউ বোঝপে ? এ কটা খুঁজে পাতিই আমার সারা বেলা গেলো।
কৃতজ্ঞতায় গৃহকর্ত্রীর চোখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
একেবারে প্রকৃতিজাত বিষমুক্ত এসব শবজি কোথায় মেলে, শাকআলা বুড়ি ছাড়া এ সবের যোগান দেবে কে ?
গৃহকর্ত্রী আবেগে আপ্লুত হয়ে যায়। তাঁর সামনে বসা দরিদ্য অপুষ্টি আর বয়সের নির্মম আঁচড়ে ক্ষত বিক্ষত শাকআলা বুড়ির উপর সহানুভূতির বৃষ্টি ঝরে পড়তে থাকে। আর ঠিক তখনই দুপ্ দাপ্ পা’য়ে রেহানা সেখানে এসে দাঁড়ায়;- এসব কিছু বিশ্বাস করবেন না মা, ডাহা মিথ্যে। বাজারের যতো বাতিল আনাজপাতি কুড়িয়ে এনে আপনার কাছে মিথ্যে বলে চালায়। রেল লাইনের ধারে আমি গিয়েছিলাম, কোথায় বাগান কোথায় কি; কয়েকটা ঝুপড়ি ছাড়া একটা কুটোও নেই, -বলো সত্যি না? আঙ্গুল তুলে সে জেরা করে শাকআলা বুড়িকে।
গৃহকর্ত্রী শাকআলা বুড়ি দুজনেই বিমুখ চোখে তাকায় রেহানার দিকে।
কিন্তু রেহানার এই যে আবিষ্কার সেটাকে সে প্রমাণ না করে ছাড়বে কেন? - কতোদিন আপনাকে বলেছি ধান্দাবাজ এই বুড়িকে বাড়ি ঢুকতে দেবেন না, শোনেননি, আর এখন ও চুপ করে আছে কেন, মাথার মধ্যে কোন শয়তানি আছে কে জানে! -ধারালো হয়ে ওঠে রেহানার গলা।
এই আক্রমণে শাকআলা বুড়ির কোনো প্রতিক্রিয়া হয় বলে বোঝা যায় না বরং এতোক্ষণ সে যে আয়েশ করে বসেছিলো; তার র্জীর্ণ প্রায় ঝুড়ি, ঝুড়ির পাশে বিছানো গামছা, ছোটো একটা কোটো ইত্যাদি খুব যত্নের সাথে গুছাতে থাকে।
গৃহকর্ত্রী এবার উত্তেজিত হয়ে ওঠে,-বলো, কথা বলছো না কেন? এতাদিন তুমি সব মিথ্যে বলেছো?
(৬)
মিথ্যে না বললি তুমরা নিতে ? মিথ্যে বলছে না কে ? গাড়ি বাড়ির জন্যি মিথ্যে বলছি ? বাঁচপো না!- শুধুমাত্র নিজেকে শুনিয়ে নিজের জন্যেই যেন কথাগুলো বললো শাকআলা বুড়ি।
শাকআলা বুড়ির এই নির্জলা স্বীকারোক্তি, এতোদিনের বিশ্বাসভঙ্গ, গৃহকর্ত্রী সহ্য করতে পারে না। বয়সের জড়ত্ব ভুলে স্প্রিং এর মতো লাফিয়ে উঠলেন তিনি, তারপর দ্রুত পা’য়ে ঘর থেকে একটা পঞ্চাশ টাকার নোট এনে শাকআলা বুড়ির দিকে বাড়িয়ে দিলেন- এই নাও, আর কোনোদিন যেন এই বাড়ির ত্রিসীমানায় তোমার না দেখি, তোমাকে এতো বিশ্বাস করি আর তুমি কিনা.... প্রচন্ড রাগে গৃহকর্ত্রীর কথা আটকিয়ে যায়, শুধু তাঁর ঠোঁট দুটো থর থর করে কাঁপতে থাকে।
এই উত্তেজনা শাকআলা বুড়িকে কিছু মাত্র ষ্পর্শ করে বলে মনে হয় না। নির্বিকার ভাবে সে হাত বাড়িয়ে টাকাটা নেয়, সযত্নে আঁচলে বাঁধে। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে যথারীতি ঝুড়িটা কাঁখে নিয়ে সিড়ির রেলিং ধরে ধীর পা’য়ে নীচে নামতে থাকে।
দীর্ঘদিনের ঘনিষ্টজনের সম্ভাব্য বিচ্ছেদে বিপর্যস্ত গৃহকর্ত্রী সিঁড়ির ধারে এসে রেলিং ধরে দাঁড়ায়। শাকআলা বুড়ি তো তাঁর কাছে শুধু শাকবিক্রেতাই না আরও কিছু আর এই আরও কিছুর বিচ্ছেদ বেদনাকে আড়াল করতেই যেন তিনি জোর গলায় বলেন-খবরদার, এ বাড়িতে আর কখনও যদি তোমাকে দেখি সোজা পুলিশে দিয়ে দেবো, জালিয়াত মিথ্যুক।
শাকআলা বুড়ি থমকে দাঁড়িয়ে মুখ তুলে কয়েক মুহূর্ত গৃহকর্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর যথারীতি সিঁড়ি দিয়ে নামে। গৃহকর্ত্রীর নিষেধাজ্ঞার গুরুত্ব তার কাছে কতোটুকু বোঝা যায় না। নিজেকে শুনিয়ে নিজের জন্যেই যেন সে আবার বলে-মিথ্যে বলছে না কে ? গাড়ি বাড়ির জন্যি বলছি? বাঁচবো না!
( দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ২২,২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব
- গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
- গণঅভ্যুত্থানের ছাপ রেখে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল
- আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- খেজুরের আমদানি শুল্ক কমল, থাকছে না অগ্রিম করও
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির আকার বাড়ল
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ
- খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : ফখরুল
- বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- "সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত"
- এদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেলেন এ এম এম নাসির উদ্দীন
- ডিএসইর পরিচালক নাহিদ হোসেন ওএসডি
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- ২০২৫ সালে ভারতের কেরালায় খেলবে আর্জেন্টিনা
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- বিদায় বেলায় ঢাকায় আসছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে অবরোধ অটোরিকশাচালকদের, যান চলাচল বন্ধ
- এবার শুনানিতে উঠছে জামায়াত নিবন্ধনের আপিল
- "বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়"
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
- সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
- ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
- ফ্যাসিস্টের মতো কারও ভয়েস কেড়ে নেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
- মুজিববর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের খরচ ১২৬১ কোটি
- নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রুখে দেওয়ার বিধান চায় ইসি
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন
- সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা
- আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- দূষণ ধুয়ে ফেলতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির আবেদন
- সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি: দুই ব্রোকারেজ হাউজকে জরিমানা
- আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পেলেন নীড়
- খেলাপিদের ঘটিবাটি বিক্রি করে অর্থ আদায় করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র
- বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ কিন্তু সফল হয়নি: হাসনাত
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- আ. লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- সন্দেহটা কোথায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন ফখরুলের
- টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে চারজন নিহত
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেফতার
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিলেন বাইডেন
- আইসিবির লভ্যাংশ ঘোষণা
- হালান্ডের আরও এক হ্যাটট্রিক, আইরিশদের গোলবন্যায় ভাসাল ইংল্যান্ড
- প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ৭ উইকেটে ২৫৩
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- আগামী বছর ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৭ দিন
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- সব অপরাধের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা, মন্ত্রী-এমপিরা ছিলেন সহযোগী
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- পাকিস্তান থেকে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনারে যেসব পণ্য এলো
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- তৃতীয়বারের মত সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- হাসিনার জন্য আরেকটি তাজমহল বানান: ভারতকে রিজভী
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ৩৩ শতাংশের বেশি
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- এ যুদ্ধ তো হবেই, কোন না কোন ফর্মেটে: উপদেষ্টা মাহফুজ
- সামরিক কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল ৬০ দিন
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া