জার্মানি নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে যায়। জয় পায় দ্বিতীয় ম্যাচে। তৃতীয় ম্যাচের হার আর অন্য ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে সুইডনের জয় তাদের ছিটকে দিয়েছে। গ্রুপ ‘এফ’ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে গেল মেক্সিকো এবং সুইডেন। গ্রুপ সেরা হল সুইডেন। রানার্সআপ মেক্সিকো। তিন নম্বরে সাউথ কোরিয়া। আর চারে থেকে বিদায় নিতে হল জার্মানিকে।
বিশ্বকাপে শেষ পাঁচ বছরে এই নিয়ে চারবার গ্রুপ পর্ব থেকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের পতন হল। ২০০২ সালে তাড়াতাড়ি বিদায় নেয় ফ্রান্স, ২০১০ এ বিদায় নেয় ইতালি এবং ২০১৪তে স্পেন।
জার্মানি মুলারকে বসিয়ে রেখে শুরুর একাদশে ওজিলকে খেলায়। আগের মতোই তারা ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে শুরু করে। কোরিয়া ৪-৪-২।
প্রথমার্ধে জার্মানি ৭৫ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে। তাদের টার্গেটে শট ছিল দুটি। প্রথম ৪৫ মিনিটে তারা ৩৫১টি পাস খেলেও গোল বের করতে পারেনি।
এর ভেতর ১৯তম মিনিটে তারা বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পায়। জুং ভু-ইয়ং ৩০ গজ দূর থেকে ফ্রি-কিক নেন। জার্মান গোলরক্ষক ন্যয়ার সেটি বুকে নিতে গেলে ফসকে যায়। কোরিয়ান স্ট্রাইকার ছুটে আসতে আসতে কোনমতে এক হাত দিয়ে বল বাইরে পাঠাতে সক্ষম হন তিনি।
ন্যয়ার ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন বাইরে ছিলেন। সেপ্টেম্বরের পর এটি তার তৃতীয় ম্যাচ।
৩৯ মিনিটের সময় বক্সের ভেতর টিমো ওয়েনার বল দেন হামেলসকে। গোললাইন থেকে ৪ গজ দূরে ছিলেন। ভিড়ের ভেতর তালগোল পাকিয়ে শট নিতে ব্যর্থ হন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে দারুণ একটি সুযোগ সৃষ্টি করে জার্মানি। জশুয়া কিমিচ লিওন গোরেৎজকার জন্য দেখার মতো একটি ক্রস পাঠান। গোরেৎজকা লাফিয়ে হেডও করেন। বল যায় ডানদিকে। কোরিয়ান গোলরক্ষক চো হিউন-ওয়ু পাখির মতো উড়ে একহাত দিয়ে বল বের করে দেন।
৬৪তম মিনিটে গোরেৎজকাকে উঠিয়ে মুলারকে নামান জোয়াকিম লো। এর ভেতর কোরিয়া গোলের দেখাও পেয়ে যায়। বল জালে জড়ান কিম ইয়ং-গোন। কিন্তু রেফারি সেটি প্রথম দফায় অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল করে দেন। পরে রিপ্লে দেখে তিনি জানিয়ে দেন এটি গোল।
গোল হজম করে জার্মানির সবাই উপরে উঠে আসেন। গোলরক্ষক ন্যয়ারও। সেই সুযোগে জু সে-জং ৮০ গজ দূর থেকে স্ট্রাইকার সন হিউং-মিনকে বল দেন। তিনি ফাঁকা জালে বল জড়ালে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ হয় জার্মানদের।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ জুন ২৭, ২০১৮)