৩ জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২, আহত ১

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : যশোরের ঝিকরগাছায় ও নরসিংদীর সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ জুন) গভীর রাত থেকে শনিবার (৩০ জুন) ভোর পর্যন্ত এসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

যশোর : যশোরের ঝিকরগাছায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ টোকন (৩২) নামে এক চিহ্নিত সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৩০ জুন) ভোর পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার কায়েমখোলা মাঠ এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

টোকন ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আসলাম মাস্টারের ছেলে।

ঝিকরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহযোগিতায় যশোরে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী টোকনকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভোরে টোকনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য উপজেলার কায়েমখোলা মাঠ এলাকায় গেলে টোকনের সহযোগী সন্ত্রাসীরা গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় টোকন। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা-বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, টোকনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, মাদকসহ ২৭টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি, পাঁচটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

নরসিংদী : নরসিংদীতে ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইদ্রিস নামে ইজিবাইক ছিনতাইকারী ও হত্যা মামলার আসামী নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (২৯ জুন) রাত ২টার দিকে নরসিংদীর সদর উপজেলার মধ্য শিলমান্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গাফ্ফার গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার দুপুরে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল এলাকা থেকে ইদ্রিসকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মতে তাকে সঙ্গে নিয়ে নরসিংদী সদর থানার মধ্যশিলমান্দী আবদুল্লা ডাইং এর পাশে পৌঁছলে অজ্ঞাত ২ জন ইদ্রিসকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও তাদেরকে পাল্টা গুলি করে। এতে ইদ্রিস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আব্দুল জলিল (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

শনিবার (৩০ জুন) ভোররাতে উপজেলার গাওচুলকা সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার আব্দুল জলিল উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের উত্তর গোতামারী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকের চালান অন্য জেলায় পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার গাওচুলকা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি চালায়। পরে পুলিশও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে আব্দুল জলিলের ডান পায়ে গুলি লাগে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। জলিলের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সময় হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় কুমার ও কনস্টেবল সত্যজিৎ রায় আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুন ৩০, ২০১৮)