বিবিসি জানায়, সম্প্রতি থাইল্যান্ডের ১১ বছর বয়সী এক শিশুর বিয়ে হয় ৪৫ বছর বয়সী মালয়েশিয়ার এক ব্যক্তির। ওই ব্যক্তি আর আগেও দুটি বিয়ে করেছে এবং ৬ টি সন্তান আছে।
তবে মালয়েশিয়ার সরকার বলছে তাদের কাছে এই বিয়ের কোন নথি নেই। থাইল্যান্ডে হওয়া বিয়েটির তদন্ত করছে তারা।
এদিকে শিশুর বাবা-মা বলছেন, তাদের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে এবং মেয়ের স্বামী যদি রাজী থাকে তাহলে বয়স ১৬ বছর হওয়া পর্যন্ত তারামেয়কে কাছে রাখতে চান।
শিশুটির পরিবার মালয়েশিয়ার কেলানতান শহরে কাজ করেন। দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই বিয়েটি শিশুটির পরিবারের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে করা হয়েছে। এটি একটি বাণিজ্য।
বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই সমালোচনা শুরু হয়। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থাও এই বিয়েকে ‘দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছে।
মালয়েশিয়ায় মেয়েদের বিয়ের বয়স আইনগতভাবে ১৮ বছর হলেও ইসলামি শরীয়াহ আদালত চাইলে ১৬ বছরের কম বয়সী মেয়েদেরেও বিয়ের অনুমতি দিতে পারে।
তাদের কাছে এই বিয়ের নথি না থাকায় দেশটির নারী, পরিবার ও সমাজ উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, শরীয়াহ আদালতের অনুমতি ছাড়া যেকোন বিয়ে অবৈধ এবং এ কারণে বরকে ৬ মাস পর্যন্ত জেল খাটতে হতে পারে।
মানবাধিকার কর্মীরা এই বিয়ের সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, ১১ বছরের শিশুকে বিয়ে করা যৌন নিপীড়নের সামিল। দেশটিতে ইতোমধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ১৬ হাজার মেয়ে শিশুর বিয়ে হয়েছে।
গত বছর দেশটিতে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন করেছে, তবে শিশুদের বিয়েকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করেনি।
গত সপ্তাহেও রাজধানী কুয়ালালামপুরে ‘মেয়েরা নববধু না’ বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনও শিশুদের বিয়ের আগের আইন মেনেই শেষ হয়।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ জুলাই ০২,২০১৮)