ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে মেক্সিকো বুঝিয়ে দেয় বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নয় তারা। অধিনায়ক আন্দ্রেস গুয়ার্দাদো প্রথমে শট নেন তখন। যদিও ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার সতর্ক থাকায় লক্ষ্য পূরণ হয়নি তার।
জবাব দিতে দেরি করেনি ব্রাজিলও। পঞ্চম মিনিটে নেইমারের ২০ গজী শট পাঞ্চ করে ফিরিয়ে দেন মেক্সিকো গোলরক্ষক ওচোয়া।
চার বছর আগে নেইমারকে একাধিকবার হতাশ করেছিলেন ওচোয়া। মেক্সিকান গোলরক্ষক এই ম্যাচেও থাকলেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ডদের সামনে বাঁধার দেয়াল হয়ে। ম্যাচের ২৫ মিনিটে যে শটটি নিলেন নেইমার, ওচোয়া দুর্দান্ত রিপ্লেক্সে ফিরিয়ে সেলেসাওদের বঞ্চিতই করলেন।
নেইমার তখন পারেননি। ৩২ মিনিটে কৌতিনহোও পারেননি ওচোয়া দেয়াল ভাঙতে। ডি-বক্সের ভেতর থেকে জোরাল শট নিয়েছিলেন বার্সা তারকা। কিন্তু আবারও সেলেসাওদের হতাশয় ডোবান মেক্সিকান গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও একবার ব্রাজিলের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান ওচোয়া। ৪৮ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরের ১২ গজ থেকে শট নেন কৌতিনহো, ওচোয়া না হলে হয়ত গোল পেয়েই যেত ব্রাজিল!
তিন মিনিট বাদে আর আক্ষেপটা থাকেনি সেলেসাওদের। ত্রাতা হয়ে আসেন নেইমার। ৫১ মিনিটে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ডি-বক্সের বামপ্রান্ত দিয়ে ক্রস করেন উইলিয়ান। ওচোয়া হাত বাড়িয়েছিলেন, কিন্তু ছুঁতে পারেননি। তার গ্লাভসে চুমু দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল স্লাইড করে জালে জড়িয়ে ওচোয়া বৃত্ত ভাঙেন নেইমার।
কেবল মেক্সিকো গোলরক্ষকই নয়, লিখতে হবে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসনের কথাও। সমতা ফেরাতে ৬২ মিনিটে হিরবিং লোজানো যে শটটি নেন, অ্যালিসন তা ফিরিয়ে না দিলে বিপদের আভাসই মিলত।
নেইমার পরেও ত্রাতা। তবে এবার সহযোগীর ভূমিকায়। ম্যাচের নির্ধারিত সময় বাকি আর দুই মিনিট। এক গোলকে তখনও নিরাপদ ভাবলেন না নেইমার। প্রায় নিজেদের অর্ধ থেকে এক ভোঁ-দৌড়ে পৌঁছে গেলেন মেক্সিকো রক্ষণে। প্রথম গোলের সময় তার দিকে যেভাবে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন উইলিয়ান, ঠিক সেভাবেই পাস দেন ফিরমিনোকে। ওচোয়া এবারও ঝাঁপালেন, কিন্তু ফেরাতে পারলেন না। ফাঁকা জালে গোল করতে ভুলও করেননি ফিরমিনো। নিশ্চিত হয়ে ব্রাজিলের কোয়ার্টার ফাইনালও।