সমানতালে লড়তে থাকা বেলজিয়াম এগিয়ে যায় কর্নার থেকে। নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন ব্রাজিলের মিডফিল্ডার ফের্নানদিনহো! হেড করতে গিয়ে বল লাগে তার কনুইতে। সেখান থেকে জালে।
গোল হজম করেও কৌশলে খুব একটা পরিবর্তন আনেনি ব্রাজিল। নেইমারের উইং ধরে মার্সেলো বারবার ছোটো ছোটো পাসে উপরে উঠছিলেন। কিন্তু বেলজিয়ামের পরিকল্পিত ডিফেন্স ভাঙা সম্ভব হচ্ছিল না তাদের। এর ভেতর কাউন্টার অ্যাটাকে আবার দ্বিতীয় গোল হজম করে ব্রাজিল।
মাঝমাঠ থেকে বল নিয়েই দ্রুতগতিতে দৌড় মারেন লুকাকু। পড়ে যাওয়ার আগে বক্সের একটু আগে তিনি বল দেন কেভিন ডি ব্রুইনিকে। তিনি বেশি সামনে না এগিয়েই, অন্তত ২০ গজ দূর থেকে শট নেন। অবাক করার বিষয় হল তার পাশে ছিলেন মার্সেলো। তিনি বলে তো যানইনি; শট নেয়ার সময় ব্রুইনকে একটু বিরক্তও করেননি। বাধাহীন ব্রুইনের শট ডানপোস্ট দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে উইলিয়ানকে উঠিয়ে নেন ব্রাজিল কোচ টিটে। মাঠে আসেন ফিরমিনহো।
৫১তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ফিরমিনহো গোল শোধ দেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন। বাঁদিক মার্সেলো তাকে মাটিকামড়ানো পাস দেন। পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল হয়ে যায়। চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।
৫৮তম মিনিটে দ্বিতীয় পরিবর্তন নেন টিটে। স্ট্রাইকার জেসাসকে উঠিয়ে কস্তাকে নামান।
কস্তা নেমেই একটি সুযোগ সৃষ্টি করেন। বক্সের ভেতর থেকে শট নেন। আগে গোটা তিনেক দারুণ সেভ করা বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া এবারও এক হাত দিয়ে বল ফিরিয়ে দেন।
কস্তা ৭১তম মিনিটে দূর থেকে আরেকটি শট নিয়েছিলেন। সেটিও ধরে ফেলেন কোর্তোয়া।
৭৫তম মিনিটে তৃতীয় পরিবর্তন হিসেবে পাউলিনহোর পরিবর্তে মাঠে আসেন অগাস্তো। নেমেই ৭৬তম মিনিটে এক গোল শোধ দেন। কৌতিনহোর ক্রস থেকে হেড করে বল জালে জড়ান তিনি।
৮১তম মিনিটে ওই অগাস্তো সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন। বক্সের ভেতর থেকে অনেক ফাঁকা জায়গা পান। শট নেয়ার সময়ও পাশে কেউ ছিলেন না। সেই শট বাইরে দিয়ে মারেন!
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ০৬,২০১৮)