thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

দুর্নীতি মামলায় খালেদার আপিল শুনানি কাল

২০১৮ জুলাই ০৮ ১২:১৪:২৭
দুর্নীতি মামলায় খালেদার আপিল শুনানি কাল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ওপর শুনানির জন্য সোমবার (৯ জুলাই) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। একই দিন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি হবে।

রবিবার (৮ জুলাই) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এদিন উভয় আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য থাকলেও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আপিল শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক সময় আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানি শুরুর আবেদন জানায়। আদালত উভয় আবেদন নিষ্পত্তি করে কাল দুপুর ২টার দিকে শুনানির সময় নির্ধারণ করেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।

গত ৩ জুলাই শুনানির দিন ধার্য ছিল। ওই দিন সময় আবেদনের পর আদালত আজ ৮ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে গত ১ জুলাই উভয় পক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য ৩ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে অপর দুই আসামি ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্যও ওই দিন ধার্য করা হয়েছে।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এ আপিল নিষ্পত্তি করতে উচ্চতর আদালতের আদেশ রয়েছে। আজ আদালত আপিলের শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। আমরা শুনানির জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’

এর আগে গত ২৭ জুন পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানির জন্য ৩ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

এ মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন বহাল রেখে আপিল বিভাগ ১৬ মে রায় দেন। রায়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তি করতে বলেন।

গত ১৬ মে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিল খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায় দেন। তার আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের রায় দেন বিশেষ আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে দণ্ড দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন।

গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এ দুই আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এরপর ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করতে বলে চার মাসের জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। এ আদেশ অনুসারে পরের দিন ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক লিভ টু আপিল দায়ের করে। ওই লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হয় ১৮ মার্চ। শুনানি শেষে আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। পরে ১৯ মার্চ আদালত লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন। তারপর আপিল শুনানি শেষে ১৬ মে রায় দেন উচ্চতর আদালত। এর মধ্যে দুদক খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধিতে আবেদন করলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এ ছাড়া ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিনও হাইকোর্টে আপিল করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ০৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর