বাছাইপর্বের বাধা টপকেই ২০১৬ ও ২০১৪ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছিল টিম টাইগ্রেস।
প্রথম সেমিফাইনালে পাপুয়া নিউগিনিকে ২৭ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে আয়ারল্যান্ডও। শনিবার বাছাইপর্বের ফাইনালে মুখোমুখি হবে টাইগ্রেস ও আইরিশ মেয়েরা। বাছাইপর্ব শুরুর আগে আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়ে ২-১এ টি-টুয়েন্টি সিরিজ জেতে সালমা খাতুনের দল।
বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের ভিআরএ গ্রাউন্ডে বাছাইপর্বের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি স্কটিশ মেয়েরা। ১২৬ রানে লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা আইরিশ মেয়েরা ২০ ওভার ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে ৭৬ রান।
সারাহ ব্রাইস করেন সর্বোচ্চ ৩১ রান। এ ওপেনারে বড় বোন ক্যাথরিন ব্রাইস করেন ২১ রান। দলের অন্যকোনো ব্যাটারই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো নাহিদা আক্তার এদিনও পরপর দুই বলে নেন দুই উইকেট। রুমানা আহমেদের ঝুলিতেও গেছে দুটি উইকেট। গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়া ফাহিমা খাতুন ও অধিনায়ক সালমা খাতুন নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। শুরু থেকে দেখেশুনে ব্যাটিং করা দলটি পুরো ইনিংসজুড়েই রেখে গেছে তার ছাপ। যে কারণে পুরো ওভার খেলেও সর্বসাকুল্যে তারা তুলতে পেরেছে মাত্র ৭৬ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন শামিমা সুলতানা ও আয়শা রহমান। ওপেনিং জুটিতে আসে ৫১ রান। ইনিংসের সপ্তম ওভারে রান আউট হন শামিমা। খেলে যান ১৬ বলে ২২ রানের ইনিংস। দলের ১ রান যোগ হতেই প্রিয়ানাজ চ্যাটার্জির বলে আউট হন আয়শা। এ ওপেনার করেন ২০ রান।
তিনে নামা ফারজানা হক দ্রুত সাজঘরে ফিরলে ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের ইনিংসে। পরে রুমানা আহমেদ ১ রান করে প্রিয়াজনের দ্বিতীয় শিকার হলে বড় সংগ্রহের আশা কমে আসে।
নিগার সুলতানা একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩১ রানে অপরাজিত থাকলে লড়াকু সংগ্রহ গড়ে টিম টাইগ্রেস। নিগারের সঙ্গে সানজিদা ইসলাম ১৯ ও ফাহিম খাতুনের ১৫ রানের অবদান বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অনুমিতই ছিল। এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দল দারুণ ফর্ম নিয়েই যায় নেদারল্যান্ডস সফরে। আয়ারল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাসের পালে দেয় হাওয়া।
দেশ ছাড়ার সময় অধিনায়ক সালমা খাতুন একরকম ঘোষণাই দিয়েছিলেন; আমরা বিশ্বকাপ অবশ্যই খেলবো। বিশ্বকাপ তো নিশ্চিত হল, এবার নিশ্চয়ই বাছাইপর্বের ট্রফিতে পাখির চোখ থাকবে সালমা-জাহানারা-রুমানাদের।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ জূলই ,২০১৮)