thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি 25, ৮ মাঘ ১৪৩১,  ২১ রজব 1446

দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে বীরকন্যা তামিমি

২০১৮ জুলাই ৩০ ০৮:৪৪:৩৭
দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে বীরকন্যা তামিমি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিন্তিনি বীরাঙ্গনা আহেদ তামিমি। গত বছরের শেষ দিকে এক ইসরাইলি সেনাকে চড়থাপ্পর ও লাথি দেয়ার অভিযোগে কারাদণ্ডের সাজা ভোগা করে রবিবার (২৯ জুলাই) মুক্তি পেয়েছে সে।

সতেরো বছর বয়সী আহেদ তামিমি জানায়, এই শহীদের বাড়ি থেকে আমি ঘোষণা দিলাম, দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে। খবর- রয়টার্সের।

গত বছরের ডিসেম্বরে পশ্চিমতীরের নবি সালেহ গ্রামে নিজেদের বসতবাড়ির বাইরে ইসরাইলি সেনা ও ইহুদি দখলদারদের মুখোমুখি প্রতিরোধ গড়ে তোলে সে। গ্রামটিতে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে বিক্ষোভ ও প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে।

পরে তার মা এই ঘটনা মোবাইলে ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। এতে ফিলিন্তিনি মুক্তিকামী মানুষদের কাছ থেকে রীতিমত প্রশংসা কুড়িয়েছে সে।

ইহুদি সেনাকে আহেদ তামিমির চড়থাপ্পরকে উসকানি হিসেবে দেখছে ইসরাইল।

ষোড়শী আহেদ তামিমির বিরুদ্ধে তখন গুরুতর হামলাসহ ১২টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত মার্চে সে স্বীকারোক্তি দিলে হামলার অভিযোগে তাকে আট মাসের কারাদণ্ড দেয় ইসরাইলি সামরিক আদালত। ডিসেম্বরে তার আটক হওয়ার দিন থেকে সাজার মেয়াদ হিসাব করা হয়।

কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নিজ গ্রামে শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানায়। এ সময়ে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের কালো ও সাদা রঙের আরব স্কার্ফ পরা ছিল সে। ঘরে ঢোকার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখে আহেদ তামিমি।

ইতিমধ্যে নবি সালেহ গ্রামের এক অধিবাসীকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

আহেদ তামিমি জানায়, এই শহীদের গ্রাম থেকে আমি প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। কারাগারে নারী কয়েদিরা সুস্থ আছেন। আটক থাকার সময় যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

গাজা উপত্যকা, পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিমতীর মিলিয়ে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চান ফিলিস্তিনিরা।

পশ্চিমতীরে ইসরাইলি দখলদারিত্বকে অধিকাংশ দেশ অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করছে। কিন্তু ইহুদিবাদী দেশটি তা কানে তুলছে না।

ইসরাইলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আলোচনা ২০১৪ সাল থেকে থমকে আছে।

আহেদ তামিমি ও তার মায়ের সঙ্গে দেখা করার পর ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, শান্তিপূর্ণ বেসামরিক প্রতিরোধের প্রতীক হচ্ছে এই কিশোরী। বিশ্বকে সে দেখিয়ে দিয়েছে, নিজ ভূমির অধিকার দাবিতে আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণ প্রতিনিয়ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে যাবে।

তামিমির ঘটনা বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। তাকে সাজা দেয়ার পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, তাকে যে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক কোনো আইনের সঙ্গে যায় না।

ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, সাড়ে ছয় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরাইলের কারাগারে আটক রয়েছেন। যাদের মধ্যে সাড়ে তিনশর বেশি শিশু।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ৩০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর