thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

অধ্যাপক আফতাব হত্যা মামলায় তৃপ্তির জামিন নামঞ্জুর

২০১৮ আগস্ট ১৩ ১৭:৫৮:৩৭
অধ্যাপক আফতাব হত্যা মামলায় তৃপ্তির জামিন নামঞ্জুর

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার বিএনপির সাবেক এমপি মো. মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী এ আদেশ দেন।

এর আগে ১০ আগস্ট তৃপ্তিকে আদালতে হাজির করে আফতার হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছিলেন সিআইডির ইন্সপেক্টর সুব্রত কুমার সাহা। এছাড়া তৃপ্তির জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।

ওই দিন আদালত রিমান্ড ও জামিনের বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে তৃ্প্তিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে শুনানির জন্য আজ দিন নির্ধারণ করেন।

সোমবার সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তৃপ্তিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া হাইকোর্টের আদেশের কারণে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ স্থগিত করেন।

এ বিষয়ে তৃপ্তির আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, গত বছরের ২৯ মে তৃপ্তি হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আদেশ পান, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছিল কোনো আদালতের পরোয়ানা ছাড়া তাকে যেন গ্রেফতার করা না হয়। সিআইডি তৃপ্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করে হাইকোর্টের আদেশের লঙ্ঘন করেছে বলে আদালতের কাছে দাবি করেন এ আইনজীবী।

আফতার হত্যা মামলায় গত ৮ আগস্ট রাজধানীর বনানীর একটি বাসা থেকে তৃপ্তিকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

২০০৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডে বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টারের বাসায় ঢুকে অধ্যাপক আফতাবকে গুলি করে অজ্ঞাতনামা তিন তরুণ।

শরীরে দুটি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অধ্যাপক আফতাবকে উদ্ধার করে প্রথমে পান্থপথের বেসরকারি শমরিতা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় সেখানে চিকিৎসাধীন তিন দিন পর মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। ১২ বছর পর ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

বিএনপির একসময়ের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক তৃপ্তি যশোরের শার্শা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জরুরি অবস্থার পর ২০০৮ সালে ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ১৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর