রোববার রাতে বিবৃতি পাঠিয়ে ‘প্রাসঙ্গিকতা হারানোয়’ বিসিবির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার কথা জানায় বিসিবি।
কেন চুক্তি বাতিল না রবি বিস্তারিত না জানালেও বিসিবি সিইও সোমবার জানিয়েছেন রবির সরে যাওয়ার মূল কারণ, ‘আমাদের ইন্ডিভিজ্যুয়াল কিছু ক্রিকেটারদের সঙ্গে কনফ্লিকটিং ব্র্যান্ডের যেসব চুক্তি ছিল এটা নিয়ে তাদের (রবির) আপত্তি ছিল। এবং সেটা পুরোপুরি সমাধান না হওয়ায় তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে।’
তবে রবির এই ব্যাখ্যা নিজামউদ্দিনের মনে ধরেনি। কারণ রবির চাওয়া মেনে অন্য মোবাইল কোম্পানির সঙ্গে ক্রিকেটারদের চুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া চলছিল, ‘ আমাদের মনে হয়েছে বিষয়টা তাদের অন্য কৌশলগত কারণে হতে পারে। আমরা এই বিষয় (তাদের ব্যাখ্যা) পুরোপুরি গ্রহণ করতে রাজি নই। বেশ কিছু স্টেপ রবির সঙ্গে আলোচনার পর নিয়েছিলাম। আপনারা জানেন যে, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে একটা মোবাইল কোম্পানির চুক্তি ছিল সেটা বাতিল করেছিল সাকিব। তামিম ইকবাল উনিও করেছেন, উনার যে চুক্তি ছিল গ্রামীনফোনের সঙ্গে। আমাদের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজার সঙ্গে গ্রামীণের চুক্তি বাতিলও প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
‘আমরা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছিলাম। সেকারণে আমাদের কাছে রবির সিদ্ধান্ত হতবাক করার মতো। তারা যেটা আমাদের বলেছে সেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না এই মুহূর্তে। কারণ আমরা তো তাদের চাওয়া মত স্টেপ নিচ্ছিলাম এবং তারাও অবগত আছে।’
২০১৫ সালে প্রথমবার রবির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হয় বিসিবির। গত বছরের জুলাই থেকে ফের বাংলাদেশের ক্রিকেটে দুই বছরের চুক্তিতে আসে মোবাইল কোম্পানিটি। কিন্তু তার এক বছর আগেই চুক্তি বাতিল করে সরে যায় তারা।
রবির সরে যাওয়াতে দু’একদিনের মধ্যেই নতুন স্পন্সরের খুঁজে নামছে বিসিবি, ‘অবশ্যই আমাদের নতুন স্পন্সর দেখতে হবে। হয়ত দুএকদিনের মধ্যেই একটা সার্কুলারে যাব। আমরা চেষ্টা করব এশিয়া কাপের আগে স্পন্সর নিশ্চিত করার জন্য।’
নতুন চুক্তিতে ক্রিকেটারদের জন্যও আসছে সীমাবদ্ধতা। দলের স্পন্সরশীপের সঙ্গে সংঘাত করবে এমন কোন চুক্তিতে যেতে পারবেন না কোন ক্রিকেটার, ‘কোন কনফ্লিক্টিং ব্র্যান্ডে প্লেয়াররা স্পন্সরশীপে যেতে পারবে না।’
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ২৭,২০১৮)