thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১,  ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

নির্বাচনের আগে ২ হাজার নিয়োগ ইসিতে

২০১৮ অক্টোবর ০৪ ১৮:০৮:৫৯
নির্বাচনের আগে ২ হাজার নিয়োগ ইসিতে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংসদ নির্বাচনের আগে ৫১৭ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ মোট দুই হাজার নতুন জনবল নিয়োগ দিতে চায় সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সংসদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।

মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই এই জনবল নিয়োগ করে তাদেরকে নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে। নির্বাচন কমিশনের বর্তমান জনবল আছে তিন হাজার। নতুন পদ সৃষ্টি করে এই জনবল পাঁচ হাজার করা হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের সংসদ ‍নির্বাচনে যথাযথভাবে ব্যবহার করা হবে।’

নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, এছাড়াও বুধবার ইসির বিদ্যমান জনবল থেকে ৭৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। তবে যুগ্ম সচিব কাউকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার ১০টি পদের বিপরীতে ৯ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এরা চতুর্থ গ্রেডভুক্ত হবেন। উপসচিব পদে ২৯ জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। এরা পঞ্চম গ্রেডভুক্ত হবেন। এ ছাড়া সিনিয়র সহকারী সচিব ৩৭ জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। এরা ষষ্ঠ গ্রেডের আওতায় পড়বেন।

সংসদ নির্বাচনের আগে প্রায় তিন মাস আগে নতুন এই নিয়োগ নিয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ কিংবা কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হবে কি না- জানতে চাইলে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘না। যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ দেওয়া হবে। কোনো বিতর্ক হবে না।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন সবারই পদোন্নতি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় আমি দেখতে পাই, জনপ্রশাসনে পদোন্নতি হচ্ছে, পুলিশে পদোন্নতি হচ্ছে কিংবা তারা পদোন্নতি চাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনেও পদোন্নতির একটা ঢেউ লেগেছে।’

মাহবুব তালুকদার আরো বলেন, ‘বুধবার আমার সভাপতিত্বে একটা মিটিং হয়েছে। নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশাসনিক সংস্কার ও পুনর্বিন‌্যাস এবং দক্ষতা উন্নয়ন কমিটির সভা। এই সভায় আমরা ৭৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছি। যদিও এটাকে পদোন্নতি বলা যায় না। আমরা সুপারিশ করেছি, এটা এখন কমিশন সভায় যাবে। তারপর কমিশন অনুমোদন দিলেই এটাকে পদোন্নতি বলা যাবে।’

এর আগে ২০০৬ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির আমলে এ ধরনের নিয়োগে বিতর্ক হয়েছিল। সেখানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এটিএম শামসুল হুদার নির্বাচন কমিশন ওই নিয়োগ বাতিল করে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/অক্টোবর ০৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর