thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ৬ মে 24, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৭ শাওয়াল 1445

বগুড়ায় ধর্ষণের অভিযোগে শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার

২০১৮ অক্টোবর ০৫ ১০:৪৩:৩৬
বগুড়ায় ধর্ষণের অভিযোগে শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেফতার

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া প্রভাবশালী পরিবহন মালিক ও যুব শ্রমিকলীগের নেতা শাহিনুর রহমান ওরফে ঝটিকা শাহিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বুধবার সন্ধ্যায় বগুড়া গোয়েন্দা ইউনিটের একটি বিশেষ দল সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকে আটক করে।

আটক শাহিনুর রহমান ওরফে ঝটিকা শাহিন (৪৫) শহরের কাটারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলহাজ ওয়াজেদ আলী মেকারের ছেলে এবং ঝটিকা পরিবহনের মালিক।

এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ঝটিকা শাহিন (৪৫) ও মতিউর রহমানকে আসামি করে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এই অভিযোগে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ধর্ষক শাহিনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রীর বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়।

বাবার কর্মস্থল বগুড়া চকসুত্রাপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে বাবা-মাসহ বসবাস করে আসছেন ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গেল প্রায় মাস ৬ আগে শহরের ফুলতরা এলাকার সিয়াস্তা নামের একটি হোটেলে একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কলেজছাত্রীর সঙ্গে ঝটিকা শাহিনের পরিচয় হয়। তখন থেকে সে শাহিনকে আংকেল বলে ডাকত। মাঝেমধ্যে শাহিন ওই ছাত্রীকে ফোন করে খোঁজ-খবর নিতেন এবং যেকোনো ধরনের সহযোগিতার জন্য বলতেন।

গেল ২৯ সেপ্টেম্বর ওই কলেজছাত্রী তার এক বন্ধু বিপদে পড়ায় সহযোগিতার জন্য শাহিনকে ফোন দিয়ে তাকে বগুড়া সদরের উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এলাকায় আসতে বলে। ওইদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে রিকশায় করে ওই ছাত্রী পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় যায়। এসময় শাহিন একটি কালো রংয়ের জিপ গাড়িতে সেখানে আসে।

তখন ওই ছাত্রী জানায়, তার কাজ হয়ে গেছে। শাহিন এসময় তাকে বাড়ি পৌঁছে দেবার কথা বলে জিপে করে শহরের সরকারি মুজিবুর রহমান কলেজের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে মতিউর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে নেন তিনি। সেখান থেকে জরুরি কাজের বাহানায় শাজাহানপুরের হোটেল সিয়েস্তাতে নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে বাসায় ফিরতে চাইলে শাহিন ওই ছাত্রীকে বাধা দেয় এবং জুস খাওয়ায়। জুস খাওয়ানোর পর সে অসুস্থ বোধ করায় তাকে শাহিন হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তারা দুজন জোর করে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। পরে কৌশলে শাহিনকে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে ওই ছাত্রী ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল নয়টার দিকে হোটেল থেকে বের হয়ে অটোরিকশা করে বাসায় ফেরে সে। বাসায় ফিরে কাউকে কিছু না বলে কান্নাকাটি শুরু করে। এতে অভিভাবকদের সন্দেহ হলে চাপের মুখে ঘটনার দুইদন পর বাবা-মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে সে।

বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার তার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে গেল বুধবার শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করলে গোয়েন্দা পুলিশ সন্ধ্যায় শাহিনকে শহরের চারমাথা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যপারে শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। এদিকে শেষ খবর পর্যন্ত পুলিশের একটি দল শহরের হোটেল সিয়েস্তা থেকে ঘটনার আগে পরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আলামত সংগ্রহ করেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/অক্টোবর ০৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর