thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১,  ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

 তীব্র প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনের দাবি থেকে সরল মিয়ানমার

২০১৮ অক্টোবর ০৭ ১৮:১২:০০
 তীব্র প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনের দাবি থেকে সরল মিয়ানমার

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সেন্টমার্টিনকে নিজেদের বলে দাবি করার পর বাংলাদেশের প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য সরিয়ে নিয়েছে মিয়ানমার।

রোববার (৭ অক্টোবর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২০তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিষয়টি জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক।

বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এ বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। এরপর মিয়ানমার সরকার তাদের ওয়েবসাইট থেকে তথ্যটি সরিয়ে ফেলেছে।

বৈঠকে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের নেতিবাচক অপপ্রচার মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক তৎপর থাকতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মুহাম্মদ ফারুক খান, সেলিম উদ্দিন এবং বেগম মাহজাবিন খালেদ অংশ নেন।

বৈঠকে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মো. খুরশেদ আলমসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট সম্প্রতি তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিনকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ দেখানো হয়।

ওই মানচিত্রে মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ড এবং বঙ্গোসাগরে বাংলাদেশের অন্তর্গত সেন্টমার্টিনকে একই রঙে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের ভূভাগ চিহ্নিত করা হয় অন্য রঙে।

এ ঘটনায় শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্রবিষয়ক) অবসরপ্রাপ্ত নৌ-কর্মকর্তা মো. খুরশেদ আলমের দফতরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করা হয়। এ বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমারকে একটি কূটনৈতিক চিঠি দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিয়ানমার যদি এমন আপত্তিজনক কাজ চালিয়ে যেতে থাকে তবে বাংলাদেশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে জানায় কূটনৈতিক সূত্র।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’র হাতে একটি কূটনৈতিক চিঠি ধরিয়ে দেয়া হয়। যাতে সেন্টমার্টিন যে বাংলাদেশের অংশ তার পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণ রয়েছে। পাশাপাশি ওই চিঠিতে মিয়ানমারের এমন আপত্তিকর কাজের জবাবও চাওয়া হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ০৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর