thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে 24, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১০ জিলকদ  1445

বিদ্যমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে যুক্তফ্রন্টের আপত্তি নেই: কাদের

২০১৮ নভেম্বর ০৩ ০০:০৪:০৩
বিদ্যমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে যুক্তফ্রন্টের আপত্তি নেই: কাদের

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ শেষে বেরিয়ে গণভবনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। তাদের কথা শুনে মনে হয়েছে, বিদ্যমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে যুক্তফ্রন্টের আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, তাদের কথাবার্তা আমাদের কাছে পজিটিভ মনে হয়েছে। তাদের গঠনমূলক কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছে, তারা নির্বাচনে আসবেন। কিছু বিষয় তারা দাবি হিসেবে এনেছেন, আমরা তা মেনে নিয়েছি। সব দাবি তো আর মানা যাবে না। সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে জড়িত এমন কোন বিষয় তারা উত্থাপন করেনি। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। সংবিধান সংশোধন কিংবা পরিবর্তন করতে হবে, এমন কোন দাবিতে তারা জোর দেয়নি। তাদের দাবি কথা থেকে সরে স্পষ্ট হয়েছে তারা বিদ্যমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে জোরালো কোন দাবি যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়নি।

আলোচনা সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: সংলাপে কোন ভিন ভিন্ন সুর ছিল না। তারা এবং আমরা সবাই একই সুরে কথা বলেছি। তাদের ২০ জনের মধ্যে ১৯ জনই বক্তব্য রেখেছেন। আমাদের মধ্যে মাত্র দু’জন কথা বলেছেন।

পুরো আলোচনায় যুক্তফ্রন্ট নেতারা বেশি আলোচনা করেছেন দাবি করে তিনি বলেন: তাদের অধিকাংশ দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। যেমন নির্বাচন প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, তাদের দাবি ছিলো: নির্বাচন প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থাৎ সবার জন্য সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে, সম্ভব না হলে নিষ্ক্রীয় করতে হবে।

এর জবাবে আমরা বলেছি: সকলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। তারা বলেছেন হয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নয় নিষ্ক্রীয় করতে হবে। আমাদের নেত্রী পরিষ্কারভাবে বলেছেন, সংসদের শেষ অধিবেশন হয়ে গেছে। সংসদ নিষ্ক্রিয়ই থাকবে। আমাদের সকলকে নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি মেনে চলতে হবে। যেখানে সেখানে মন্ত্রীরা পতাকা ব্যবহার করতে পারবে না এবং এমপিরা কোন প্রকার কার্যকারিতা দেখাতে পারবে না।

তাদের দ্বিতীয় দাবি ছিলো নির্বাচনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত কর্মচারীদের নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করতে হবে। এটিও মেনে নেয়া হয়েছে।

ইভিএম নিয়ে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে দাবি ছিলো: আধুনিক এবং বিজ্ঞানমনস্ক নির্বাচনে আমাদের অনেক আগ্রহ আছে, কিন্তু ইভিএম সম্পর্কিত যে সকল প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা অর্জন প্রয়োজন, তা আমাদের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথেষ্ট নেই। সেই জন্য আমরা এই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সঠিক হবে না বলে মনে করি।

আমাদের নেত্রী তাদের আশ্বস্ত করেছেন ইভিএম নিয়ে পার্লামেন্টে কোন আইন পাশ হয়নি। মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। নির্বাচন কমিশন নিয়ে এই সময়ের মধ্যে ইভিএম কতটা ভূমিকা রাখতে পারবে, সেটা প্রশ্ন রেখেই যায়। ব্যবহার হলেও সেটা হবে সীমিত আকারে।

তারপরও আমাদের নেত্রী বলছেন: তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি সঙ্গে ইভিএম নিয়ে যুক্তফ্রন্টের যে কনসার্ন সে বিষয়ে কথা বলবেন। এ বিষয়ে তাদের কথা দেয়া হয়েছে। কারণ, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির অধীনে।

নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কারণে আটক বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে, বলে দাবি করা হয়েছিলো যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে। সেটি নিয়ে কি আলোচনা হলো? জানতে চাইলে কাদের বলেন: কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি যদি মামলা-হামলার শিকার হয়, অথবা কারাবন্দি হয়; স্পেসিফিক্যালি তাদের কাছে তেমন কোন তথ্য থাকলে তালিকা করে আমার কাছে দিতে বলা হয়েছে। সেটা আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেব। তিনি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ০৩,২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর