thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ৫ মে 24, ২২ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৬ শাওয়াল 1445

রাজপথ উত্তপ্ত হলে কারও জন্য শোভন হবে না

২০১৮ নভেম্বর ০৩ ১৬:২৪:৫৭
রাজপথ উত্তপ্ত হলে কারও জন্য শোভন হবে না

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, রাজপথ উত্তপ্ত হলে তা আমাদের কারও জন্য শোভন হবে না।

শনিবার (৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তথা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

খন্দকার মাহবুব বলেন, এই মুহূর্তে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে দেশে নির্বাচন করতে পারবেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি জেনে রাখুন, বাংলাদেশের মানুষ যদি একবার জেগে ওঠে, তবে রাজপথ উত্তপ্ত হবে। তখন সেটা আমাদের কারও জন্য শোভন হবে না।

সংবিধানের আলোকে দুটি উপায়ে নির্বাচন হতে পারে এমন দাবি করে খন্দকার মাহবুব বলেন, ঐক্যফ্রন্টের যে সংলাপ, তার আলোচনা এখনও শেষ হয়নি। ঐক্যফ্রন্টের যে দাবি তা মানুষের জন্য, সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বলছেন সংবিধান, সংবিধান। আমিও বলছি বর্তমান সংবিধান অনির্বাচিত সংসদ সদস্য দ্বারা সংশোধিত করেছেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য। তবুও সংবিধানে ১২৩ নম্বর অনুচ্ছেদ দেখুন, সেখানে দুটি উপায়ে সংসদ নির্বাচন হতে পারে। সেখানে সংসদ শেষ হওয়ার পূর্বে ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হতে পারে। এরপরে সংসদ বাতিল হয়ে যাবে।

জানুয়ারি মাসের পরে নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এতে আপনার কথাও থাকবে, আমাদের কথাও থাকবে। তখন সংসদ বহাল থাকবে না। সর্বজনস্বীকৃত একজনকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান করে আপনি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান। দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, মানুষ ভোট দেবে।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের প্রবর্তনের জন্য আমরা করুণা চাচ্ছি না। আইন অনুযায়ী দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, মানুষ ভোটে দেবে। সেই ভোটেই তাদের মুক্তি হবে। এখানে আমি একটি কথাই বলতে চাই, সংসদ বাতিল করে নির্বাচনে আসুন এবং একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন পরিচালনা করুন। নতুবা দেশে যে অরাজকতার সৃষ্টি হবে সেটা আপনার জন্য ও জনগণের জন্য মঙ্গল হবে না।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ-বিএসপিপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/নভেম্বর ০৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর