thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি 25, ১০ মাঘ ১৪৩১,  ২৪ রজব 1446

বিরোধী নেতাকর্মীদের মামলার পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাইনি: সিইসি

২০১৮ নভেম্বর ২২ ১২:০৯:৪২
বিরোধী নেতাকর্মীদের মামলার পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাইনি: সিইসি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পূর্ণাঙ্গ তথ্যচিত্র আমরা পাইনি। সে কারণেই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারিনি। এগুলো হয়ে থাকলে সেগুলো বাদ দিতে হবে, আর যদি না হয়ে থাকে, তবে ভবিষ্যতে দয়া করে এগুলো করবেন না।

তিনি বলেন, ‌‌আমি জানি আপনারা কাউকে হয়রানি করেন না।

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচন কশিশনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং, প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের পরিচয় জানতে বলা হয়নি।

তিনি বলেন, কোনো নাশকতামূলক এলিমেন্ট থাকলে সেটা করা যাতে পারে। কিন্তু নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি কর্মকর্তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিলে তারা বিব্রতবোধ করতে পারেন।

সিইসি বলেন, তবে ফৌজদারি মামলায় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটা ভিন্ন কথা।

‘আমি গতকালকে পুলিশের মহাপরিদর্শকের সঙ্গে এক জায়গায় ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছিলাম, তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের কোথাও এরকম নেই, কারও বিরুদ্ধে নির্বাচনের তফসিলের পরে বিনাদোষে কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা মকদ্দমা হয়েছে।’

সিইসি বলেন, বিরোধী দলের রাজনীতিবীদরা আমাদের কাছে একটা তালিকা পাঠিয়েছেণ। আমরা দেখেছি, যেমন মনে করেন, আমার কাছে প্রথম দিন তারা প্রায় চার পাঁচ হাজার লোকের একটা তালিকা পাঠিয়েছেন, সেই মকদ্দমাগুলো ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ ও ২০১৫ সালের। যা তফসিলের আগে।’

‘প্রত্যেক দলের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাস্তান, সে যে দলের হোক না কোনো, তারা রাজনৈতিক পরিচয় যা-ই থাক না কেন, সেটা কোনো ব্যাপার না, যদি এমন থেকে থাকে, তবে তাদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করবেন।

তিনি বলেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলে মামলা নেয়ার দরকার নেই, তাদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। যেনো তারা কোনো রকম সংগঠিত হতে না পারে, নির্বাচন ভণ্ডুল করতে যাতে তারা কোনো প্রস্তুতি নিতে না পারে।

‘তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা থাকলে সেটা তো আপনাদের দায়িত্ব আছে,’ বলেন সিইসি।

নুরুল হুদা বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, ভোটের পর যাতে তারা নিরাপদে চলে আসতে পারেন, তা দেখতে হবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে দেখা করে এটা বলেছেন।

‘নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা, যেমন নির্বাচনের পর বিজয় মিছিল হয়, সেগুলোর প্রতি সতর্ক থাকতে হবে, কাউকে প্রশ্রয় দেবেন না, যাতে নির্বাচনের পর কেউ বিজয়ী হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবনিত ঘটাতে না পারে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ২২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর