thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২১ মার্চ 25, ৭ চৈত্র ১৪৩১,  ২১ রমজান 1446

জাতীয় নির্বাচনে  ডিসি-এসপিদের রদবদল চায় ২০ দল

২০১৮ নভেম্বর ২৫ ১৮:৫০:২৭
জাতীয় নির্বাচনে  ডিসি-এসপিদের রদবদল চায় ২০ দল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) বদলি দাবি জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।

রবিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে ২০ দলীয় জোটের একটি প্রতিনিধি দল এ দাবি জানায়। একইসঙ্গে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদের সহকারীকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ না দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপির) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

অলি আহমদ বলেন, আমরা বিতর্কিত কর্মকর্তাদের শাস্তি চাই না; বদলি চাই। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে এক জেলার কর্মকর্তাদের অন্য জেলায় বদলি করা জরুরি। এখনও সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। ইসির নির্দেশনার মাঠ পর্যায়ে কোনো প্রতিফলন নেই।

তিনি বলেন, এখনও সারাদেশে গায়েবি মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এসব মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ না থাকায়, নির্বাচনের আগে পুলিশ বিএনপির এজেন্টদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখাবে। তাই ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মামলা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছি।

ইসির সঙ্গে বৈঠকে তারা একটি লিখিত দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কয়েক দিন আগে নির্বাচন কমিশনে বিতর্কিত যে কর্মকর্তাদের তালিকা দেয়া হয়েছিল তাদের নির্বাচনকালীন সময়ে অন্যত্র বদলি করা। তারা দাবি করেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য অতীতে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি।

তারা আরও দাবি করেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার এএসপির স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি। সস্প্রতি সন্তানসহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি ছবি তুলেছেন। এমন অবস্থায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তার পক্ষে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব না।

নির্বাচনকালে সরকারি রেডিও ও টেলিভিশন ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকা বাঞ্চনীয় বলে মনে করে ২০ দলীয় জোট। বেসরকারি গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ইসির তরফ থেকে একটি গাইডলাইন দেয়া প্রয়োজন।

নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের গ্রেফতারের ক্ষমতা দিয়ে পুলিশের মতো একটি সশস্ত্র বাহিনীকেও দায়িত্ব দেয়া দরকার।

১৫ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা প্রয়োজন।

প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় পূর্ণ ক্ষমতাসহ ১১ ডিসেম্বর থেকে ম্যাজিট্রেট নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। ভোটের দিন এ সংখ্যা বাড়াতে হবে।

এত টাকা ব্যয় করে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইভিএম ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি বন্ধ করুন।

নির্বাচালীন মন্ত্রী ও সিনিয়র নেতারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চের নিরাপত্তা রক্ষী পেয়ে থাকেন। একইভাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সব সদস্যসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিরাপত্তা দেয়া যুক্তিযুক্ত। তা না হলে ইসি পক্ষপাতিত্ব করছে বলে মনে হবে।

অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো বিরোধী দলের দাবি দাওয়া শুনতো এবং ব্যবস্থা নিত। সেভাবে এখন ইসি এ ব্যবস্থা নিতে পারে।

এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়ম মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/নভেম্বর ২৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর