thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

 বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

২০১৮ ডিসেম্বর ১৮ ২৩:৪৭:০৬
 বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ বোর্ডের বিশেষজ্ঞ এক সদস্যের অভিযোগ অনিয়মের মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক নিয়োগ দিতে সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) তড়িঘড়ি করে নিয়োগ বোর্ড বসানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

নিয়োগ বোর্ডের বিষয় ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, ‘নিয়োগ বাণিজ্য করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচর্য অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী নিয়োগ দিচ্ছেন। এই বিষয়ে আমি গত ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কামিশনের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিয়ম মেনেই প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি ঠিক কথা বলেননি। তিনি নিজের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে না পেরে এই অভিযোগ করেছেন। সবচেয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।’

অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বাংলা বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের লোক নিয়োগ দিয়ে বাণিজ্য করতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তড়িঘড়ি করে সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) নিয়োগ বোর্ড বসানো হয়েছে। আমাকে অফিসিয়ালি চিঠি দিয়ে ডাকা হয়নি। প্রার্থীদের বায়োডাটা পাঠানো হয়নি। হঠাৎ রেজিস্ট্রার ফোন দিয়ে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন।’

জিনাত হুদা আরও বলেন,‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পছন্দের প্রার্থীদের অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে তা বৈধ করতে গত ১৫ নভেম্বর নিয়োগ বোর্ড বসানো হয়েছিল। ওই সময় নিয়োগ দিতে না পেরে আবার তড়িঘড়ি করে বোর্ড বসানো হয়েছে।’

গত ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ড. জিনাত হুদা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ বোর্ডের একজন বিষয় বিশেষজ্ঞ। গত ১৫ নভেম্বর সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ বোর্ডের দিন ধার্য করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিন অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা সম্পন্ন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক প্রার্থী নিয়োগের চেষ্টা করেছিলেন। উপাচার্য নিয়োগ বোর্ড আহ্বান করার আগেই তার পছন্দের প্রার্থীকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেন, যা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। এরপরও গত ১৫ নভেম্বর নিয়োগ বোর্ডে সেই প্রার্থীদেরে পুর্ণকালীন নিয়োগ দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এরপর নিয়োগ বোর্ডের বিষয় বিশেজ্ঞদের অফিসিয়ালি কোনও পত্র না দিয়েই ১৭ ডিসেম্বর তাৎক্ষণিক সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের দিন ধার্য করা হয়। বিষয় বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রার্থীদের সিভি পাঠানো হয়নি। উপাচার্য নিজেই পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করেছেন অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের বাদ দিয়ে। এটি একটি তদন্তের বিষয়।

জিনাত হুদা তার লিখিত অভিযোগে বলেন, ইতোপূর্বে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন না হতেই (ফল প্রকাশের আগে) এমন কিছু সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের দিয়ে মাস্টার্সের ক্লাসও নেওয়া হতো, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় উপাচার্য স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়োগ বাণিজ্য ও বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ বিনষ্ট হচ্ছে।


(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ডিসেম্বর ১৮,২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

শিক্ষা এর সর্বশেষ খবর

শিক্ষা - এর সব খবর