thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

সিলেট পর্বের শুরুতেই খুলনার জয়

২০১৯ জানুয়ারি ১৫ ১৭:৪৫:৪০
সিলেট পর্বের শুরুতেই খুলনার জয়

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিপিএলে ঢাকা পর্বে একটিও জয়ের দেখা পায়নি খুলনা টাইটানস। অবশেষে সিলেট পর্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। রাজশাহী কিংসকে তারা হারিয়েছে ২৫ রানে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রাজশাহী কিংস ১২৯ রানের লক্ষ্যে অলআউট হয় ১০৩ রানে।

খুলনার বিপক্ষে এই রাজশাহীই আগের ম্যাচে জয় পেয়েছিলো দাপট দেখিয়ে। অথচ ১২৯ রানের লো স্কোরিং ম্যাচে খুলনার মিতব্যয়ী বোলিংয়ে জবাব দিতে পারেনি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। জুনায়েদ খানের প্রথম ওভারেই আসে সাফল্য। থিতু হওয়ার আগে ওপেনার ইভান্সকে তাইজুলের ক্যাচ বানান পাকিস্তানি এই পেসার। ওয়ান ডাউনে নামা রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ হাত খুলে মারার চেষ্টা করেন কিছুক্ষণ। তাতে রানের চাকা সচল হলেও পঞ্চম ওভারে বল হাতে নেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মুমিনুল হককে। ১১ বলে ৭ রানে ফেরেন তিনি।

মাহমুদউল্লাহ দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটালে পরের ওভারে জোড়া আঘাতে রাজশাহীকে চাপে ফেলে দেন তাইজুল। শুরুতে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা মিরাজকে আরিফুলের ক্যাচ বানান। এক বল বিরতি দিয়ে সৌম্য সরকারকেও সাজঘরের পথ দেখান। উইকেটকিপার জাকির হাসান নামলে মাহমুদউল্লাহ তাকে ব্র্যাথওয়েটের ক্যাচ বানিয়ে বিপদ বাড়িয়ে দেন রাজশাহীর। খুলনার দারুণ বোলিংয়ে পাওয়ার প্লে কোনও সুবিধাই নিতে পারেনি রাজশাহী।

দ্রুত উইকেট পতনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে রান রেটের চাপ। সেই চাপটা নিতে পারেনি রাজশাহীর পরের ব্যাটসম্যানরা। রায়ান টেন ডেসকাট আর ক্রিস্টিয়ান জোঙ্কার ফিরে যান ১৩ আর ১৫ রান করে। উদানা ৬ রানে ফিরলে জয়ের সম্ভাবনার ইতি ঘটে রাজশাহীর। লেজের দিকে আরাফাত সানি ও কামরুল ইসলাম রাব্বি জয়ের ব্যবধান কমান মাত্র। শেষ ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যান ফিরলে এক বল হাতে রেখে রাজশাহী গুটিয়ে যায় ১০৩ রানে।

খুলনার হয়ে ২৬ রানে তিন উইকেট নেন জুনায়েদ, ১০ রানে ৩টি নিয়ে ম্যাচসেরা তাইজুল। দুটি নেন মাহমুদউল্লাহ, একটি উইজ।

সিলেটের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে টস জিতে খুলনার ব্যাটিংটাও ছিলো ধীর গতির। দুই ওপেনারের শুরুটা খুব বেশি উজ্জ্বল ছিলো না। ১ চার আর ১ ছক্কায় দ্বিতীয় ওভারে উদানার বলে ফিরে যান ওপেনার জহুরুল। জুনায়েদ সিদ্দিকও বিদায় নেন একই ধারা মেনে। এক চার আর ১ ছক্কায় দলীয় ৩৭ রানে বিদায় নেন। আজকের ম্যাচে খেলতে নামা ডেভিড মালান নেমে দলের প্রত্যাশা পূরণে হন ব্যর্থ। ৯ বলে ফিরে যান ৬ রান করে।

ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস না খেলার ব্যর্থতা বজায় ছিল এরপরেও। মাহমুদউল্লাহ ৯ রানে ফিরে যান আরাফাত সানির বলে ক্যাচ দিয়ে।

খুলনার ধীর গতির ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ স্কোরটা ছিলো শুধু আরিফুল হকের। ২৭ বলে ২৬ রান করে ফেরেন তিনি।

ব্যাটসম্যানরা লম্বা ইনিংস খেলতে না পারায় খুলনা শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারে ৯ উইকেটে ১২৮ রান।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জানুয়ারি ১৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

খেলা এর সর্বশেষ খবর

খেলা - এর সব খবর