thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ১৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

বিশ্ব কিডনি দিবস আজ

২০১৯ মার্চ ১৪ ১১:২৯:৫০
বিশ্ব কিডনি দিবস আজ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিশ্ব কিডনি দিবস বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ)। সুস্থ কিডনি, সবার জন্য সর্বত্র- এটি হচ্ছে এ বছরের কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য।

সারা বিশ্বে কিডনি রোগের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দিবসটি পালিত হয়।

দেশে ৫০ হাজার শিশু কিডনি রোগে আক্রান্ত। এর বাইরে আরো দেড় কোটি বিভিন্ন বয়সী মানুষ কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় পাঁচজন কিডনিজনিত রোগে মারা যাচ্ছেন। এত অধিকসংখ্যক মানুষ কিডনি জটিলতায় ভুগলেও কম লোকই এ বিষয়ে সচেতন।

তাছাড়া কিডনি এমন একটি অঙ্গ যেটির ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বিকল না হলে এই অঙ্গটি লক্ষ্মণ প্রকাশ করে না। কিন্তু নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে তা শনাক্ত করা যায়। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়েছেন, ‘বছরে অন্তত দুইবার কিডনি সংক্রান্ত পরীক্ষা করে জেনে নেওয়া উচিত আপনার কিডনি কেমন আছে?’

বাংলাদেশে দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। কিডনি দিবসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ক্যাম্পাস, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল আজ নানা কর্মসূচি পালন করছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। কিডনি বিষয়ে সচেতনতায় কিছু সংগঠন স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছে বলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রদত্ত বাণীতে রাষ্ট্রপতি প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি বলে উল্লেখ করে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল কিডনি রোগীদের সহায়তায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।

প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আশা করি, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: এম এ সামাদ বলেছেন, যাদের ডায়াবেটিস আছে, যারা অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও নিয়ন্ত্রণ করেন না, বংশগত কিডনি রোগ রয়েছে, ধূমপান ও মাদক সেবন করেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথার ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেন তাদের কিডনি জটিলতা হতে পারে।

বিশিষ্ট শিশু নেফ্রলজিস্ট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু নেফ্রলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: গোলাম মাঈনউদ্দিন জানিয়েছেন, শিশুদের গলা ব্যথা, জ্বর ও ত্বকে খোস-পাঁচড়ার দ্রুত চিকিৎসা করা উচিত। এসব রোগ থেকে কিডনি প্রদাহ ও নেফ্রাইটিস হতে পারে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কিডনি সুস্থ রাখতে বেশি করে শাক-সবজি খাওয়া (বেশি করে ধুয়ে নেয়া রান্নার আগে), বেশি করে ফল খাওয়া, খাবারে কাঁচা লবণ না খাওয়া ও লবণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন না করলে কিডনি জটিলতা ও রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

অ্যাপোলো হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর বলেন, ‘ভেজাল খাদ্য, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ, ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন ছাড়াও আরও নানা কারণে আমাদের ঘরে ঘরে এখন কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিডনি রোগের চিকিৎসায় ডায়েটের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মার্চ ১৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর